সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মৌসুমী বায়ু, লঘুচাপে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা Logo প্রধান উপদেষ্টা ‘অবশ্যই’ থাকছেন: পরিকল্পনা উপদেষ্টা   Logo তুরাগ দিয়েই নদী দখল ও দূষণমুক্তকরণের প্রক্রিয়া শুরু করবো: উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান Logo ট্রেনে ঈদযাত্রা: ৩ জুনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি আজ Logo রাতে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo প্রকৃতির প্রতিশোধ: সংকটে জীববৈচিত্র্য Logo লঘুচাপ, ঘূর্ণিঝড়ের গুঞ্জন! কেমন যেতে পারে মাসের শেষ দিনগুলো, যা বলছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস Logo প্রশাসনিক সমন্বয় ও সংস্কার ছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ সম্ভব নয় : পরিবেশ উপদেষ্টা Logo বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল Logo প্রকৃতির সঙ্গে সুর মিলিয়ে চলার বার্তা নিয়ে এবছরের আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস

আপনিও কি রোজা রেখে এই কাজ গুলো করছেন!

আপনিও কি রোজা রেখে এই কাজ গুলো করছেন!

প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা রমজান আমাদের মাঝে এসে দশ দিন অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। এভাবেই আস্তে আস্তে আমাদের থেকে পুরো রমজান শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা নিজেদেরকে কতটুকু পরিমান আত্মশুদ্ধি করতে পারলাম। কতটুকু আমরা রবের নৈকট্য হাসিল করতে পারলাম । তা নিয়ে আমাদের চিন্তা করা উচিত!

আজ থেকে রহমতের দশ দিন শেষ হয়ে মাগফিরাতের দশ দিন শুরু হয়ে গেল। এই মাগফেরাতের দশ দিনে আমরা যেন রবের কাছে বেশি বেশি ক্ষমা চেয়ে রবের সন্তুষ্ট হাসিল করে আমরা ক্ষমা পেতে পারি। এটাই যেন হয় আমাদের এই দশ দিনের লক্ষ্য!!

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন হে ঈমানদারগণ আমি তোমাদের উপর রোজা কে আবশ্যক করে দিয়েছি যেভাবে আমি তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর তা আবশ্যক করে দিয়েছিলাম যাতে তোমরা মুত্তাকী হও। ( সূরা বাকারা আয়াত নাম্বার ১৮৩ )

মুত্তাকী হওয়া কি?

মুত্তাকী হওয়া অর্থ হচ্ছে সর্বোপরি পাপ ও গুনাহ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা। এবং আল্লাহ তায়ালার আদেশগুলো বেশি থেকে বেশি পালন করা। যেন একটি মুস্তাহাব বা সুন্নত আমাদের থেকে ছুটে না যায়। তাহলেই আমরা প্রকৃত মুত্তাকী হব।

এখন আমরা সারাদিন রোজা রাখি । কিন্তু আমরা দিনের বেলায় অন্যের গীবত করি। অন্যের দোষ নিয়ে বলাবলি করি। মানুষের সাথে হিংসা পোষণ করি। মিথ্যা কথা বলি। মিথ্যা বলে আমাদের কাজ হাসিল করি। তাহলে আমাদের রোজা আল্লাহ তাআলার নিকট যথাযথ পরিপূর্ণ হবে না। আমাদের এই গুনাহের কারণে আমাদের রোজা তার স্তর থেকে নিচে নেমে যাবে।

রাসুল সাঃ হাদিসে বলেন যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা ও মিথ্যা কথা দিয়ে কাজ করা পরিত্যাগ করল না। আল্লাহয়তালার নিকট তার খাবার ও পানীয় বস্তু থেকে বিরত থাকার কোন প্রয়োজন নাই। ( মুসনাদে আহমদ হাদিস নাম্বার ১০৫৬২)

দেখুন প্রিয় ভাই আমার রসূল সাঃ হাদিসে কত বড় ধমকি দিয়েছেন। যদি আমরা রোজা রেখে মিথ্যা কথা বলি। গীবত করি। চোখের গুনাহ করি। হাতের গুনা করি না। তাহলে আমাদের এই রোজা দ্বারা আমরা পরিপূর্ণ লাভবান হবো না ও আমাদের যে কাঙ্ক্ষিত আত্মশুদ্ধি হওয়ার কথা ছিল সেটাও হবে না।

বরং আমাদের রোজা আমাদের কোন কাজে নাও আসতে পারে। সেজন্য আমাদের জন্য সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যেন আমাদের সিয়ামের দিনগুলোতে কোন গুনাহ না হয়ে যায়। আল্লাহ তালার কোন নাফরমানি না হয়ে যায়। এ বিষয়ে আমরা সব থেকে বেশি খেয়াল ও সতর্ক থাকব।

হে আল্লাহ আপনি আমাদের সকলকে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুন আমীন ইয়া রাব্বানা আলামিন।

 

মুফতি তারিক জামিল
ইসলামী চিন্তাবিদ, গবেষক ও লেখক

আপলোডকারীর তথ্য

মৌসুমী বায়ু, লঘুচাপে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা

আপনিও কি রোজা রেখে এই কাজ গুলো করছেন!

আপডেট সময় ০১:৫৬:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা রমজান আমাদের মাঝে এসে দশ দিন অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। এভাবেই আস্তে আস্তে আমাদের থেকে পুরো রমজান শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা নিজেদেরকে কতটুকু পরিমান আত্মশুদ্ধি করতে পারলাম। কতটুকু আমরা রবের নৈকট্য হাসিল করতে পারলাম । তা নিয়ে আমাদের চিন্তা করা উচিত!

আজ থেকে রহমতের দশ দিন শেষ হয়ে মাগফিরাতের দশ দিন শুরু হয়ে গেল। এই মাগফেরাতের দশ দিনে আমরা যেন রবের কাছে বেশি বেশি ক্ষমা চেয়ে রবের সন্তুষ্ট হাসিল করে আমরা ক্ষমা পেতে পারি। এটাই যেন হয় আমাদের এই দশ দিনের লক্ষ্য!!

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন হে ঈমানদারগণ আমি তোমাদের উপর রোজা কে আবশ্যক করে দিয়েছি যেভাবে আমি তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর তা আবশ্যক করে দিয়েছিলাম যাতে তোমরা মুত্তাকী হও। ( সূরা বাকারা আয়াত নাম্বার ১৮৩ )

মুত্তাকী হওয়া কি?

মুত্তাকী হওয়া অর্থ হচ্ছে সর্বোপরি পাপ ও গুনাহ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা। এবং আল্লাহ তায়ালার আদেশগুলো বেশি থেকে বেশি পালন করা। যেন একটি মুস্তাহাব বা সুন্নত আমাদের থেকে ছুটে না যায়। তাহলেই আমরা প্রকৃত মুত্তাকী হব।

এখন আমরা সারাদিন রোজা রাখি । কিন্তু আমরা দিনের বেলায় অন্যের গীবত করি। অন্যের দোষ নিয়ে বলাবলি করি। মানুষের সাথে হিংসা পোষণ করি। মিথ্যা কথা বলি। মিথ্যা বলে আমাদের কাজ হাসিল করি। তাহলে আমাদের রোজা আল্লাহ তাআলার নিকট যথাযথ পরিপূর্ণ হবে না। আমাদের এই গুনাহের কারণে আমাদের রোজা তার স্তর থেকে নিচে নেমে যাবে।

রাসুল সাঃ হাদিসে বলেন যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা ও মিথ্যা কথা দিয়ে কাজ করা পরিত্যাগ করল না। আল্লাহয়তালার নিকট তার খাবার ও পানীয় বস্তু থেকে বিরত থাকার কোন প্রয়োজন নাই। ( মুসনাদে আহমদ হাদিস নাম্বার ১০৫৬২)

দেখুন প্রিয় ভাই আমার রসূল সাঃ হাদিসে কত বড় ধমকি দিয়েছেন। যদি আমরা রোজা রেখে মিথ্যা কথা বলি। গীবত করি। চোখের গুনাহ করি। হাতের গুনা করি না। তাহলে আমাদের এই রোজা দ্বারা আমরা পরিপূর্ণ লাভবান হবো না ও আমাদের যে কাঙ্ক্ষিত আত্মশুদ্ধি হওয়ার কথা ছিল সেটাও হবে না।

বরং আমাদের রোজা আমাদের কোন কাজে নাও আসতে পারে। সেজন্য আমাদের জন্য সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যেন আমাদের সিয়ামের দিনগুলোতে কোন গুনাহ না হয়ে যায়। আল্লাহ তালার কোন নাফরমানি না হয়ে যায়। এ বিষয়ে আমরা সব থেকে বেশি খেয়াল ও সতর্ক থাকব।

হে আল্লাহ আপনি আমাদের সকলকে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুন আমীন ইয়া রাব্বানা আলামিন।

 

মুফতি তারিক জামিল
ইসলামী চিন্তাবিদ, গবেষক ও লেখক