কয়েকদিন আগে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন অভিজ্ঞ উইকেটকিপার-ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। তার পথ অনুসরণ করলেন আরেক অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে রিয়াদ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেই বিদায় বলে দিলেন। বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন ৩৯ বর্ষী টাইগার তারকা।
টেস্ট ও টি-টুয়েন্টিকে আগেই বিদায় বলেছিলেন রিয়াদ। বাংলাদেশের তারকা ব্যাটার দুই সংস্করণকে বিদায় বলার পর শুধু ওয়ানডে ক্রিকেট খেলছিলেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দলের ভরাডুবির পর এবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনকেই বিদায় বললেন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান।
৩৯ বর্ষী মাহমুদউল্লাহর ১৫ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারের শুরু হয়েছিল ওয়ানডের মাধ্যমে। ২০০৭ সালে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেকের দুমাস পর টি-টুয়েন্টিতে কেনিয়ার বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল। তার দুবছর পর ২০০৯ সালে কিংস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাদা পোশাকে অভিষেক হয়েছিল মিডলঅর্ডার তারকার।
মূলত ব্যাটার, পাশাপাশি ডানহাতি স্পিনে অলরাউন্ডার ভূমিকায় মাহমুদউল্লাহ ৫০টি টেস্ট খেলে করেছেন ২,৯১৪ রান। সর্বোচ্চ ইনিংসটি অপরাজিত ১৫০ রানের। ৫টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ১৬টি ফিফটির ইনিংস খেলেছেন। বোলিংয়ে ৪৩ উইকেট আছে তার নামের পাশে। যেখানে ৫১ রানে ৫ উইকেট শিকার করেছেন একবার। ম্যাচে সেরা বোলিং দুই ইনিংস মিলিয়ে ১১০ রানে ৮ উইকেট।
সদ্য ছেড়ে দেয়া ফরম্যাটে, ২৩৯ ওয়ানডে খেলে ৫৩ ম্যাচ ব্যাটিংয়ে অপরাজিত ছিলেন রিয়াদ। তার রান ৫,৬৮৯। সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি অপরাজিত ১২৮ রানের। ৪টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৩২টি ফিফটি রয়েছে নামের পাশে। ২৩৯ ম্যাচের মধ্যে ১৫৩ ইনিংসে বল করে ৮২ উইকেট শিকার করেছেন। ৪ রানে ৩ উইকেট তার সেরা ওয়ানডে বোলিং।
মাহমুদউল্লাহ খেলেছেন ১৪১টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ। ব্যাট হাতে ২,৪৪৪ রানের পাশাপাশি উইকেট শিকার করেছেন ৪১টি। সর্বোচ্চ ইনিংসটি অপরাজিত ৬৪ রানের এবং বল হাতে সেরা ফিগার ১০ রানে ৩ উইকেট। এ সংস্করণে ২৬ ম্যাচে অপরাজিত ছিলেন তিনি।