সংবাদ শিরোনাম ::
Logo প্রকৃতির প্রতিশোধ: সংকটে জীববৈচিত্র্য Logo লঘুচাপ, ঘূর্ণিঝড়ের গুঞ্জন! কেমন যেতে পারে মাসের শেষ দিনগুলো, যা বলছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস Logo প্রশাসনিক সমন্বয় ও সংস্কার ছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ সম্ভব নয় : পরিবেশ উপদেষ্টা Logo বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল Logo প্রকৃতির সঙ্গে সুর মিলিয়ে চলার বার্তা নিয়ে এবছরের আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস Logo জাতীয় নির্বাচন, ‘মানবিক করিডোর’, মব সহিংসতা নিয়ে যা বললেন সেনাপ্রধান Logo রিট খারিজ, মেয়র হিসেবে ইশরাককে শপথ পড়ানোর বাধা নেই Logo প্রাক বর্ষায় রাজধানীসহ নানাস্থানে মাঝারি-ভারী বৃষ্টি Logo শিল্পে বিনামূল্যে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন বন্ধে নীতিমালা চূড়ান্ত হচ্ছে : রিজওয়ানা হাসান Logo শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন শপথবাক্য পাঠ করানোর নির্দেশ
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তালিকা

গণনা চলমান, দেশে আপাতত নদ-নদীর সংখ্যা ১৪১৫

গণনা চলমান, দেশে আপাতত নদ-নদীর সংখ্যা ১৪১৫

দেশে নদ-নদীর নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। সরকারের দুটি মন্ত্রণালয় ও তিনটি সংস্থা এবং নদীকর্মীদের সমন্বয়ে এটি প্রস্তুত করা হয়েছে। বাপাউবোর ওয়েবসাইটে গতকাল প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, দেশে নদ-নদীর সংখ্যা ১ হাজার ৪১৫।

 

এই তালিকা প্রকাশের আগে মার্চের শেষ সপ্তাহে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও নদী রক্ষা কমিশনের খসড়া তালিকায় জানানো হয়েছিল দেশে নদ-নদীর সংখ্যা ১ হাজার ২৯৪টি। এরও আগে ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের খসড়া তালিকায় দেশে নদ-নদীর সংখ্যা ছিল ১১৫৬ টি।

 

দেশে নদ-নদীর সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক চলছে বছরের পর বছর। নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের গণনার সঙ্গে মেলে না নদী কমিশনের হিসাব, আবার এ দুই সংস্থার সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সংখ্যার ছিল গরমিল। অবশেষে নদনদীর তালিকা তৈরিতে সব সংস্থা একজোট হয়। সবার সমন্বয়ে তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নদনদীর প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণের উদ্যোগ নেন।

 

সার্বিক বিষয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান  বলেন, ‘সরকারের নথিপত্রে আছে এমন নদীগুলোই আমরা তালিকাভুক্ত করেছি। তবে এটি চূড়ান্ত তালিকা নয়, কাজটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। ভবিষ্যতে আরও নদনদীর সন্ধান পাওয়া গেলে তাও তালিকাভুক্ত করা হবে। এ পর্যন্ত যত তালিকা হয়েছে, সবগুলোকে ধরে প্রতিটি বিভাগীয় পর্যায়ে সরকারি সংস্থাগুলোর পাশাপাশি নদীকর্মীদের সম্পৃক্ত করে তালিকাটি করা হয়েছে। মৃত নদী বলে আসলে কিছু নেই। নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করলেও পুরোনো গতিপথটি নদী হিসেবেই রেকর্ড থাকে।’

 

তিনি আরও জানান, এই তালিকা ধরে দেশব্যাপী একটি মহাপরিকল্পনা হবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নদীকে খাল বলা হচ্ছে, কখনও মৃত নদী বলা হচ্ছে– এমনটা যেন আর না হয়। এই তালিকা ধরেই সরকার নদী রক্ষায় সব কিছু করবে। তাই ছোট নদীও আর গুরুত্ব হারাবে না। এ তালিকা হওয়ায় নদীর সংখ্যা ও নাম নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটবে বলে মনে করেন উপদেষ্টা।

 

খুলনা বিভাগের নদনদীর তালিকা তৈরিতে জড়িত ছিলেন নদীকর্মী মাহবুব সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘সুন্দরবনের সব নদনদী সরকারের তালিকায় আসেনি। বরেন্দ্র অঞ্চলের অনেক নদী বাদ পড়েছে। তালিকা যদি চলমান প্রক্রিয়া হয়, তাহলে সাধুবাদ দেব। তা না হলে আগের পরিসংখ্যানের মতো এটাও বিতর্কমুক্ত হবে না।’

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

প্রকৃতির প্রতিশোধ: সংকটে জীববৈচিত্র্য

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তালিকা

গণনা চলমান, দেশে আপাতত নদ-নদীর সংখ্যা ১৪১৫

আপডেট সময় ০১:৩২:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

দেশে নদ-নদীর নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। সরকারের দুটি মন্ত্রণালয় ও তিনটি সংস্থা এবং নদীকর্মীদের সমন্বয়ে এটি প্রস্তুত করা হয়েছে। বাপাউবোর ওয়েবসাইটে গতকাল প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, দেশে নদ-নদীর সংখ্যা ১ হাজার ৪১৫।

 

এই তালিকা প্রকাশের আগে মার্চের শেষ সপ্তাহে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও নদী রক্ষা কমিশনের খসড়া তালিকায় জানানো হয়েছিল দেশে নদ-নদীর সংখ্যা ১ হাজার ২৯৪টি। এরও আগে ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের খসড়া তালিকায় দেশে নদ-নদীর সংখ্যা ছিল ১১৫৬ টি।

 

দেশে নদ-নদীর সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক চলছে বছরের পর বছর। নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের গণনার সঙ্গে মেলে না নদী কমিশনের হিসাব, আবার এ দুই সংস্থার সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সংখ্যার ছিল গরমিল। অবশেষে নদনদীর তালিকা তৈরিতে সব সংস্থা একজোট হয়। সবার সমন্বয়ে তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নদনদীর প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণের উদ্যোগ নেন।

 

সার্বিক বিষয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান  বলেন, ‘সরকারের নথিপত্রে আছে এমন নদীগুলোই আমরা তালিকাভুক্ত করেছি। তবে এটি চূড়ান্ত তালিকা নয়, কাজটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। ভবিষ্যতে আরও নদনদীর সন্ধান পাওয়া গেলে তাও তালিকাভুক্ত করা হবে। এ পর্যন্ত যত তালিকা হয়েছে, সবগুলোকে ধরে প্রতিটি বিভাগীয় পর্যায়ে সরকারি সংস্থাগুলোর পাশাপাশি নদীকর্মীদের সম্পৃক্ত করে তালিকাটি করা হয়েছে। মৃত নদী বলে আসলে কিছু নেই। নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করলেও পুরোনো গতিপথটি নদী হিসেবেই রেকর্ড থাকে।’

 

তিনি আরও জানান, এই তালিকা ধরে দেশব্যাপী একটি মহাপরিকল্পনা হবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নদীকে খাল বলা হচ্ছে, কখনও মৃত নদী বলা হচ্ছে– এমনটা যেন আর না হয়। এই তালিকা ধরেই সরকার নদী রক্ষায় সব কিছু করবে। তাই ছোট নদীও আর গুরুত্ব হারাবে না। এ তালিকা হওয়ায় নদীর সংখ্যা ও নাম নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটবে বলে মনে করেন উপদেষ্টা।

 

খুলনা বিভাগের নদনদীর তালিকা তৈরিতে জড়িত ছিলেন নদীকর্মী মাহবুব সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘সুন্দরবনের সব নদনদী সরকারের তালিকায় আসেনি। বরেন্দ্র অঞ্চলের অনেক নদী বাদ পড়েছে। তালিকা যদি চলমান প্রক্রিয়া হয়, তাহলে সাধুবাদ দেব। তা না হলে আগের পরিসংখ্যানের মতো এটাও বিতর্কমুক্ত হবে না।’