পাঁচ দশকের মধ্যে রেকর্ড শীতের কবলে ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মীর। তাপমাত্রা নেমেছে হিমাঙ্কের নিচে। ভূস্বর্গ হিসেবে পরিচিত কাশ্মীর কাঁপছে কনকনে ঠাণ্ডায়। তীব্র ঠান্ডায় জমে গেছে অঞ্চলটির অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ ডাল লেকের পানি। বরফের চাদরে ঢাকা এ হ্রদে বাধার মুখে পড়ছে নৌকা চলাচল। তাপমাত্রা আরও কমবে বলে সতর্ক করেছে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি। সেইসঙ্গে তুষারপাতের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে শ্রীনগরের তাপমাত্রা মাইনাস ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়, যা ১৯৭৪ সালের পর সর্বনিম্ন।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকালে খুবই ঠান্ডা পড়েছে এবং দেখতে পাচ্ছি ডাল লেক জমে গেছে। শুধু লেকই নয়, প্রবল ঠাণ্ডায় অঞ্চলটির বিভিন্ন এলাকার পাইপ লাইনের পানি, এমনকি মোটরও জমে গেছে। এতে স্বাভাবিক পানি সরবরাহে জটিলতা দেখা দিয়েছে।
হাড়কাঁপানো শীতে যবুথুবু কাশ্মীরিরা। ডাল লেকের পানি জমে যাওয়ায় লাঠির বাড়ি মেরে লেকের বরফ ফাটানোর চেষ্টা করছেন ঐতিহ্যবাহী নৌকা শিকারার মাঝিরা।
এদিকে তীব্র শীত কাশ্মীরিদের জন্য আপাতত সর্বনাশ হলেও শীতের মজা, তুষার আর হিম ঠাণ্ডা উপভোগ করতে যাওয়া পর্যটকদের কাছে আসলেই ‘পৌষ মাস’। শীতে তুষার শুভ্র ভূস্বর্গ এক অন্য সৌন্দর্য্য।
উল্লেখ্য, প্রতি শীত মৌসুমে শ্রীনগরের পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরের অন্য অনেক জায়গাতেও জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ে। তাপমাত্রা নেমে যায় মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও নীচে। শনিবার থেকে কাশ্মীরে ‘চিল্লা-ই-কালান’ শুরু হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে ডিসেম্বর মাসের শেষ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রবল শীতের প্রথম ৪০ দিনকে কাশ্মীরি ভাষায় ‘চিল্লা-ই-কালান’ বলা হয়।