কুমিল্লার মুরাদনগরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সোস্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
একই সঙ্গে নির্যাতনের শিকার ওই নারীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি আগামী ১৪ জুলাই এই মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
রোববার (২৯ জুন) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) কুমিল্লার মুরাদনগরে বাবারবাড়িতে বেড়াতে আসা হিন্দুধর্মাবলম্বী এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ফজর আলী নামে (৩৮) এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই দিন রাতে তার বাবারবাড়ির পাশে পূজা হচ্ছিলো। পরিবারের সদস্যরা সেখানে গিয়েছিলেন; তিনি বাড়িতে একা ছিলেন। আনুমানিক রাত ১০টার দিকে ফজর আলী (৩৮) নামের এক ব্যক্তি তার বাবারবাড়ি গিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। এ সময় তিনি দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন।
পরে শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে মুরাদনগর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে ভোর পাঁচটার দিকে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে। তারা হলেন মো. সুমন, রমজান আলী, মো. আরিফ ও মো. অনিক। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বাড়ি মুরাদনগর উপজেলায়।