সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভারত-পাকিস্তানে একরাতের ব্যবধানে বোমা হামলা: দিল্লিতে নিহত ৯, ইসলামাবাদে নিহত ১২ Logo রাতের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে Logo সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ল সাড়ে তিন মাস Logo দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হজ পালনের অনুমতি দিবে না সৌদি সরকার Logo নদী গিলে নিচ্ছে জমি: ভাঙনের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তহীন লড়াই Logo ময়মনসিংহে বাসে আগুন, দগ্ধ হয়ে চালকের মৃত্যু Logo টাঙ্গুয়ার, হাকালুকি হাওরে সুরক্ষা আদেশ জারি: উচ্চস্বরে গান-বাজনা, পার্টি করা যাবে না Logo জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন: উপকূল, পাহাড়ে বাড়লো নিরাপদ পানির আশা     Logo কপ ৩০: জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এবারের সম্মেলন খুঁজবে দুটি জরুরি প্রশ্নের উত্তর Logo বয়স চল্লিশের পর সকালের নাস্তা কেমন হবে

এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা

এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা । ছবি : সংগৃহীত

স্থগিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আর অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, স্থগিত থাকা পরীক্ষাগুলো না নেয়ার জন্য এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাই স্থগিত থাকা বিষয়গুলোর পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ফলাফল কীভাবে নির্ধারণ হবে, তা পরে সিদ্ধান্ত হবে।’

এরআগে দুপুরে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েন হাজারও এইচএসসি পরীক্ষার্থী। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরীক্ষা না দেয়ার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, এরইমধ্যে যে কয়টি বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, তার ভিত্তিতেই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে। কারণ হিসেবে আন্দোলনে অনেক পরীক্ষার্থী আহত হওয়া এবং পড়াশোনায়ও ক্ষতি হওয়ার কথা উল্লেখ করেন তারা।

পরে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শেখ আব্দুর রশিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এ সময় সচিবের কক্ষের বাইরে পরীক্ষা না দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনরত অনেক পরীক্ষার্থী।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০ জুন থেকে। এরপর পহেলা জুলাই থেকে চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলেও এর মধ্যেই ঢাকা বোর্ডের সাতটি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন বোর্ডের বেশ কয়েকটি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলন ক্রমেই তীব্র হয়ে ওঠায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। কয়েক ধাপে পরীক্ষা পেছানো হয়।

সবশেষ শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে এক জরুরি সভায় ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা আরও দুই সপ্তাহ পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া, ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থেকে ৫০ নম্বরের উত্তর দেয়ার মাধ্যমে অর্থাৎ অর্ধেক প্রশ্নোত্তরে বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারত-পাকিস্তানে একরাতের ব্যবধানে বোমা হামলা: দিল্লিতে নিহত ৯, ইসলামাবাদে নিহত ১২

এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা

আপডেট সময় ০৫:৪৮:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
স্থগিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আর অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, স্থগিত থাকা পরীক্ষাগুলো না নেয়ার জন্য এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাই স্থগিত থাকা বিষয়গুলোর পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ফলাফল কীভাবে নির্ধারণ হবে, তা পরে সিদ্ধান্ত হবে।’

এরআগে দুপুরে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েন হাজারও এইচএসসি পরীক্ষার্থী। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরীক্ষা না দেয়ার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, এরইমধ্যে যে কয়টি বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, তার ভিত্তিতেই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে। কারণ হিসেবে আন্দোলনে অনেক পরীক্ষার্থী আহত হওয়া এবং পড়াশোনায়ও ক্ষতি হওয়ার কথা উল্লেখ করেন তারা।

পরে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শেখ আব্দুর রশিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এ সময় সচিবের কক্ষের বাইরে পরীক্ষা না দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনরত অনেক পরীক্ষার্থী।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০ জুন থেকে। এরপর পহেলা জুলাই থেকে চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলেও এর মধ্যেই ঢাকা বোর্ডের সাতটি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন বোর্ডের বেশ কয়েকটি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলন ক্রমেই তীব্র হয়ে ওঠায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। কয়েক ধাপে পরীক্ষা পেছানো হয়।

সবশেষ শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে এক জরুরি সভায় ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা আরও দুই সপ্তাহ পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া, ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থেকে ৫০ নম্বরের উত্তর দেয়ার মাধ্যমে অর্থাৎ অর্ধেক প্রশ্নোত্তরে বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।