দক্ষিণ কোরিয়ায় ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলে কমপক্ষে ২৬ জন নিহত ও ২৬ জন আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন। মানুষ এবং প্রাচীন নিদর্শন উদ্ধারের চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা।
আজ (২৭ মার্চ) বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, তীব্র বাতাস ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, হাজার বছরের পুরনো ঐতিহাসিক মন্দিরগুলোতে আগুন জ্বলছে, যা রক্ষায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লড়াই করছেন।
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ উত্তর গিয়ংসাং-এ শত শত ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে, দেশটির দুর্যোগ প্রধান বলেছেন যে আগুন বৈশ্বিক উষ্ণায়নের “তিক্ত বাস্তবতা” উন্মোচিত করেছে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বাতাসের তীব্রতার কারণে আগুন নেভানোর সময় একটি ফায়ার সার্ভিস হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। শুক্রবার (২১ মার্চ) দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে শুরু হওয়া এই দাবানলে হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
বেশিরভাগ মৃতের বয়স ৬০ থেকে ৭০ বছর। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ শুরু হওয়া আগুনে তাদের ঘরবাড়ি পুড়ে যায়। এক স্থানীয় বাসিন্দা আগুনের ভয়াবহতা বর্ণনা করে বলেন, তার শহরের ক্ষয়ক্ষতি ‘বিধ্বংসী’ পর্যায়ের।
ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু জানান, দাবানল নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং দেশে অবস্থানরত মার্কিন সেনাবাহিনীও সহায়তা করছে। তবে তিনি স্বীকার করেন, পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি।