ছাদে বা বারান্দায় ছোট্ট একটা বাগান করার শখ অনেকেরই। কিন্তু দেখা যায় সঠিক ভাবে যত্ন না নিলে গাছগুলো আপনি যেমন চান তেমন বড় হচ্ছে না, অথবা পোকা-মাকড়ের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ঘরে বসে খুব সহজেই তৈরি করা যায় এমন জৈব সার দিয়ে আপনার গাছগুলোকে সুস্থ রাখতে পারবেন।
কেন জৈব সার?
রাসায়নিক সার গাছের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং পরিবেশের জন্যও হুমকি। অন্যদিকে, জৈব সার সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং গাছের জন্য নিরাপদ। এটি মাটিকে উর্বর করে এবং গাছের বৃদ্ধি ঘটায়।
ঘরোয়া জৈব সার তৈরির উপকরণ:
ডিমের খোসা: ডিমের খোসায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে, যা গাছের শিকড়ের জন্য খুবই উপকারী। ডিমের খোসা ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে গুঁড়ো করে মাটিতে মিশিয়ে দিন।
চাল বা ডাল ধোয়ার পানি: চাল বা ডাল ধোয়ার পানিতে নাইট্রোজেন থাকে, যা গাছের পাতা ও ডালের বৃদ্ধির জন্য জরুরি। নিয়মিত এই পানি গাছের গোড়ায় দিতে পারেন।
কলার ছোলা ও পেয়াজের খোসা: কলার ছোলা ও পেয়াজের খোসায় পটাশিয়াম থাকে, যা ফুল ফোটানো ও ফল ধরাতে সাহায্য করে। এইগুলো কিছুদিন পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি গাছের গোড়ায় দিন।
চা পাতা: চা পাতার ব্যবহৃত পানিতে নাইট্রোজেন থাকে। এই পানি ঠান্ডা করে গাছের গোড়ায় দিন।
তেল ও পানি: নিম তেল এবং সাবান মিশিয়ে পানি তৈরি করে গাছের পাতায় স্প্রে করলে পোকামাকড় দূর হবে।
শাকসবজির উচ্ছিষ্ট: শাকসবজির উচ্ছিষ্ট, ফলের খোসা ইত্যাদি একটি পাত্রে জমিয়ে রাখুন। কিছুদিন পর এটি পচে তরল সার তৈরি হবে। এই সার গাছের গোড়ায় দিলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পাবে।
জৈব সার তৈরির সহজ উপায়:
একটি পাত্রে ডিমের খোসা, চাল বা ডাল ধোয়ার পানি, কলার ছোলা, পেয়াজের খোসা, চা পাতা ইত্যাদি মিশিয়ে দিন। কিছুদিন পর এটি পচে তরল সার তৈরি হবে। এই সারকে পাতলা করে গাছের গোড়ায় দিন।
ঘরোয়া জৈব সার তৈরি করা খুবই সহজ এবং সাশ্রয়ী। এটি আপনার বাগানকে সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করবে। বাগান থাকবে সবসময় সুন্দর ও সতেজ।
শারমিন সীমা 




















