এবারের অমর একুশে বইমেলায় পলিথিন বা পলি-প্রোপাইলিন ব্যাগে বই বিক্রি বন্ধের চেষ্টা করা হবে। মেলার পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কোনো ব্যাগে বই বিক্রি না করা, সেই সাথে একবার ব্যবহারযোগ্য কাপ-প্লেট ও প্লাস্টিকের বোতলজাত পণ্য মেলায় নেয়াকে অনুৎসাহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। উপদেষ্টার সঙ্গে একমত জানিয়েছে মেলার আয়োজক বাংলা একাডেমি।
প্রতি বছর প্রায় হাজারেরও বেশি স্টলে বিক্রি হয় প্রায় লাখ খানেক বই। এর বেশির ভাগই পলিথিন বা প্রোপাইলিন ব্যাগে ক্রেতার হাতে তুলে দেয়া হয়। কিন্তু এবারের বই মেলায় এমন ব্যাগ ব্যবহার বন্ধের চেষ্টা থাকছে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বই মেলার পরিবেশ নষ্ট হয় এমন ব্যাগের বিকল্প কাগজ ও কাপড়ের ব্যাগে যোগান দিতে প্রস্তুত রয়েছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়।
পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, মেলায় কেউ পলিথিন-প্লাস্টিক বর্জ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে স্বেচ্ছাসেবকরাও থাকবেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশসহ জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্যরাষ্ট্র ২০২৪ সালের মধ্যে প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে চুক্তি করেছিল। অথচ সে সময়সীমা পার হয়ে গেলেও এ বিষয়ে দেশে আশানরূপ তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। তবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অন্তবর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর নতুন করে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করেন। এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিন নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ ,জরিমানা এবং কারখানা সিলগালা করা চলছে।