সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাকিস্তানের রাস্তায় নারী-শিশুর ওপর সিংহের আক্রমণ, কিন্তু কিভাবে? Logo মূল্যস্ফীতির হার কমে ৮.৪৮ শতাংশে, ২৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন Logo ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৯২ Logo বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে নিয়ে যেতে চান ঋতুপর্ণা Logo যে কারণে চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন না সালমান খান Logo যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮২, নিখোঁজ ৪১ Logo ক্লাইমেট চেইঞ্জ ট্রাস্টকে শক্তিশালী করতে ১০বছর মেয়াদি স্ট্রাটেজিক প্ল্যান প্রণয়ন করা হবে Logo সন্তান আছে প্রমাণ করতে পারলে ২০ হাজার ডলার পুরস্কার দেবেন তানজিন তিশা Logo এসএসসির ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা Logo সাগরে লঘুচাপ, তিন বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস, ভূমিধসের আশঙ্কা

খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনায় ট্রাম্পের ‘না’, কোথায় আছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা?  

খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনায় ট্রাম্পের ‘না’, কোথায় আছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা?  

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায় বাধা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবর দিয়েছে, আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি এক পরিকল্পনা নাকচ করে দেন ট্রাম্প।

 

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ট্রাম্প প্রশাসনকে জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে খামেনিকে হত্যার সুযোগ তাদের কাছে ছিল, কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট পরিকল্পনাটি আটকে দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুইজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

 

মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে আরও বলেন, ‘ইরানিরা এখন পর্যন্ত কোনো মার্কিন নাগরিককে হত্যা করেনি। যতক্ষণ না তারা এমনটা করছে, ততক্ষণ ইরানের রাজনৈতিক নেতাদের নিশানা করার কথা ভাবছে না যুক্তরাষ্ট্র।’

 

এ ব্যাপারে ফক্স নিউজ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কাছে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অনেক ভুয়া খবর ছড়ানো হচ্ছে।’ তবে ইসরায়েলের হামলার ফলে ইরানে শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন হতে পারে বলে দাবি করেন নেতানিয়াহু।

 

কোথায় আছেন ইরানে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা?

ইসরায়েলের হামলা শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি তেহরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লাভিজান এলাকায় একটি ভূগর্ভস্থ বাংকারে আশ্রয় নিয়েছেন। ইরানের অভ্যন্তরে অবস্থানরত দুটি সুত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।  খবর: ইরান ইন্টারন্যাশনাল।

 

সূত্রগুলো জানায়, খামেনির পরিবারের সব সদস্য, তার ছেলে মোজতাবাসহ বর্তমানে তার সঙ্গে রয়েছেন। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আগের দুটি অভিযান ‘ট্রু প্রমিস ১’ ও ‘ট্রু প্রমিস ২’ চলাকালেও তাকে এই বাংকারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

 

২০২৪ সালের ১৩ এপ্রিল ইরান প্রথম সরাসরি ইসরাইলে হামলা চালায়, যার কোডনেম ছিল ‘ট্রু প্রমিস ১’। এই হামলায় ৩০০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করা হয়। দামাস্কাসে দুই ইরানি জেনারেল নিহত হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়।

 

২০২৪ সালের ১ অক্টোবর ‘ট্রু প্রমিস ২’ অভিযানে ইসরাইলের সামরিক স্থাপনার দিকে ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। হিজবুল্লাহর সাবেক প্রধান হাসান নাসরাল্লাহসহ ইরানপন্থী নেতাদের হত্যার জবাবে এই হামলা চালানো হয়।

 

গত রবিবার ইসরায়েল প্রথমবারের মতো ইরানের মাশহাদ শহরে হামলা চালায়, যা ইসরায়েল থেকে ২ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মধ্যপ্রাচ্যের এক কূটনৈতিক সূত্র ইরান ইন্টারন্যাশনালকে জানিয়েছে, এই হামলা খামেনির জন্য একটি সতর্কবার্তা ছিল যে, তিনি দেশের কোথাও নিরাপদ নন।

 

সূত্রটি আরও জানায়, ইসরায়েল প্রথম রাতেই খামেনিকে হত্যা করতে পারত, কিন্তু তাকে শেষ একটি সুযোগ দিতে তারা তা করেনি। ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি পুরোপুরি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যই এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি বন্ধ করতে খামেনিকে দুই মাসের সময় দিয়েছিলেন। তবে ইসরায়েল ও মার্কিন সতর্কতা উপেক্ষা করেছেন খামেনি। সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলের সামরিক সক্ষমতা মূল্যায়ন করে এখনই সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার জন্যই এই সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানের রাস্তায় নারী-শিশুর ওপর সিংহের আক্রমণ, কিন্তু কিভাবে?

খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনায় ট্রাম্পের ‘না’, কোথায় আছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা?  

আপডেট সময় ১২:৫৭:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায় বাধা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবর দিয়েছে, আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি এক পরিকল্পনা নাকচ করে দেন ট্রাম্প।

 

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ট্রাম্প প্রশাসনকে জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে খামেনিকে হত্যার সুযোগ তাদের কাছে ছিল, কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট পরিকল্পনাটি আটকে দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুইজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

 

মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে আরও বলেন, ‘ইরানিরা এখন পর্যন্ত কোনো মার্কিন নাগরিককে হত্যা করেনি। যতক্ষণ না তারা এমনটা করছে, ততক্ষণ ইরানের রাজনৈতিক নেতাদের নিশানা করার কথা ভাবছে না যুক্তরাষ্ট্র।’

 

এ ব্যাপারে ফক্স নিউজ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কাছে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অনেক ভুয়া খবর ছড়ানো হচ্ছে।’ তবে ইসরায়েলের হামলার ফলে ইরানে শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন হতে পারে বলে দাবি করেন নেতানিয়াহু।

 

কোথায় আছেন ইরানে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা?

ইসরায়েলের হামলা শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি তেহরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লাভিজান এলাকায় একটি ভূগর্ভস্থ বাংকারে আশ্রয় নিয়েছেন। ইরানের অভ্যন্তরে অবস্থানরত দুটি সুত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।  খবর: ইরান ইন্টারন্যাশনাল।

 

সূত্রগুলো জানায়, খামেনির পরিবারের সব সদস্য, তার ছেলে মোজতাবাসহ বর্তমানে তার সঙ্গে রয়েছেন। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আগের দুটি অভিযান ‘ট্রু প্রমিস ১’ ও ‘ট্রু প্রমিস ২’ চলাকালেও তাকে এই বাংকারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

 

২০২৪ সালের ১৩ এপ্রিল ইরান প্রথম সরাসরি ইসরাইলে হামলা চালায়, যার কোডনেম ছিল ‘ট্রু প্রমিস ১’। এই হামলায় ৩০০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করা হয়। দামাস্কাসে দুই ইরানি জেনারেল নিহত হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়।

 

২০২৪ সালের ১ অক্টোবর ‘ট্রু প্রমিস ২’ অভিযানে ইসরাইলের সামরিক স্থাপনার দিকে ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। হিজবুল্লাহর সাবেক প্রধান হাসান নাসরাল্লাহসহ ইরানপন্থী নেতাদের হত্যার জবাবে এই হামলা চালানো হয়।

 

গত রবিবার ইসরায়েল প্রথমবারের মতো ইরানের মাশহাদ শহরে হামলা চালায়, যা ইসরায়েল থেকে ২ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মধ্যপ্রাচ্যের এক কূটনৈতিক সূত্র ইরান ইন্টারন্যাশনালকে জানিয়েছে, এই হামলা খামেনির জন্য একটি সতর্কবার্তা ছিল যে, তিনি দেশের কোথাও নিরাপদ নন।

 

সূত্রটি আরও জানায়, ইসরায়েল প্রথম রাতেই খামেনিকে হত্যা করতে পারত, কিন্তু তাকে শেষ একটি সুযোগ দিতে তারা তা করেনি। ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি পুরোপুরি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যই এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি বন্ধ করতে খামেনিকে দুই মাসের সময় দিয়েছিলেন। তবে ইসরায়েল ও মার্কিন সতর্কতা উপেক্ষা করেছেন খামেনি। সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলের সামরিক সক্ষমতা মূল্যায়ন করে এখনই সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার জন্যই এই সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।