মহাবন আমাজন, ৯ টি দেশজুড়ে বিস্তৃত এই অরণ্যকে বলা হয় পৃথিবীর ফুসফুস। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কাটা পৃথিবীর ফুসফুসেও লেগেছে। এছাড়া কাঠের চোরাকারবারি, অবৈধ স্বর্ণখনি এবং বন উজার করে পশু খামার করাদের অপরিণামদর্শী বাড়াবাড়িতে ক্ষত-বিক্ষত এই বন। আমাজনের বড় একটি অংশ পড়েছে ব্রাজিলে। ব্রাজিলের লুলা দা সিলভার সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমাজন রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবু দুঃখজনক বাস্তবতা হলো এবছর অর্ধেক না যেতেই জায়গায় জায়গায় পুড়ছে আমাজন। ২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজার আগুনের ঘটনা ঘটেছে এই অরণ্যে। যা-গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক একাধিক সংবাদমাধ্যম।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, আগুনে বনটির প্রায় ৬০০ বর্গকিলোমিটার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, যা গত বছর আগুনে নষ্ট হওয়া বনের তুলনায় ৩৩ শতাংশ বেশি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবছরই দাবানলের কবলে পড়ে আমাজন। ব্রাজিলে এরকম ঘটনার সংখ্যা বেশি। এবারের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। গত ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলের কবলে পড়েছে এই বনটি।
বিশ্লেষকদের মতে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে গত ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মুখে পড়েছে আমাজন বনের ব্রাজিলের অংশ। দাবানলের আগুন নেভানোর জন্য কাজ করছে দমকল বাহিনীর কর্মীরা।

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই দাবানলের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এবারের দাবানল ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভার জন্য একটি কঠিন পরীক্ষা হতে পারে।
যিনি গত বছর জাতিসংঘের জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের আগে ব্রাজিলের পরিবেশগত উন্নতির ওপর বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছেন। এই সপ্তাহে প্রকাশিত একটি গবেষণায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, আগুন এই অঞ্চল থেকে আরও কার্বন ডাইঅক্সাইড ছেড়ে দিতে পারে।
পরিবেশগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গবেষণা সংস্থা আইএনপিই তথ্য অনুসারে জুলাই মাসে ব্রাজিলের আমাজনে বন উজাড় এক বছর আগের তুলনায় বেশ বেড়েছে। কিন্তু সরকার জোর দিয়ে বলেছে, ২০২৩ সালের প্রথম সাত মাসের তুলনায় এখন পর্যন্ত বছরে বন উজাড় ২৭ শতাংশ কম।
ডেস্ক রিপোর্ট 



















