সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইকোসিস্টেমকে রক্ষা করে প্রাকৃতিক সম্পদকে সুরক্ষার বার্তা দিলেন পরিবেশ সচিব Logo নতুন প্রজন্মকে সাথে নিয়ে এবছরের ‘সবুজে সাজাই বাংলাদেশ’ শুরু  Logo গাজীপুরে কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি মেলার উদ্বোধন Logo দাবি না মানলে জবি শিক্ষার্থীদের লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা Logo সাম্য হত্যার ঘটনায় শোক পালন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন Logo অ্যান্টার্কটিকায় জলবায়ু পরিবর্তন স্পষ্ট, পূর্ব দিকের চেয়ে পশ্চিমে দ্রুত গলছে বরফ Logo প্রকৃতিকে ধ্বংস করে উন্নয়ন হলে সে উন্নয়ন টেকসই হবেনা: রিজওয়ানা হাসান Logo ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডি. লিট ডিগ্রি দিলো চবি Logo চিরতরে চলে গেলেন ‘সবচেয়ে গরিব প্রেসিডেন্ট’   Logo চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড: প্রধান উপদেষ্টা
গোলটেবিল বৈঠকে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান  

‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নয়ন মডেল, জীবনধারায় পরিবর্তন করতে হবে’  

‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নয়ন মডেল, জীবনধারায় পরিবর্তন করতে হবে’  

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আমাদের জনগোষ্ঠিকে বাঁচাতে আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে, বাজেট বাড়াতে হবে এবং সেই বাজেটটা যেন সঠিক জায়গায় ব্যবহার করা হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। পৃথিবীকে বাঁচাতে হলে এই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রক্রিয়াটাকে রোধ করতে হবে। তরুণদের এর জন্য আরো বেশি প্রস্তুত হতে হবে। উন্নয়নের মডেলটাকে নতুন করে ভাবতে হবে, লাইফস্টাইলকে চেঞ্জ করতে হবে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর)  ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে আয়োজিত ‘কপ২৯: এক্সপেকটেশন, রিয়ালিটি এন্ড লেসনস ফর দ্য ফিউচার’ শীর্ষক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থনৈতিক মডেল পুনর্বিবেচনা জরুরি। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের ভৌগোলিক অস্তিত্ব হুমকির মুখে। তিনি বলেন, ক্লাইমেট ফাইন্যান্সের কোনো আন্তর্জাতিক সংজ্ঞা নেই। এই তহবিল প্রকৃতপক্ষে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় সহায়তা করছে না।

তিনি আরও বলেন, বায়ু দূষণের ২৮% আসে পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে, যা এখনো আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। পরিবেশগত ন্যায্যতা অর্জনের জন্য আমাদের জলবায়ু ন্যায্যতার পাশাপাশি কাজ করতে হবে। বাংলাদেশে কৃষিজমি কমছে, নদীগুলো দূষিত। এগুলো মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি বলেন, পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে আমাদের অভিযোজন ক্ষমতা কমছে। রাজনৈতিক অবস্থান সঠিক না হলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমাধান পাওয়া কঠিন। তরুণ প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে হবে এবং সঠিক বার্তা দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ইউনিভার্সিটিগুলোতে পলিথিন-প্রযুক্তির বিকল্প উদ্ভাবনের জন্য শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করা উচিত। এ ধরনের পদক্ষেপ থেকে বড় পরিবর্তন সম্ভব।

গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, ইউএপি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপার্সন স্থপতি মাহবুবা হক এবং ইউএপির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান। সেমিনারটিতে সভাপতিত্ব করেন ইউএপির বিজনেস স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. এম.এ. বাকি খলিলি। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুবর্ণ বড়ুয়া।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তরের জলবায়ু পরিবর্তন ও আন্তর্জাতিক কনভেনশন শাখার পরিচালক শওকত আলী মির্জা, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ইআরডি বিভাগের উপসচিব ড. শাহ আবদুল সাদী, পরিবেশ আইনজীবী হাফিজ খান, সিপিআরডি-এর প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা, “ধরিত্রী রক্ষায় আমরা-ধরা”র সদস্য সচিব শরীফ জামিল এবং বেলার ক্যাম্পেইন ও পলিসি সমন্বয়ক বারিশ হাসান চৌধুরী প্রমুখ।

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

ইকোসিস্টেমকে রক্ষা করে প্রাকৃতিক সম্পদকে সুরক্ষার বার্তা দিলেন পরিবেশ সচিব

গোলটেবিল বৈঠকে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান  

‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নয়ন মডেল, জীবনধারায় পরিবর্তন করতে হবে’  

আপডেট সময় ১২:১৯:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আমাদের জনগোষ্ঠিকে বাঁচাতে আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে, বাজেট বাড়াতে হবে এবং সেই বাজেটটা যেন সঠিক জায়গায় ব্যবহার করা হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। পৃথিবীকে বাঁচাতে হলে এই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রক্রিয়াটাকে রোধ করতে হবে। তরুণদের এর জন্য আরো বেশি প্রস্তুত হতে হবে। উন্নয়নের মডেলটাকে নতুন করে ভাবতে হবে, লাইফস্টাইলকে চেঞ্জ করতে হবে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর)  ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে আয়োজিত ‘কপ২৯: এক্সপেকটেশন, রিয়ালিটি এন্ড লেসনস ফর দ্য ফিউচার’ শীর্ষক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থনৈতিক মডেল পুনর্বিবেচনা জরুরি। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের ভৌগোলিক অস্তিত্ব হুমকির মুখে। তিনি বলেন, ক্লাইমেট ফাইন্যান্সের কোনো আন্তর্জাতিক সংজ্ঞা নেই। এই তহবিল প্রকৃতপক্ষে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় সহায়তা করছে না।

তিনি আরও বলেন, বায়ু দূষণের ২৮% আসে পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে, যা এখনো আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। পরিবেশগত ন্যায্যতা অর্জনের জন্য আমাদের জলবায়ু ন্যায্যতার পাশাপাশি কাজ করতে হবে। বাংলাদেশে কৃষিজমি কমছে, নদীগুলো দূষিত। এগুলো মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি বলেন, পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে আমাদের অভিযোজন ক্ষমতা কমছে। রাজনৈতিক অবস্থান সঠিক না হলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমাধান পাওয়া কঠিন। তরুণ প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে হবে এবং সঠিক বার্তা দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ইউনিভার্সিটিগুলোতে পলিথিন-প্রযুক্তির বিকল্প উদ্ভাবনের জন্য শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করা উচিত। এ ধরনের পদক্ষেপ থেকে বড় পরিবর্তন সম্ভব।

গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, ইউএপি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপার্সন স্থপতি মাহবুবা হক এবং ইউএপির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান। সেমিনারটিতে সভাপতিত্ব করেন ইউএপির বিজনেস স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. এম.এ. বাকি খলিলি। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুবর্ণ বড়ুয়া।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তরের জলবায়ু পরিবর্তন ও আন্তর্জাতিক কনভেনশন শাখার পরিচালক শওকত আলী মির্জা, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ইআরডি বিভাগের উপসচিব ড. শাহ আবদুল সাদী, পরিবেশ আইনজীবী হাফিজ খান, সিপিআরডি-এর প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা, “ধরিত্রী রক্ষায় আমরা-ধরা”র সদস্য সচিব শরীফ জামিল এবং বেলার ক্যাম্পেইন ও পলিসি সমন্বয়ক বারিশ হাসান চৌধুরী প্রমুখ।