গাজা সীমান্ত থেকে ভেতরের দিকে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ‘কিলিং জোন’ তৈরি করছে ইসরায়েলি বাহিনী। ওই নির্দিষ্ট জোনের ভেতর যে কোনো ফিলিস্তিনিকে দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গাজার অর্ধেকের বেশি ভূখণ্ড এরই মধ্যে দখলে নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। আরও ভূখণ্ড দখলে নিতে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে গাজা উপত্যকার ভেতরের দিকে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সেনা সদস্যদের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান। সেনাসদস্যরা জানিয়েছেন, গাজা সীমান্তের ভেতরে এক কিলোমিটার এলাজুড়ে ‘বাফার জোন’ নামে ওই হত্যা জোন তৈরি করা হচ্ছে। এ জন্য গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ওই এলাকার বাড়িঘর, কারখানা, খামারসহ সব স্থাপনা।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অন্তত চারজন সদস্য জানিয়েছেন, সীমান্তে কথিত ওই বাফার জোনে কেউ প্রবেশ করলেই তাকে হত্যা করা হবে, সে ধরনের প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে।
৪২ দিনে যুদ্ধবিরতির পর গত মাসে নতুন করে গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা আগেও চেয়েও আগ্রাসী ভঙ্গিতে গাজা উপত্যকার দখল নিতে শুরু করে। এরই মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার ৫০ শতাংশের বেশি ভূখণ্ড দখল করে নিয়েছে।
মানবাধিকারকর্মী ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাজায় ইসরায়েলের দখলে নেওয়া জমি তারা দীর্ঘমেয়াদি নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য ব্যবহার করতে পারে। এ জমির মধ্যে একটি করিডোর আছে, যা এ অঞ্চলের উত্তর থেকে দক্ষিণকে বিভক্ত করে। সম্প্রতি ওই করিডোরটি আবার নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইসরায়েল।
বার্তা সংস্থা এপি লিখেছে, অতীতে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি যে জমিতে বাস করত, তা এখন ইসরায়েলের বাফার জোন। অথচ এ এলাকাটিই একসময় গাজার কৃষি উৎপাদনের মূল চাবিকাঠি ছিল। স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একসময়ের ঘনবসতিপূর্ণ বসতি এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত।