ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বাত্মক আক্রমণ শুরুর আজ ৩ বছর পূর্তি হলো। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের রুশ সীমান্তবর্তী দনবাস দিয়ে রাশিয়ার সেনারা ঢুকে পড়ে পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনে। কমেডিয়ান থেকে প্রেসিডেন্ট হওয়া ভলোদিমির জেলেনস্কির মার্কিনপন্থী পররাষ্ট্রনীতি, ন্যাটোতে যোগ দেয়ার পায়তারায় আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে রাশিয়া। যুদ্ধের সূত্রপাত সেখান থেকেই যা এখনো চলছে পুরোদমে, রাশিয়ার হাতে চলে গেছে ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ।
এমনকি যুদ্ধের তিন বছর পূর্তির আগের রাতেও ইউক্রেনে ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এক রাতেই ইউক্রেনে ২৬৭টি ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী।
তবে প্রাণঘাতী এবং পুরো বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয়া এই যুদ্ধ দ্রুত শেষ হবে বলে আশা জাগাচ্ছে এতদিন ইউক্রেন যুদ্ধে মদদ দেয়া আমেরিকা। ক্ষমতার পালাবদলে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই মার্কিন সরকার চাইছে এই যুদ্ধদ্রুত শেষ হোক, এমনকি রাশিয়ার সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের আলোচনাও এগিয়ে চলছে। হোয়াইট হাউস বলছে, ‘এই সপ্তাহে’ অবসান হতে পারে ইউক্রেন যুদ্ধ!

স্থানীয় সময় শনিবার শনিবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন সংঘাতের অবসান ঘটানোর জন্য রাশিয়ার সাথে একটি চুক্তি আলোচনার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধ এই সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্স (সিপিএসি) থেকে ফিরে সাউথ লনে সাংবাদিকদের লেভিট বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার দল এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে এই যুদ্ধের উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ওপর খুব বেশি মনোযোগী। প্রেসিডেন্ট নিজেও খুব আত্মবিশ্বাসী যে- আমরা এই সপ্তাহে এটি সম্পন্ন করতে পারব।”
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আর “কোনও অপশন নেই” এবং আন্তর্জাতিক নেতাদের সাথে ভবিষ্যতে শান্তি আলোচনা থেকে তাকে বাদ দেয়া উচিত বলে ট্রাম্প দাবি করার পরে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্রের কাছ থেকে এই মন্তব্য এলো।
লেভিট বলেছেন, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ম্যাট ওয়াল্টজ এই সপ্তাহান্তে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ‘দিন-রাত’ কাজ করবেন। এছাড়া অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট নিজেও খনিজ ব্যবহার সংক্রান্ত ইউক্রেনের সাথে একটি প্রস্তাবিত চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।