দেশটির নাম গ্রিনল্যান্ড হলেও একে বরফের দেশ বললে ভুল হবে না। দেশটির ৮০ শতাংশই বরফে আচ্ছাদিত। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের পরিণতি এই দেশকেও ছাড় দিচ্ছে না। গলে যাচ্ছে গ্রিনল্যান্ডের বরফ। গ্রিনল্যান্ডের বরফ গলার মাত্রা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের আশঙ্কা, এভাবে বরফ গলতে থাকলে, কোনো এক সময় গ্রিনল্যান্ডের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে বিছিয়ে থাকা বরফের পুরো অংশটাই গলে যেতে পারে। এতে সংলগ্ন সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যেতে পারে ২০ থেকে ২৫ ফুট!
যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সে গত ৫ আগস্ট প্রকাশিত এক নতুন গবেষণাপত্রে এ সব তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ।
গবেষণাটিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন ভারমন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী পল বিয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘প্রায় ২৭ লাখ বছর ধরে গ্রিনল্যান্ড বরফে আচ্ছাদিত হয়ে আছে। কিন্তু এখন আমরা এমন কিছু প্রমাণ পাচ্ছি, যাতে নিশ্চিতভাবে বোঝা যায়, বরফের এ আছ্ছাদনটি গেল যাচ্ছে।’

গ্রিনল্যান্ডের আয়তন প্রায় ৬ লাখ ৫৬ হাজার বর্গমাইল। এর ৮০ শতাংশই বরফে আচ্ছাদিত। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, গত কয়েক বছরে এই এলাকার বরফ সবচেয়ে দ্রুত গলেছে। আর এই পরিমাণ বরফ গলার কারণে বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রতি বছর প্রায় ০.০৩ ইঞ্চি বৃদ্ধি পেয়েছে।
পল বিয়ারম্যান বলেন, ‘বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির প্রথম কারণ গ্রিনল্যান্ডের গলতে থাকা বরফ। বায়ুমন্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বেশি থাকায় বরফ গলার ঝুঁকিও বাড়ছে।’
এই বিজ্ঞানী আরও জানান, গ্রিনল্যান্ডের পুরো বরফ গলে যেতে বহু বছর লেগে যেতে পারে। তবে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।
ডেস্ক রিপোর্ট 



















