‘আর নয় শব্দ দূষণ, চাই সুস্থ জীবন’ প্রতিপাদ্যে আজ পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক শব্দসচেতনতা দিবস। দিবসটি উপলক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ৬৪ জেলায় কর্মশালা ও শোভাযাত্রা, দূষণবিরোধী সচেতনতা বাড়াতে পোস্টার, লিফলেট ও স্টিকার বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া দেশের বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থাও নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করছে।
আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) দূষণ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে আন্তর্জাতিক শব্দসচেতনতা দিবস ২০২৫ উপলক্ষে র্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
র্যালি শেষে বক্তারা বলেন, আজকে শব্দ দূষণ বাংলাদেশে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। হর্ন বলেন, মাইকের আওয়াজ, নির্মাণ কাজের আওয়াজ এতে আমারা মানুষিক শারীরিক সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
বক্তারা আরও বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বায়ুদূষণ হওয়ার সাথে সাথে শব্দ দূষণেও তকমাটাও এখন ঢাকা শহরের উপরে আছে । এই কারণে নারী, বয়স্ক মানুষ, গর্ভবতী মহিলা, শিশু সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মানববন্ধন থেকে গাড়ি চালকদের প্রতি যানজটে অযথা হর্ন বাজানো থেকে বিরত থাকা, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর সামনে হর্ন না বাজানোর অভ্যাস করা, শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ মেনে চলা, গাড়িতে নিষিদ্ধ হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার না করা, নো-হর্ন সাইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া, যত্রতত্র গাড়ি রাস্তায় পার্কিং করা থেকে বিরত থাকা ইত্যাদি আহ্বান জানানো হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধিরা র্যালি ও মানববন্ধনে অংশ নেন।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা সেন্টার ফর হেয়ারিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে থেকে উচ্চ শব্দ নিয়ে বৈশ্বিক প্রচারণা শুরু করে। ওই বছর থেকে এপ্রিল মাসের শেষ বুধবার দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। সে অনুযায়ী এবার ৩০ এপ্রিল হচ্ছে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস।