সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কপ ৩০: তৃতীয় দিন শেষ হয়েছে ঘোষণা, বিতর্ক, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় Logo কপ ৩০: জলবায়ু সংকট নিয়ে সম্মেলন করে ৩০ বছর পার, এখন সমাধানের সময়   Logo জাতীয় নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা Logo শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির মামলার রায় ১৭ নভেম্বর Logo জলবায়ু সংকটই এখন স্বাস্থ্য সংকট: ডব্লিউএইচও প্রধান    Logo আজ দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা Logo সাভারে ডিগ্রেডেড এয়ারশেড বাস্তবায়নে অভিযান: চিমনি ভেঙে অবৈধ ইটভাটা বন্ধ, ১৮ লাখ টাকা জরিমানা Logo প্রকৃতি ও জীবনের এবারের পর্ব- ‘রক্ষিত অঞ্চল ব্যবস্থাপনা’    Logo জ্ঞান হারিয়ে হাসপাতালে ভর্তি নায়ক গোবিন্দ Logo বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশে চালু হলো ই-টিকেটিং

জাতিসংঘের গুম সনদে স্বাক্ষর করলো বাংলাদেশ

জাতিসংঘের গুম সনদে স্বাক্ষর করলো বাংলাদেশ prokritibarta

দেশের নাগরিকদের গুম থেকে রক্ষা করতে জাতিসংঘের গুম ও নির্যাতনবিষয়ক কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) আন্তর্জাতিক কনভেনশন ফর দ্য প্রটেকশন অব অল পার্সনস ফ্রম ফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স সনদে স্বাক্ষর করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় উপদেষ্টাদের করতালির মধ্য দিয়ে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ বিষয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসের আগের দিন আমাদের এ পদক্ষেপ একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে থাকবে। এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।

এ সময় ড. ইউনূস বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর তার স্বৈরাচারী শাসনামলে নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে যতগুলো গুমের ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে।

এর আগে, বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকটি শেষ হবে দুপুর আড়াইটায়। এরপর সভা শেষে যমুনার সামনেই সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে সাত শর বেশি মানুষ গুম হওয়ার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ১৫০ জনের বেশি মানুষের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর সরকারের গোপন বন্দিশাল থেকে বেশ কয়েকজনকে মুক্তি দেওয়া হয়। এই বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে ২০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আন্তর্জাতিক গুমবিরোধী সনদ গৃহীত হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

কপ ৩০: তৃতীয় দিন শেষ হয়েছে ঘোষণা, বিতর্ক, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায়

জাতিসংঘের গুম সনদে স্বাক্ষর করলো বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০৩:০০:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

দেশের নাগরিকদের গুম থেকে রক্ষা করতে জাতিসংঘের গুম ও নির্যাতনবিষয়ক কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) আন্তর্জাতিক কনভেনশন ফর দ্য প্রটেকশন অব অল পার্সনস ফ্রম ফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স সনদে স্বাক্ষর করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় উপদেষ্টাদের করতালির মধ্য দিয়ে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ বিষয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসের আগের দিন আমাদের এ পদক্ষেপ একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে থাকবে। এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।

এ সময় ড. ইউনূস বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর তার স্বৈরাচারী শাসনামলে নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে যতগুলো গুমের ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে।

এর আগে, বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকটি শেষ হবে দুপুর আড়াইটায়। এরপর সভা শেষে যমুনার সামনেই সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে সাত শর বেশি মানুষ গুম হওয়ার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ১৫০ জনের বেশি মানুষের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর সরকারের গোপন বন্দিশাল থেকে বেশ কয়েকজনকে মুক্তি দেওয়া হয়। এই বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে ২০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আন্তর্জাতিক গুমবিরোধী সনদ গৃহীত হয়।