সংবাদ শিরোনাম ::
Logo প্রকৃতির প্রতিশোধ: সংকটে জীববৈচিত্র্য Logo লঘুচাপ, ঘূর্ণিঝড়ের গুঞ্জন! কেমন যেতে পারে মাসের শেষ দিনগুলো, যা বলছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস Logo প্রশাসনিক সমন্বয় ও সংস্কার ছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ সম্ভব নয় : পরিবেশ উপদেষ্টা Logo বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল Logo প্রকৃতির সঙ্গে সুর মিলিয়ে চলার বার্তা নিয়ে এবছরের আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস Logo জাতীয় নির্বাচন, ‘মানবিক করিডোর’, মব সহিংসতা নিয়ে যা বললেন সেনাপ্রধান Logo রিট খারিজ, মেয়র হিসেবে ইশরাককে শপথ পড়ানোর বাধা নেই Logo প্রাক বর্ষায় রাজধানীসহ নানাস্থানে মাঝারি-ভারী বৃষ্টি Logo শিল্পে বিনামূল্যে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন বন্ধে নীতিমালা চূড়ান্ত হচ্ছে : রিজওয়ানা হাসান Logo শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন শপথবাক্য পাঠ করানোর নির্দেশ

এই তীব্র গরমে যেসব সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি

এই তীব্র গরমে যেসব সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি

দেশে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা প্রায়ই ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। এ সময় শুধু রোদের তাপ নয়, আর্দ্রতা এবং বাতাসের অভাব মিলিয়ে শরীরের ওপর ব্যাপক চাপ পড়ে। অতিরিক্ত গরমের কারণে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় এবং হিট এক্সেশন, হিট স্ট্রোক, ডিহাইড্রেশনসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। তাই এই গরমে অসুস্থ হওয়ার আগেই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন
গরমে ঘামের কারণে শরীর থেকে প্রচুর পানি ও খনিজ লবণ বের হয়ে যায়। ফলে দেখা দেয় পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন। তাই দিনে অন্তত ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করুন। ঘামের পরিমাণ বেশি হলে ডাবের পানি, লেবু পানি বা ওরস্যালাইন খাওয়া যেতে পারে। অনেকে কোলা বা কফি-জাতীয় পানীয় পান করে থাকেন, কিন্তু এগুলো শরীরে আরও পানি কমিয়ে দেয়, যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

হালকা পোশাক পরুন
এ সময় হালকা, ঢিলেঢালা ও সুতির কাপড় পরা উচিত। হালকা রঙের কাপড় সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে, ফলে শরীর কিছুটা ঠান্ডা থাকে। কালো বা গাঢ় রঙের কাপড় তাপ শোষণ করে, যা শরীরের গরম আরও বাড়িয়ে দেয়।

সুরক্ষা নিয়ে বাইরে যান
প্রয়োজনে বাইরে বের হতে হলে ছাতা, হ্যাট বা ক্যাপ ব্যবহার করুন। সানগ্লাস পরে চোখ রক্ষা করুন এবং মুখে ও হাতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন, কারণ তারা সহজেই তাপজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে।

খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন
তীব্র গরমে হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়াই ভালো। তৈলাক্ত, মসলাযুক্ত ও ভারী খাবার গরমে অসহ্যতা সৃষ্টি করতে পারে। খাবারের তালিকায় রাখুন শসা, তরমুজ, মালটা, লাউ, তেতো করলা, জলপাইসহ জলীয় উপাদানে ভরপুর ফল ও সবজি। নিয়মিত দই বা ঘোল খেলে হজম ভালো হয় এবং শরীর ঠান্ডা থাকে।

ঘর ঠান্ডা রাখুন
যদি সম্ভব হয়, দিনের উত্তপ্ত সময় ঘরে থাকুন এবং জানালার পর্দা টেনে দিন, যেন সূর্যের আলো সরাসরি না ঢোকে। ফ্যান বা এসির ব্যবহারও কিছুটা স্বস্তি দেয়। রাতে ঘুমানোর সময় হালকা বিছানা ব্যবহার করুন।

সতর্কতার লক্ষণ চিনে নিন
অতিরিক্ত ঘাম, মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, ত্বক শুকিয়ে যাওয়া, বমিভাব বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে। প্রথমে আক্রান্তকে ঠান্ডা স্থানে নিয়ে পানি পান করাতে হবে এবং শরীর ঠান্ডা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হওয়া শুধু অস্বস্তিকর নয়, অনেক সময় বিপজ্জনকও হতে পারে। তবে সচেতন থাকলে এই ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব। তাই নিজে সচেতন হোন, পরিবারকেও সতর্ক রাখুন—এই গরমে সুস্থ ও নিরাপদ থাকতে হলে ছোট ছোট অভ্যাসই বড় সুরক্ষা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

 

আপলোডকারীর তথ্য

প্রকৃতির প্রতিশোধ: সংকটে জীববৈচিত্র্য

এই তীব্র গরমে যেসব সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি

আপডেট সময় ০৬:২৭:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

দেশে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা প্রায়ই ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। এ সময় শুধু রোদের তাপ নয়, আর্দ্রতা এবং বাতাসের অভাব মিলিয়ে শরীরের ওপর ব্যাপক চাপ পড়ে। অতিরিক্ত গরমের কারণে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় এবং হিট এক্সেশন, হিট স্ট্রোক, ডিহাইড্রেশনসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। তাই এই গরমে অসুস্থ হওয়ার আগেই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন
গরমে ঘামের কারণে শরীর থেকে প্রচুর পানি ও খনিজ লবণ বের হয়ে যায়। ফলে দেখা দেয় পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন। তাই দিনে অন্তত ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করুন। ঘামের পরিমাণ বেশি হলে ডাবের পানি, লেবু পানি বা ওরস্যালাইন খাওয়া যেতে পারে। অনেকে কোলা বা কফি-জাতীয় পানীয় পান করে থাকেন, কিন্তু এগুলো শরীরে আরও পানি কমিয়ে দেয়, যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

হালকা পোশাক পরুন
এ সময় হালকা, ঢিলেঢালা ও সুতির কাপড় পরা উচিত। হালকা রঙের কাপড় সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে, ফলে শরীর কিছুটা ঠান্ডা থাকে। কালো বা গাঢ় রঙের কাপড় তাপ শোষণ করে, যা শরীরের গরম আরও বাড়িয়ে দেয়।

সুরক্ষা নিয়ে বাইরে যান
প্রয়োজনে বাইরে বের হতে হলে ছাতা, হ্যাট বা ক্যাপ ব্যবহার করুন। সানগ্লাস পরে চোখ রক্ষা করুন এবং মুখে ও হাতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন, কারণ তারা সহজেই তাপজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে।

খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন
তীব্র গরমে হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়াই ভালো। তৈলাক্ত, মসলাযুক্ত ও ভারী খাবার গরমে অসহ্যতা সৃষ্টি করতে পারে। খাবারের তালিকায় রাখুন শসা, তরমুজ, মালটা, লাউ, তেতো করলা, জলপাইসহ জলীয় উপাদানে ভরপুর ফল ও সবজি। নিয়মিত দই বা ঘোল খেলে হজম ভালো হয় এবং শরীর ঠান্ডা থাকে।

ঘর ঠান্ডা রাখুন
যদি সম্ভব হয়, দিনের উত্তপ্ত সময় ঘরে থাকুন এবং জানালার পর্দা টেনে দিন, যেন সূর্যের আলো সরাসরি না ঢোকে। ফ্যান বা এসির ব্যবহারও কিছুটা স্বস্তি দেয়। রাতে ঘুমানোর সময় হালকা বিছানা ব্যবহার করুন।

সতর্কতার লক্ষণ চিনে নিন
অতিরিক্ত ঘাম, মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, ত্বক শুকিয়ে যাওয়া, বমিভাব বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে। প্রথমে আক্রান্তকে ঠান্ডা স্থানে নিয়ে পানি পান করাতে হবে এবং শরীর ঠান্ডা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হওয়া শুধু অস্বস্তিকর নয়, অনেক সময় বিপজ্জনকও হতে পারে। তবে সচেতন থাকলে এই ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব। তাই নিজে সচেতন হোন, পরিবারকেও সতর্ক রাখুন—এই গরমে সুস্থ ও নিরাপদ থাকতে হলে ছোট ছোট অভ্যাসই বড় সুরক্ষা হয়ে দাঁড়াতে পারে।