ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ পাল্টাপাল্টি হামলায় কার্যত যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে অঞ্চলটিতে। রোববারের হামলায় লেবাননে তিনজন ও ইসরায়েলে একজন নিহত হয়েছেন। উভয় পক্ষ ইঙ্গিত দিয়েছে, এই পাল্টাপাল্টি হামলা আর না বাড়ায় তারা সন্তুষ্ট। কিন্তু সামনের আরও আঘাত হানা হতে পারে বলে উভয়পক্ষই সতর্ক করেছে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকালে প্রায় ১০০ যুদ্ধবিমান দিয়ে দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। ১০০টি যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলার বিষয়টি সঠিক হলে সেটি হবে লেবাননে ২০০৬ সালের ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সর্বাত্মক যুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় হামলা।
হিজবুল্লাহও উত্তর ইসরায়েলে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। লেবাননের এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি জানায়, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে সামরিক স্থাপনায় তিন শতাধিক কাতিউশা রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।

গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে গোটা অঞ্চল জুড়েই দুইদেশের মধ্যে উত্তেজনা আরেকবার সর্বাত্মক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা আছে। এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, গত ৩০ জুলাই তাদের কমান্ডার ফুয়াদ শোকর হত্যার বদলা নিতে প্রথম দফায় ইসরায়েলে বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল।
ফুয়াদ শোকর হত্যাকাণ্ডের পর ইরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া হত্যায় ইসরায়েলের হাত আছে বলে ধারণা করা হয়। এর জেরে হিজবুল্লাহর পাশাপাশি ইরানের কাছ থেকেও প্রতিশোধমূলক হামলার মুখে আছে ইসরায়েল।
সবমিলিয়ে এই হামলা আরও ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিবিসির নিরাপত্তা প্রতিবেদক ফ্রাঙ্ক গার্ডনার বলেন, ‘ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ পাল্টাপাল্টি হামলায় বড় আকারের যুদ্ধের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।’
যদিও ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহ নেতারা বলছেন, তারা আরেকটি সর্বাত্মক যুদ্ধ চান না। কিন্তু উভয়পক্ষ থেকে এই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার কথা জানানো হয়েছে।
ডেস্ক রিপোর্ট 




















