প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি ক্ষমতায় গেলে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন। তিনি ইতোমধ্যে এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন। এখন জানা গেছে, সৌদি আরবে ইউক্রেন যুদ্ধবন্ধের আলোচনায় বসতে পারে আমেরিকা ও রাশিয়া। আর এ বিষয়ে ইউরোপের সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা করেনি আমেরিকা। ফলে ইউরোপ পড়েছে নতুন এক বাস্তবতায়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও এখন আমেরিকার আশা হারিয়ে ইউরোপকে এক হওয়ার ডাক দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে জরুরী বৈঠকে বসছেন ইউরোপের নেতারা।
ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে আমেরিকার শান্তি আলোচনার পরিপেক্ষিতে জরুরি সম্মেলন ডেকেছেন ইউরোপীয় নেতারা। ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে আগামী সপ্তাহে এই সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্যারিসে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। স্টারমার বলেন, ‘আমেরিকার সঙ্গে কাজ করে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা এবং রাশিয়া থেকে আসা হুমকি মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে ইউরোপকে অবশ্যই ন্যাটোতে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে।’
স্টারমার মনে করেন, তাঁর ভূমিকা হবে আমেরিকা ও ইউরোপকে একত্রিত করা, যাতে ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত করা যায়। এই মাসের শেষে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে ইউরোপীয় নেতাদের মতামত নিয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর।
স্যার কিয়ার স্টারমার আমেরিকা থেকে ফিরে এলে ইউরোপীয় নেতাদের আরেকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও উপস্থিত থাকবেন।
এদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য ‘ইউরোপীয় সেনাবাহিনী’ গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হয়ত আর ইউরোপের সহায়তায় এগিয়ে আসবে না।
জার্মানির মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে জেলেনস্কি ইউরোপীয় সেনাবাহিনী গড়ার এই ডাক দিয়ে আরও বলেন, ইউক্রেন কোনও শান্তি চুক্তি কখনও মেনে নেবে না যেটি তাদেরকে ছাড়া হবে।