ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে ইসরায়েল। সোমবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন, জুলাইয়ে ইরানের রাজধানী তেহরানে হানিয়াকে হত্যা করে ইসরায়েল।
রয়টার্স লিখেছে, এই স্বীকারোক্তি ফের ইরানের সঙ্গে তাদের আঞ্চলিক শত্রু ইসরায়েলের উত্তেজনা বাড়ানোর ঝুঁকি তৈরি করল।
গাজা যুদ্ধ ও লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে লড়াইয়ে নিহত ইসরায়েলি সেনাদের সম্মানে এক সন্ধ্যাকালীন অনুষ্ঠানে কাটজ বলেন, ‘আমরা হামাসকে পরাজিত করেছি, আমরা হিজবুল্লাহকে পরাজিত করেছি, ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে অন্ধ করে দিয়েছি এবং তাদের উৎপাদন ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছি, সিরিয়ার আসাদ সরকারের পতন ঘটিয়েছি, আমরা শয়তানের অক্ষে প্রচণ্ড আঘাত হেনেছি। ইয়েমেনের হুতি সন্ত্রাসী সংগঠনকেও মারাত্মক আঘাত করব, যারা অবশিষ্ট হিসেবে এখনও দাঁড়িয়ে আছে।”

কাটজ আরও বলেন, “ইসরায়েল তাদের কৌশলগত অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং তাদের নেতাদের হত্যা করবে- যেমন আমরা করেছি হানিয়া, সিনওয়ার এবং নাসরাল্লার ক্ষেত্রে তেহরান, গাজা ও লেবাননে। আমরা হোদেইদাহ ও সানায়ও তাই করবো।”
গত ৩১ জুলাই ইরানের রাজধানী তেহরানে তাকে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য শুরু থেকেই ইসরায়েলকে দায়ী করে আসছিল ইরান ও হামাস। তবে এত দিন তা স্বীকার করেনি ইসরায়েল।
নিহত হওয়ার সময় ইসমাইল হানিয়া তেহরানের একটি রাষ্ট্রীয় অতিথিশালার কক্ষে অবস্থান করছিলেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, এর কয়েক সপ্তাহ আগে ওই কক্ষে বোমা স্থাপন করে রেখেছিলেন ইসরায়েল কর্মকর্তারা। সেই বোমা বিস্ফোরণেই তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলের বোমা হামলায় নিহত হন সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। এরপর ১৬ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হানিয়ার উত্তরসূরি ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করে ইসরায়েল।