মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘মশারি জালসহ নিষিদ্ধ উপকরণ দিয়ে মাছ ধরাটা অপরাধ, সারা দেশের মত কাপ্তাই হ্রদেও এসব জাল ও উপকরণ ব্যবহার করা যাবে না। যদি কেউ তা করেন, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
সোমবার (১২ মে) রাঙ্গামাটি ফিসারি ঘাটে কাপ্তাই হ্রদে কার্পজাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত ও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, ‘কাপ্তাই হ্রদে রাঙ্গামাটি জেলার লাইফ লাইন। এই লেকের পানি একদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, অন্যদিকে প্রাকৃতিকভাবে মাছের চাষ করা হয়। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই কাপ্তাই লেক। তাই এই লেকের বিষয়ে আমাদের যত্নবান হতে হবে।’
আরও বলেন, ‘এই লেকের কারণে রাঙ্গামাটি এখন দেশের বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটি। কিন্তু আগত পর্যটকরা লেক ভ্রমণে গিয়ে বিভিন্ন বর্জ্য ফেলে লেক দূষিত করছেন। এটা করা যাবে না। আমাদের প্রত্যেককে দায়িত্বশীল হতে হবে।
মাছের উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘একসময় মাছের ভাণ্ডার ছিল এই কাপ্তাই লেক। এখানে প্রায় ৮৬ প্রজাতির মাছ পাওয়া যেত। এখন সেটা কমে ৬৬ প্রজাতিতে এসে ঠেকেছে। এমনটা আমরা চাই না। তাই লেকের মাছের উৎপাদন ও প্রজাতি বাড়াতে কাজ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই লেকে ওপর ২৬ হাজার জেলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। বন্ধকালীন সময়ে তাদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়। কিন্তু এখানে এসে দেখলাম তাদের মাসে মাত্র ২০ কেজি করে চাল দেয়া হয়। অথচ দেশের অন্য স্থানে দেয়া হয় ৪০ কেজি। এদের সঙ্গে কেন এই অন্যায় করা হচ্ছে? বিষয়টি আমি দেখবো। ভিজিএফ বরাদ্দকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করবো।’
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন রাঙ্গামাটি শাখার আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন: বিএফডিসি চেয়ারম্যান সুমাইয়া আখতার জাহান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) অনুপ কুমার চাকমা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ প্রমুখ।