সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাকিস্তানের রাস্তায় নারী-শিশুর ওপর সিংহের আক্রমণ, কিন্তু কিভাবে? Logo মূল্যস্ফীতির হার কমে ৮.৪৮ শতাংশে, ২৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন Logo ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৯২ Logo বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে নিয়ে যেতে চান ঋতুপর্ণা Logo যে কারণে চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন না সালমান খান Logo যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮২, নিখোঁজ ৪১ Logo ক্লাইমেট চেইঞ্জ ট্রাস্টকে শক্তিশালী করতে ১০বছর মেয়াদি স্ট্রাটেজিক প্ল্যান প্রণয়ন করা হবে Logo সন্তান আছে প্রমাণ করতে পারলে ২০ হাজার ডলার পুরস্কার দেবেন তানজিন তিশা Logo এসএসসির ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা Logo সাগরে লঘুচাপ, তিন বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস, ভূমিধসের আশঙ্কা

কারো গীবত করে ফেললে, গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

কারো গীবত করে ফেললে, গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

ইসলামে গীবত অর্থাৎ পেছনে সমালোচনা, দোষচর্চা অত্যন্ত গর্হিত পাপ। কোরআনে আল্লাহ তাআলা গীবত করতে নিষেধ করেছেন এবং এটাকে মৃত ভাইয়ের গোশত ভক্ষণ করার মতো গর্হিত কাজ বলেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اجۡتَنِبُوۡا كَثِیۡرًا مِّنَ الظَّنِّ ۫ اِنَّ بَعۡضَ الظَّنِّ اِثۡمٌ وَّ لَا تَجَسَّسُوۡا وَ لَا یَغۡتَبۡ بَّعۡضُكُمۡ بَعۡضًا اَیُحِبُّ اَحَدُكُمۡ اَنۡ یَّاۡكُلَ لَحۡمَ اَخِیۡهِ مَیۡتًا فَكَرِهۡتُمُوۡهُ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ اِنَّ اللّٰهَ تَوَّابٌ رَّحِیۡمٌ

হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোন কোন অনুমান গুনাহের কাজ। আর তোমরা অন্যের দোষ খোঁজাখুঁজি করো না করো না এবং একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, অসীম দয়ালু। (সুরা হুজুরাত: ১২)

গীবত কাকে বলে?

গীবত কাকে বলে তা আমরা আল্লাহর রাসুলের (সা.) হাদিস থেকে জানতে পারি। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত একদিন আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আপনারা কি জানেন, গীবত কাকে বলে? সাহাবিরা বললেন, আল্লাহ ও তার রাসুল ভালো জানেন। রাসুল (সা.) বললেন, আপনার ভাই যা অপছন্দ করে, তা তার অনুপস্থিতিতে আলোচনা করাই গীবত। এক সাহাবি বললেন, যদি আমি এমন কোনো দোষের কথা বলি যা তার মধ্যে আছে, তাহলেও কি গীবত হবে? রাসুল (সা.) বললেন, আপনি যে দোষের কথা বললেন, তা যদি তার মধ্যে থাকে, তাহলেই তো তা গীবত হলো। আপনি যদি এমন কিছু বলেন যা তার মধ্যে নেই, তাহলে তো আপনি তাকে অপবাদ দিলেন! (সহিহ মুসলিম)

কারো গীবত করে ফেললে কী করবেন?

কারো গীবত করে ফেললে ওই গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে ৪ টি উপায়ে:

১. নিজের গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।

২. যে ব্যক্তির গীবত করেছেন, তাকে গীবত করার কথা জানিয়ে ক্ষমা চাওয়া সম্ভব হলে ক্ষমা চান। তবে যদি ক্ষমা চাইতে গেলে হিতে বিপরীত হওয়ার ভয় থাকে, তার ভুল বোঝা ও সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে, তাহলে তার কাছে ক্ষমা চাওয়াার প্রয়োজন নেই।

৩. যার গীবত করেছেন তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। এটা গিফতের কাফফারা হতে পারে ইনশাআল্লাহ।

৪. যাদের সামনে গীবত করেছেন, তাদের সামনে ওই ব্যক্তির প্রশংসা করুন। এটাও গিবতের কাফফারা হতে পারে ইনশাআল্লাহ।

গীবত শোনা থেকেও বিরত থাকতে হবে

গীবত করা যেমন গুনাহের কাজ,গীবতকারীর কথা চুপচাপ শোনাও গুনাহের কাজ। তাই গিবত শোনা থেকেও বিরত থাকতে হবে। কেউ গীবত করা শুরু করলে তাকে নিষেধ করতে হবে, নসিহত করতে হবে, তারপরও সে বিরত না হলে ওই মজলিস ত্যাগ করা ওয়াজিব।

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানের রাস্তায় নারী-শিশুর ওপর সিংহের আক্রমণ, কিন্তু কিভাবে?

কারো গীবত করে ফেললে, গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

আপডেট সময় ০৫:২৭:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

ইসলামে গীবত অর্থাৎ পেছনে সমালোচনা, দোষচর্চা অত্যন্ত গর্হিত পাপ। কোরআনে আল্লাহ তাআলা গীবত করতে নিষেধ করেছেন এবং এটাকে মৃত ভাইয়ের গোশত ভক্ষণ করার মতো গর্হিত কাজ বলেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اجۡتَنِبُوۡا كَثِیۡرًا مِّنَ الظَّنِّ ۫ اِنَّ بَعۡضَ الظَّنِّ اِثۡمٌ وَّ لَا تَجَسَّسُوۡا وَ لَا یَغۡتَبۡ بَّعۡضُكُمۡ بَعۡضًا اَیُحِبُّ اَحَدُكُمۡ اَنۡ یَّاۡكُلَ لَحۡمَ اَخِیۡهِ مَیۡتًا فَكَرِهۡتُمُوۡهُ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ اِنَّ اللّٰهَ تَوَّابٌ رَّحِیۡمٌ

হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোন কোন অনুমান গুনাহের কাজ। আর তোমরা অন্যের দোষ খোঁজাখুঁজি করো না করো না এবং একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, অসীম দয়ালু। (সুরা হুজুরাত: ১২)

গীবত কাকে বলে?

গীবত কাকে বলে তা আমরা আল্লাহর রাসুলের (সা.) হাদিস থেকে জানতে পারি। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত একদিন আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আপনারা কি জানেন, গীবত কাকে বলে? সাহাবিরা বললেন, আল্লাহ ও তার রাসুল ভালো জানেন। রাসুল (সা.) বললেন, আপনার ভাই যা অপছন্দ করে, তা তার অনুপস্থিতিতে আলোচনা করাই গীবত। এক সাহাবি বললেন, যদি আমি এমন কোনো দোষের কথা বলি যা তার মধ্যে আছে, তাহলেও কি গীবত হবে? রাসুল (সা.) বললেন, আপনি যে দোষের কথা বললেন, তা যদি তার মধ্যে থাকে, তাহলেই তো তা গীবত হলো। আপনি যদি এমন কিছু বলেন যা তার মধ্যে নেই, তাহলে তো আপনি তাকে অপবাদ দিলেন! (সহিহ মুসলিম)

কারো গীবত করে ফেললে কী করবেন?

কারো গীবত করে ফেললে ওই গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে ৪ টি উপায়ে:

১. নিজের গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।

২. যে ব্যক্তির গীবত করেছেন, তাকে গীবত করার কথা জানিয়ে ক্ষমা চাওয়া সম্ভব হলে ক্ষমা চান। তবে যদি ক্ষমা চাইতে গেলে হিতে বিপরীত হওয়ার ভয় থাকে, তার ভুল বোঝা ও সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে, তাহলে তার কাছে ক্ষমা চাওয়াার প্রয়োজন নেই।

৩. যার গীবত করেছেন তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। এটা গিফতের কাফফারা হতে পারে ইনশাআল্লাহ।

৪. যাদের সামনে গীবত করেছেন, তাদের সামনে ওই ব্যক্তির প্রশংসা করুন। এটাও গিবতের কাফফারা হতে পারে ইনশাআল্লাহ।

গীবত শোনা থেকেও বিরত থাকতে হবে

গীবত করা যেমন গুনাহের কাজ,গীবতকারীর কথা চুপচাপ শোনাও গুনাহের কাজ। তাই গিবত শোনা থেকেও বিরত থাকতে হবে। কেউ গীবত করা শুরু করলে তাকে নিষেধ করতে হবে, নসিহত করতে হবে, তারপরও সে বিরত না হলে ওই মজলিস ত্যাগ করা ওয়াজিব।