সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ‘২ অক্টোবর থেকে সচিবালয়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সামগ্রী’ Logo ১১৯ বার পেছাল সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন Logo নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা Logo পরিবেশ ও শ্রমিকবান্ধব টেকসই চামড়া শিল্পখাতের জন্য টিসিসি গঠনের প্রস্তাবনা সভাতেই বড় ঘোষণা! Logo ইরান থেকে দ্বিতীয় দফায় ফিরলেন ৩২ বাংলাদেশি Logo ৩৫ শতাংশ শুল্কের কথা জানিয়ে ড. ইউনূসকে দেওয়া চিঠিতে যা লিখলেন ট্রাম্প Logo পাকিস্তানের রাস্তায় নারী-শিশুর ওপর সিংহের আক্রমণ, কিন্তু কিভাবে? Logo মূল্যস্ফীতির হার কমে ৮.৪৮ শতাংশে, ২৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন Logo ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৯২ Logo বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে নিয়ে যেতে চান ঋতুপর্ণা

জাকার্তায় ভয়াবহ বন্যা, হাজারো মানুষ ঘরছাড়া

জাকার্তায় ভয়াবহ বন্যা, হাজারো মানুষ ঘরছাড়া

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় ভয়াবহ বন্যার ফলে ৪ মার্চ মঙ্গলবার, হাজারো মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া প্রবল বর্ষণের কারণে, জাকার্তা ও আশপাশের অঞ্চলে তিন মিটার পর্যন্ত পানি জমেছে বলে জানিয়েছে দেশটির দুর্যোগ সংস্থা। এতে কিছু সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে এবং ১,০০০-এর অধিক বাড়ি ও অসংখ্য গাড়ি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

 

জাকার্তার গভর্নর প্রামোনো আনুং সতর্কতার মাত্রা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করেছেন। তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে বন্যাকবলিত এলাকা থেকে পানি নিষ্কাশনসহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছেন।

 

স্থানীয় গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে, পূর্ব বেকাসি অঞ্চলে একটি হাসপাতালেও বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। কিছু ওয়ার্ড প্লাবিত হওয়ায় রোগীদের অন্য ভবনে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি হাসপাতালের বেশ কিছু অংশ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

বেকাসির একটি আবাসিক এলাকায়, স্থানীয় সময় ভোর ৪টা থেকে বন্যার পানিতে আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধার করতে, উদ্ধারকর্মীরা রাবারের নৌকা ব্যবহার করেছেন।

 

দেশটির আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, ১১ মার্চ পর্যন্ত জাকার্তা ও আশপাশের শহরগুলোতে প্রবল বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

“আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, তবে আশা করছি আবহাওয়া পরিবর্তনের মাধ্যমে বৃষ্টিপাত কিছুটা কমানো সম্ভব হবে,” বলেছেন সংস্থাটির প্রধান দ্বিকোরিতা কর্ণাবতী।

জাকার্তার সামাজিক কল্যাণমন্ত্রী সাইফুল্লাহ ইউসুফ জানিয়েছেন, সরকার ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করছে এবং খাদ্য, পোশাক ও ওষুধ বিতরণও শুরু করা হয়েছে। এছাড়াও, অনেক ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাকে স্কুল, মসজিদ ও গির্জায় আশ্রয় নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

জাকার্তা মহানগরীতে ৩ কোটিরও বেশি মানুষ বসবাস করে। সেখানে বন্যার খবর প্রায়ই শোনা যায়। তবে বেশ কয়েকটি স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে যে, এবারের পরিস্থিতি ২০২০ সালের পরে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থায় রূপ নিচ্ছে; বিশেষ করে বেকাসি অঞ্চলে। ২০২০ সালের সেই ভয়াবহ বন্যায়, জাকার্তায় ৬০ জন প্রাণ হারিয়েছিলো।

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

জনপ্রিয় সংবাদ

‘২ অক্টোবর থেকে সচিবালয়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সামগ্রী’

জাকার্তায় ভয়াবহ বন্যা, হাজারো মানুষ ঘরছাড়া

আপডেট সময় ০২:৫০:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় ভয়াবহ বন্যার ফলে ৪ মার্চ মঙ্গলবার, হাজারো মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া প্রবল বর্ষণের কারণে, জাকার্তা ও আশপাশের অঞ্চলে তিন মিটার পর্যন্ত পানি জমেছে বলে জানিয়েছে দেশটির দুর্যোগ সংস্থা। এতে কিছু সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে এবং ১,০০০-এর অধিক বাড়ি ও অসংখ্য গাড়ি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

 

জাকার্তার গভর্নর প্রামোনো আনুং সতর্কতার মাত্রা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করেছেন। তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে বন্যাকবলিত এলাকা থেকে পানি নিষ্কাশনসহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছেন।

 

স্থানীয় গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে, পূর্ব বেকাসি অঞ্চলে একটি হাসপাতালেও বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। কিছু ওয়ার্ড প্লাবিত হওয়ায় রোগীদের অন্য ভবনে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি হাসপাতালের বেশ কিছু অংশ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

বেকাসির একটি আবাসিক এলাকায়, স্থানীয় সময় ভোর ৪টা থেকে বন্যার পানিতে আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধার করতে, উদ্ধারকর্মীরা রাবারের নৌকা ব্যবহার করেছেন।

 

দেশটির আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, ১১ মার্চ পর্যন্ত জাকার্তা ও আশপাশের শহরগুলোতে প্রবল বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

“আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, তবে আশা করছি আবহাওয়া পরিবর্তনের মাধ্যমে বৃষ্টিপাত কিছুটা কমানো সম্ভব হবে,” বলেছেন সংস্থাটির প্রধান দ্বিকোরিতা কর্ণাবতী।

জাকার্তার সামাজিক কল্যাণমন্ত্রী সাইফুল্লাহ ইউসুফ জানিয়েছেন, সরকার ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করছে এবং খাদ্য, পোশাক ও ওষুধ বিতরণও শুরু করা হয়েছে। এছাড়াও, অনেক ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাকে স্কুল, মসজিদ ও গির্জায় আশ্রয় নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

জাকার্তা মহানগরীতে ৩ কোটিরও বেশি মানুষ বসবাস করে। সেখানে বন্যার খবর প্রায়ই শোনা যায়। তবে বেশ কয়েকটি স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে যে, এবারের পরিস্থিতি ২০২০ সালের পরে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থায় রূপ নিচ্ছে; বিশেষ করে বেকাসি অঞ্চলে। ২০২০ সালের সেই ভয়াবহ বন্যায়, জাকার্তায় ৬০ জন প্রাণ হারিয়েছিলো।