সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাকিস্তানের রাস্তায় নারী-শিশুর ওপর সিংহের আক্রমণ, কিন্তু কিভাবে? Logo মূল্যস্ফীতির হার কমে ৮.৪৮ শতাংশে, ২৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন Logo ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৯২ Logo বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে নিয়ে যেতে চান ঋতুপর্ণা Logo যে কারণে চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন না সালমান খান Logo যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮২, নিখোঁজ ৪১ Logo ক্লাইমেট চেইঞ্জ ট্রাস্টকে শক্তিশালী করতে ১০বছর মেয়াদি স্ট্রাটেজিক প্ল্যান প্রণয়ন করা হবে Logo সন্তান আছে প্রমাণ করতে পারলে ২০ হাজার ডলার পুরস্কার দেবেন তানজিন তিশা Logo এসএসসির ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা Logo সাগরে লঘুচাপ, তিন বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস, ভূমিধসের আশঙ্কা

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী আজ  

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী আজ  

বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, লেখক, ঔপন্যাসিক,সাংবাদিক, নাট্যকার, চলচ্চিত্রকার, রাজনীতিবিদ, দার্শনিক, গীতিকার ও সঙ্গীতজ্ঞ। স্বাধীনচেতা এই মানুষটি সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবতার পক্ষে এবং সাম্রাজ্যবাদ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে এক আপসহীন সংগ্রামী পুরুষ ছিলেন। জুলুম ও অবিচারের বিরুদ্ধে তার লেখনী ছিল সাহসী ও ক্ষুরধার। তিনি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ ও কালজয়ী করেছেন। দ্রোহ, প্রেম ও চেতনার কবি কাজী নজরুল ইসলাম। সাম্য, সম্প্রীতি আর মানবতার কথা রয়েছে যার প্রতিটি লেখায়, তিনি আমাদের জাতীয় কবি। প্রিয়ার ভালোবাসায় বিভোর হয়ে কবি লিখেছিলেন, ‘মোর প্রিয়া হবে এসো রানী, দেবো খোঁপায় তারার ফুল’, ঠিক একইভাবে দ্রোহের আগুনে জ্বলে উঠে বিদ্রোহী কবি লিখেছিলেন ‘কারার ঐ লৌহ কপাট।’

 

আজ ১১ জ্যৈষ্ঠ দ্রোহ, প্রেম, মানবতা ও বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী। ১৩০৬ বঙ্গাব্দের এই দিনে তিনি অবিভক্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

নজরুল যেন রবীন্দ্র পরবর্তী বাংলা সাহিত্যের আরেক ধ্রুবতারা। তাঁর সাহিত্যে প্রেম, বিরহ-বিদ্রোহ অগ্নিমূর্তি একই সাথে প্রকৃতি মাতৃমূর্তি রূপে ধরা দিয়েছে। তিনি পশ্চিমবঙ্গের চরুলিয়া গ্রামে প্রকৃতির কোলে বেড়ে উঠেছেন। তৎকালীন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের পরাধীনতার শিকল থেকে মুক্তি পেতে কবিতার মাধ্যমে আহ্বান জানালেন। ব্রিটিশ বিদ্রোহের অন্তরালে কবির হৃদয়ে প্রেরণা ছিল প্রকৃতি ও মানব প্রেম।

 

কাজী নজরুল ইসলামের ডাকনাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। তিনি গ্রামের স্থানীয় মসজিদে মুয়াজ্জিনের কাজ করতেন। মক্তবে কুরআন, ইসলাম ধর্ম, দর্শন এবং ইসলামি ধর্মতত্ত্ব অধ্যয়ন শুরু করেন। ১৯০৮ সালে বাবার মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল মাত্র নয় বছর। পারিবারিক অভাব-অনটনের কারণে তার শিক্ষাজীবন বাধাগ্রস্ত হয় এবং মাত্র দশ বছর বয়সে জীবিকা অর্জনের জন্য তাকে কাজে নামতে হয়। নজরুল মক্তব থেকে নিম্ন-মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সেই মক্তবেই শিক্ষকতা শুরু করেন। আর্থিক সমস্যায় ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর তাকে আবার কাজে ফিরে যেতে হয়। প্রথমে তিনি যোগ দেন বাসুদেবের কবিদলে। এর পর একজন খ্রিস্টান রেলওয়ে গার্ডের খানসামা এবং সবশেষে আসানসোলের চা-রুটির দোকানে রুটি বানানোর কাজ নেন। ১৯১৭ সালের শেষদিকে তিনি সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসাবে যোগ দেন।

১৯২১ সালের ডিসেম্বর মাসে কুমিল্লা থেকে কলকাতা ফেরার পথে নজরুল দুটি বৈপ্লবিক সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি করেন। এই দুটি হচ্ছে বিদ্রোহী কবিতা ও ভাঙার গান সংগীত। একই সময় তিনি লিখেছিলেন আরেকটি বিখ্যাত কবিতা কামাল পাশা। ১৯২২ সালে তার বিখ্যাত কবিতা-সংকলন অগ্নিবীণা প্রকাশিত হয়।

নিজের লেখনীর মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িকতা, সাম্য, সম্প্রতি ও মানবতার জয়গান গেয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবিকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসে তৎকালীন সরকার। বাংলা সাহিত্য এবং সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিদ্রোহী কবি নজরুলকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৭৬ সালে তৎকালীন সরকার কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করে। একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি কবিকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাঙালির চেতনার কবি নজরুল।

‘মসজিদেরই পাশে আমায় কবর দিও ভাই, যেন গোর থেকে মুয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই’ মৃত্যু চেতনার এমন গানে মসজিদের পাশে কবিকে সমাহিত করার আবেদন জানিয়েছিলেন বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।

কবির জন্মদিন উদযাপন করতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে থাকছে নানা আয়োজন। জাতীয় পর্যায়ে জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপনে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে দিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় কুমিল্লা ও ঢাকাসহ দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানমালা। এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান : কাজী নজরুলের উত্তরাধিকার।’ আজ বিকাল ৩টায় কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এই আয়োজনে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। অনুষ্ঠানে ‘নজরুল পুরস্কার ২০২৩ ও ২০২৪’-এর জন্য মনোনীতদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত গুণীজন তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করবেন। আলোচনা, নাচ, গান, আবৃত্তি, নাটকসহ নানা আয়োজনে সাজানো থাকবে তিন দিনের এই আয়োজন।

এ ছাড়া নানা বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন করবে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক কর্মী সংঘ। আজ সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে শুরু হবে দুই দিনব্যাপী নজরুল উৎসব। নজরুলজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আজ থেকে দুই দিনের উৎসবের আয়োজন করেছে ছায়ানট। এই উৎসবে থাকছে একক ও সম্মিলিত গান, নৃত্য, পাঠ-আবৃত্তি। জন্মদিনে কবির প্রতি রইল বিন্ম্র শ্রদ্ধা ও ফুলেল শুভেচ্ছা।

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানের রাস্তায় নারী-শিশুর ওপর সিংহের আক্রমণ, কিন্তু কিভাবে?

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী আজ  

আপডেট সময় ০১:৩৪:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, লেখক, ঔপন্যাসিক,সাংবাদিক, নাট্যকার, চলচ্চিত্রকার, রাজনীতিবিদ, দার্শনিক, গীতিকার ও সঙ্গীতজ্ঞ। স্বাধীনচেতা এই মানুষটি সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবতার পক্ষে এবং সাম্রাজ্যবাদ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে এক আপসহীন সংগ্রামী পুরুষ ছিলেন। জুলুম ও অবিচারের বিরুদ্ধে তার লেখনী ছিল সাহসী ও ক্ষুরধার। তিনি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ ও কালজয়ী করেছেন। দ্রোহ, প্রেম ও চেতনার কবি কাজী নজরুল ইসলাম। সাম্য, সম্প্রীতি আর মানবতার কথা রয়েছে যার প্রতিটি লেখায়, তিনি আমাদের জাতীয় কবি। প্রিয়ার ভালোবাসায় বিভোর হয়ে কবি লিখেছিলেন, ‘মোর প্রিয়া হবে এসো রানী, দেবো খোঁপায় তারার ফুল’, ঠিক একইভাবে দ্রোহের আগুনে জ্বলে উঠে বিদ্রোহী কবি লিখেছিলেন ‘কারার ঐ লৌহ কপাট।’

 

আজ ১১ জ্যৈষ্ঠ দ্রোহ, প্রেম, মানবতা ও বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী। ১৩০৬ বঙ্গাব্দের এই দিনে তিনি অবিভক্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

নজরুল যেন রবীন্দ্র পরবর্তী বাংলা সাহিত্যের আরেক ধ্রুবতারা। তাঁর সাহিত্যে প্রেম, বিরহ-বিদ্রোহ অগ্নিমূর্তি একই সাথে প্রকৃতি মাতৃমূর্তি রূপে ধরা দিয়েছে। তিনি পশ্চিমবঙ্গের চরুলিয়া গ্রামে প্রকৃতির কোলে বেড়ে উঠেছেন। তৎকালীন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের পরাধীনতার শিকল থেকে মুক্তি পেতে কবিতার মাধ্যমে আহ্বান জানালেন। ব্রিটিশ বিদ্রোহের অন্তরালে কবির হৃদয়ে প্রেরণা ছিল প্রকৃতি ও মানব প্রেম।

 

কাজী নজরুল ইসলামের ডাকনাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। তিনি গ্রামের স্থানীয় মসজিদে মুয়াজ্জিনের কাজ করতেন। মক্তবে কুরআন, ইসলাম ধর্ম, দর্শন এবং ইসলামি ধর্মতত্ত্ব অধ্যয়ন শুরু করেন। ১৯০৮ সালে বাবার মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল মাত্র নয় বছর। পারিবারিক অভাব-অনটনের কারণে তার শিক্ষাজীবন বাধাগ্রস্ত হয় এবং মাত্র দশ বছর বয়সে জীবিকা অর্জনের জন্য তাকে কাজে নামতে হয়। নজরুল মক্তব থেকে নিম্ন-মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সেই মক্তবেই শিক্ষকতা শুরু করেন। আর্থিক সমস্যায় ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর তাকে আবার কাজে ফিরে যেতে হয়। প্রথমে তিনি যোগ দেন বাসুদেবের কবিদলে। এর পর একজন খ্রিস্টান রেলওয়ে গার্ডের খানসামা এবং সবশেষে আসানসোলের চা-রুটির দোকানে রুটি বানানোর কাজ নেন। ১৯১৭ সালের শেষদিকে তিনি সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসাবে যোগ দেন।

১৯২১ সালের ডিসেম্বর মাসে কুমিল্লা থেকে কলকাতা ফেরার পথে নজরুল দুটি বৈপ্লবিক সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি করেন। এই দুটি হচ্ছে বিদ্রোহী কবিতা ও ভাঙার গান সংগীত। একই সময় তিনি লিখেছিলেন আরেকটি বিখ্যাত কবিতা কামাল পাশা। ১৯২২ সালে তার বিখ্যাত কবিতা-সংকলন অগ্নিবীণা প্রকাশিত হয়।

নিজের লেখনীর মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িকতা, সাম্য, সম্প্রতি ও মানবতার জয়গান গেয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবিকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসে তৎকালীন সরকার। বাংলা সাহিত্য এবং সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিদ্রোহী কবি নজরুলকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৭৬ সালে তৎকালীন সরকার কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করে। একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি কবিকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাঙালির চেতনার কবি নজরুল।

‘মসজিদেরই পাশে আমায় কবর দিও ভাই, যেন গোর থেকে মুয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই’ মৃত্যু চেতনার এমন গানে মসজিদের পাশে কবিকে সমাহিত করার আবেদন জানিয়েছিলেন বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।

কবির জন্মদিন উদযাপন করতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে থাকছে নানা আয়োজন। জাতীয় পর্যায়ে জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপনে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে দিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় কুমিল্লা ও ঢাকাসহ দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানমালা। এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান : কাজী নজরুলের উত্তরাধিকার।’ আজ বিকাল ৩টায় কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এই আয়োজনে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। অনুষ্ঠানে ‘নজরুল পুরস্কার ২০২৩ ও ২০২৪’-এর জন্য মনোনীতদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত গুণীজন তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করবেন। আলোচনা, নাচ, গান, আবৃত্তি, নাটকসহ নানা আয়োজনে সাজানো থাকবে তিন দিনের এই আয়োজন।

এ ছাড়া নানা বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন করবে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক কর্মী সংঘ। আজ সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে শুরু হবে দুই দিনব্যাপী নজরুল উৎসব। নজরুলজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আজ থেকে দুই দিনের উৎসবের আয়োজন করেছে ছায়ানট। এই উৎসবে থাকছে একক ও সম্মিলিত গান, নৃত্য, পাঠ-আবৃত্তি। জন্মদিনে কবির প্রতি রইল বিন্ম্র শ্রদ্ধা ও ফুলেল শুভেচ্ছা।