তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে জাপান। এতে এক হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। রোববার একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
জাপানের অগ্নি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) উত্তরাঞ্চলীয় ইওয়াতে এলাকার ওফুনাতোর বনাঞ্চলে আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে দাবানলটি প্রায় ১ হাজার ২০০ হেক্টর (৩,০০০ একর) এলাকা গ্রাস করেছে। সংস্থাটির এক মুখপাত্র বলেন, আমরা এখনো ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিমাণ নির্ধারণ করছি। তবে এটি ১৯৯২ সালে হোক্কাইডোর কুশিরোতে হওয়া দাবানলের পর সবচেয়ে বড়।
সেই দাবানলে ১ হাজার ৩০ হেক্টর এলাকা পুড়ে গিয়েছিল, যা এতদিন পর্যন্ত ছিল জাপানের জন্য সর্বোচ্চ। সংস্থাটি জানিয়েছে, দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় ১ হাজার ৭০০ অগ্নিনির্বাপক কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
জাপানের সরকারি সম্প্রচার সংস্থা এনএইচকে প্রকাশিত আকাশ থেকে তোলা ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা ধোঁয়া আকাশ ছেয়ে ফেলছে এবং পুরো একটি পাহাড় ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে।
স্থানীয় পুলিশ একজন পুড়ে যাওয়া ব্যক্তির মরদেহ খুঁজে পেয়েছে। এছাড়া, ওফুনাতো প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার পর্যন্ত ১ হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং ৮০টিরও বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দাবানলের কারণ এখনো অজানা। গত শনিবার ইয়ামানাশিসহ ইওয়াতের অন্য এলাকাতে আরো দুটি জায়গায় দাবানল জ্বলছিল।
সরকারি তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে জাপানে প্রায় ১ হাজার ৩০০ দাবানল ঘটেছিল, যার বেশিরভাগ ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে দেখা গেছে। এ সময় বাতাস শুষ্ক থাকে এবং বাতাসের গতি বৃদ্ধি পায়। ১৯৭০-এর দশকে দাবানলের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল। তারপর থেকে তা হ্রাস পেয়েছে।
ওফুনাতোতে এই ফেব্রুয়ারিতে মাত্র ২ দশমিক ৫ মিলিমিটার (০.১ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা আগের রেকর্ড করা ১৯৬৭ সালের ৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টির তুলনায় অনেক কম। তাছাড়া, গত বছর ছিল জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর।