পাকিস্তানে ব্যাপক মিসাইল হামলার পরদিন এবার লাহোরে ভারতীয় ড্রোন ঢুকে পড়ার খবর দিলো পাকিস্তান। তবে নজরদারি ও বিস্ফোরক-বোঝাই ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে পাকিস্তানিরা দাবি করেছে। তাদের দাবি, লাহোরের ওয়ালটন বিমানবন্দরের কাছে ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করা হয়।
নাম প্রকাশে অনচ্ছিুক লাহোরের এক পুলিশ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (৮ মে) পাকিস্তানের শহরের ওপর নজরদারি চালানোর সময় দুটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় হামলার একদিন পর এ ঘটনা ঘটল। ড্রোনগুলো কী ধরনের ছিল বা কোথা থেকে এসেছিল তা জানা যায়নি।
সিএনএন বলছে, কর্মকর্তারা ড্রোনগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত পরীক্ষা করছেন এবং কোথা থেকে এসেছে এবং কাদের কাছে এগুলো ছিল খতিয়ে দেখছেন।
লাহোর শহর ভারতীয় সীমান্ত থেকে প্রায় ১৩ মাইল দূরে অবস্থিত। এই প্রদেশে এক কোটি ৩০ লাখ মানুষের বসবাস।
পাকিস্তানের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সময় দুপুর ১২ টা পর্যন্ত লাহোররে বিমানবন্ধর বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।
সূত্রগুলো বলছে, ভূপাতিত করা ড্রোনগুলো দিয়ে নজরদারি করা হচ্ছিল বলে দাবি করে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী। জ্যামারের মাধ্যমে সেগুলো অকেজো করে ধ্বংস করা হয়। এ সময় ড্রোনে বিস্ফোরক বহন করা হচ্ছিল বলেও দাবি করে পাকিস্তান।
এদিকে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সামা নিউজের আরেকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, লাহোরে কেবল একটি ড্রোন প্রবেশ করেছিল। ড্রোনটি যখন শহরের আকাশসীমায় প্রবেশ করে, তখন ক্যান্টনমেন্ট এলাকার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় হয় এবং কমপক্ষে দুটি গুলির মাধ্যমে এটিকে ভূপাতিত করে। ভূপাতিত ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পরে গুজরাট জেলার ডিঙ্গা গ্রামের কাছে পড়ে।
পুলিশ সূত্র নিশ্চিত করেছে, ধ্বংসাবশেষের খবরে নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশের সমন্বয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পীর ঝাণ্ডা গ্রামের মাঠ থেকে ড্রোনটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে সেগুলো ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য জব্দ করা হয়েছে যাতে ড্রোনটির মডেল ও উৎস নির্ধারণ করা যায়।
সৌভাগ্যবশত, এ ঘটনায় কোনো প্রাণহানি বা বেসামরিক স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ড্রোনটির প্রকৃতি ও আকাশসীমা লঙ্ঘনের উদ্দেশ্য নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।