ইসরায়েলে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইরানের ‘হাজ কাসেম’, নিহত ৮, আহত ২ শতাধিক

ইসরায়েলে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইরানের ‘হাজ কাসেম’, নিহত ৮, আহত ২ শতাধিক

ইসরায়েলের হামলার জবাবে প্রথম দফায় শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। তবে এই হামলার সফলতা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। দ্বিতীয় দফায় হামলায় ইসরায়েলের অল্প কিছু ক্ষয়ক্ষতি হলেও অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করে ইসরায়েলী আকাশ প্রতিরক্ষা। কিন্তু তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় হামলা চালিয়ে তেল আবিব, বন্দর হাইফাসহ ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোয় একরকম ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইরান। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজগুলোতে দেখা গেছে, ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ছে ইসরায়েলে। অর্থাৎ আক্রমণকারী ইসরায়েল এখন নিজেও বেশ ক্ষতবিক্ষত। ইসরায়েলে এসব ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বেশ কিছু ভবন ধ্বংস হলেও নেতানিয়াহু সরকার ৮ জন নিহতের খবর জানিয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, সর্বশেষ রোববার সকালে ইরানের চালানো হামলায় হতাহতের সংখ্যা এক’শ ছাড়িয়ে গেছে। ঘটনাস্থলে থাকা অন্তত কয়েক ডজন মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় বন্দর শহর হাইফার নিকটবর্তী তামরা শহরের একটি ভবনে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে অন্তত চারজন নিহত হয়। নিহতদের সবাই এক পরিবারের নারী সদস্য বলে টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে।

 

ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা মেগান ডেভিড আদমের এক মুখপাত্র দেশটির চ্যানেল ১২ নিউজকে জানিয়েছেন, রাতে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলজুড়ে প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছেন।

বাত ইয়ামের আট তলা একটি আবাসিক ভবন ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ভবনটি থেকে অনেককে উদ্ধার করা গেলেও এখনও প্রায় ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে ইসরায়েলের গণমাধ্যম জানিয়েছে। এখানে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে বলে জরুরি পরিষেবার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন।পুরো ভবনটি ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকারীরা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছেন।

ইসরায়েলের উপর সাম্প্রতিক হামলায় ইরান তাদের নতুন ধরণের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয়-অনুমোদিত ফার্স সংবাদ সংস্থার মতে, রোববার রাতভর একের পর এক হামলার সময় ইসরায়েলে হাজ কাসেম গাইডেড ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত হানা হয়েছে।

ইরানের তাসনিম সংবাদ সংস্থার মতে, মে মাসের প্রথম দিকে উন্মোচিত এই ক্ষেপণাস্ত্র শক্ত জ্বালানিতে সজ্জিত, এর পাল্লা ১২০০ কিলোমিটার। একটি কৌশলগত ওয়ারহেড দিয়ে সজ্জিত এই যুদ্ধাস্ত্র ক্ষেপণাস্ত্র-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে পারে।

 

নতুন অত্যাধুনিক এই এই ক্ষেপণাস্ত্রটির নাম কাসেম বাসির, যার নামকরণ করা হয়েছে ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের বিশেষ অপারেশন ইউনিট কুদস বাহিনীর সাবেক কমান্ডার কাসেম সোলাইমানির নামে, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ইরাকে মার্কিন হামলায় নিহত হন।

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইরানের ‘হাজ কাসেম’, নিহত ৮, আহত ২ শতাধিক

আপডেট সময় ১২:১১:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

ইসরায়েলের হামলার জবাবে প্রথম দফায় শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। তবে এই হামলার সফলতা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। দ্বিতীয় দফায় হামলায় ইসরায়েলের অল্প কিছু ক্ষয়ক্ষতি হলেও অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করে ইসরায়েলী আকাশ প্রতিরক্ষা। কিন্তু তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় হামলা চালিয়ে তেল আবিব, বন্দর হাইফাসহ ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোয় একরকম ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইরান। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজগুলোতে দেখা গেছে, ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ছে ইসরায়েলে। অর্থাৎ আক্রমণকারী ইসরায়েল এখন নিজেও বেশ ক্ষতবিক্ষত। ইসরায়েলে এসব ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বেশ কিছু ভবন ধ্বংস হলেও নেতানিয়াহু সরকার ৮ জন নিহতের খবর জানিয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, সর্বশেষ রোববার সকালে ইরানের চালানো হামলায় হতাহতের সংখ্যা এক’শ ছাড়িয়ে গেছে। ঘটনাস্থলে থাকা অন্তত কয়েক ডজন মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় বন্দর শহর হাইফার নিকটবর্তী তামরা শহরের একটি ভবনে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে অন্তত চারজন নিহত হয়। নিহতদের সবাই এক পরিবারের নারী সদস্য বলে টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে।

 

ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা মেগান ডেভিড আদমের এক মুখপাত্র দেশটির চ্যানেল ১২ নিউজকে জানিয়েছেন, রাতে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলজুড়ে প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছেন।

বাত ইয়ামের আট তলা একটি আবাসিক ভবন ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ভবনটি থেকে অনেককে উদ্ধার করা গেলেও এখনও প্রায় ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে ইসরায়েলের গণমাধ্যম জানিয়েছে। এখানে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে বলে জরুরি পরিষেবার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন।পুরো ভবনটি ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকারীরা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছেন।

ইসরায়েলের উপর সাম্প্রতিক হামলায় ইরান তাদের নতুন ধরণের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয়-অনুমোদিত ফার্স সংবাদ সংস্থার মতে, রোববার রাতভর একের পর এক হামলার সময় ইসরায়েলে হাজ কাসেম গাইডেড ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত হানা হয়েছে।

ইরানের তাসনিম সংবাদ সংস্থার মতে, মে মাসের প্রথম দিকে উন্মোচিত এই ক্ষেপণাস্ত্র শক্ত জ্বালানিতে সজ্জিত, এর পাল্লা ১২০০ কিলোমিটার। একটি কৌশলগত ওয়ারহেড দিয়ে সজ্জিত এই যুদ্ধাস্ত্র ক্ষেপণাস্ত্র-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে পারে।

 

নতুন অত্যাধুনিক এই এই ক্ষেপণাস্ত্রটির নাম কাসেম বাসির, যার নামকরণ করা হয়েছে ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের বিশেষ অপারেশন ইউনিট কুদস বাহিনীর সাবেক কমান্ডার কাসেম সোলাইমানির নামে, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ইরাকে মার্কিন হামলায় নিহত হন।