যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ‘ধ্বংস করতে পারেনি’, ওই কর্মসূচিকে কেবল কয়েক মাসের জন্য ‘পিছিয়ে দিতে পেরেছে’ বলে পর্যবেক্ষণ এসেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রাথমিক এক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে।
ফাঁস হওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে সিএনএন, ওয়াশিংটন পোস্ট, রয়টার্সসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।
এর আগে ট্রাম্প গত শনিবার বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের বোমা ব্যবহার করে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ করে দিয়েছে।
কিন্তু এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার প্রাথমিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন সামনে আসছে, যা তার ওই দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত তিনজন ব্যক্তির বরাতে রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।
তাদের একজন বলেছেন, ইরানের ইউরেনিয়ামের মজুত সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়নি। দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি বড়জোর এক বা দুই মাসের জন্য পিছিয়ে গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলায় দুটি স্থাপনার প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে গেছে ঠিকই, কিন্তু ভূগর্ভস্থ স্থাপণা ধসিয়ে দেওয়া যায়নি।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, হামলার পরও কিছু সেন্ট্রিফিউজ অক্ষত ছিল বলে ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
তবে, সংবাদমাধ্যম প্রকাশিত নাকচ করে হোয়াইট হাউস বলছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাফল্য খাটো করতেই এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথে দেয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘ভুয়া খবরের মাধ্যমে সিএনএন, ব্যর্থ নিউইয়র্ক টাইমসের সঙ্গে মিলে ইতিহাসের অন্যতম সফল সামরিক অভিযানকে খাটো করে দেখাতে চাইছে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে! টাইমস আর সিএনএন—দুই প্রতিষ্ঠানই সাধারণ মানুষের কাছে নিন্দিত!’
এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন মঙ্গলবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে জানায়, তাদের হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘দুর্বল হয়েছে’, যা ট্রাম্পের ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ হওয়ার বক্তব্য থেকে অনেকটাই আলাদা বাস্তবতা নির্দেশ করছে।