দেশে বন্যপাখি বিক্রির অসাধু-অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট (ডব্লিউসিসিইউ)। এরই অংশ হিসেবে তারা গত ১৯ জানুয়ারি গাজীপুরের টঙ্গী পাখির হাট ও অনলাইনে পাখি পাচারকারীচক্রের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে ৪১ টি বন্যপাখি উদ্ধার করেছে।
আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) ডব্লিউসিসিইউ-এর ফেসবুক পেইজে দেয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে: “গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট গাজীপুরের টঙ্গী বাজার পাখির হাটে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন প্রজাতির ৩৮টি বন্যপাখি উদ্ধার করে। এ সময় ইব্রাহিম নামে এক অনলাইন পাখি ব্যবসায়ীর গোডাউনে অভিযান চালিয়ে ৩টি চন্দনা টিয়ার বাচ্চাও উদ্ধার করা হয়। অবৈধ কারবারে জড়িত মোঃ ইব্রাহিমকে আটক করা হয়।
ডব্লিউসিসিইউ আরও জানিয়েছে, বিভিন্ন সময়ে ইউটিউব চ্যানেলে দেশীয় বন্যপ্রাণীর বিজ্ঞাপন দিয়ে বন্যপ্রাণীর অবৈধ কারবার করতেন ইব্রাহিম। এর আগেও ৩ বার এই আসামীর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ডব্লিউসিসিইউ এর সদস্যরা। মুচলেকা গ্রহণ, থানায় নিয়মিত মামলা ও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা দিয়েও দমানো যায়নি এই একরোখা পাখি ব্যবসায়ী ও পাচারকারীকে। বরং জেল হেফাজত থেকে বের হয়ে ইব্রাহিম বার বার দেশি পাখি ক্রয়-বিক্রয় এবং পাচারের সাথে সম্পৃক্ত হয়।
তার নিজের ইউটিউব চ্যানেলের সাথে আরো কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেল (পেটস, পাখি পালন বাংলা) এর সহযোগীতায় অনলাইনে শুরু করে বন্যপাখির রমরমা ব্যবসা।
এবারের এই অভিযানে ইব্রাহিমের গোডাউন থেকে বিপন্ন প্রজাতির ৩ টি চন্দনা টিয়ার বাচ্চা জব্দ করা হয় এবং তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়।

উপস্থিত জনতা ও গোডাউন মালিক পাখিগুলো ইব্রাহীমের বলে স্বীকার করেছেন। উক্ত স্বীকারোক্তির প্রেক্ষিতে আসামীর বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও দেশীয় পাখির অবৈধ কারবারে জড়িত অন্যান্য ইউটিউব চ্যানেলের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থার প্রস্তুতি চলছে।”