ধারণা করা হয়েছিল শুক্র অথবা শনিবার জাপানে আঘাত হানবে শক্তিশালী টাইফুন শানশান। কিন্তু তার আগেই আঘাত হেনেছে ওই অঞ্চলে এযাবতকালের শক্তিশালী টাইফুনটি। শানশান আঘাত হানায় এরই মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আরও অন্তত ৩৯ আহত হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৯ অগাস্ট) স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে দক্ষিণাঞ্চলীয় কিউশু দ্বীপের কাগোশিমা প্রিফেকচারে টাইফুন শানশান আছড়ে পড়ে। জাপানের আবহাওয়া সংস্থা এসব তথ্য জানিয়েছে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, টাইফুনটি ১৮০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে নাগাসাকি প্রিফেকচারের উনজেন শহরের কাছে অবস্থান করছিল। তবে এখন এটি প্রতি ঘণ্টায় ১৫ কিমি বেগে উত্তরে চলে যাচ্ছে। ঝড়টি এর আগে কিউশুর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় দ্বীপে অবস্থিত সাতসুমাসেনদাই শহরের কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে।
শক্তিশালী এই টাইফুন আঘাত হানার পর প্রবল ঝড়, ভূমিধস, বন্যা ও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে এমন বিবেচনায় বিরল বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে জাপানি আবহাওয়া সংস্থা। এরই মধ্যে ওই দ্বীপে ২৫২ কিলোমিটার ঘণ্টা বেগে ঝড়ো বাতাসের খবর পাওয়া গেছে।

টাইফুন আঘাত হানার আগে মঙ্গলবার বাড়িঘর ভেসে গিয়ে ৭০ বছর বয়সী এক দম্পতি এবং ৩০ বছর বয়সী আরেক পুরুষ মারা গেছেন। তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য। মধ্য জাপানের গামাগোরিতে অবস্থিত তাদের বাড়ি গভীর রাতে ভেসে গেলে তাদের মৃত্যু হয়। বিবিসি জানায়, ওই পরিবারে মোট পাঁচ সদস্য ছিল। বাকি দুজনকে সারারাত প্রচেষ্টার পর উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে এক কোটি ২৫ লাখ মানুষের কিউশু দ্বীপে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ৬০০ মিমি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, প্রায় ২৫ হাজার ৫০০ বাড়ি এখন বিদ্যুৎবিহীন।
জাপানের জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, কাগোশিমা ও মিয়াজাকি প্রিফেকচারে অন্তত ৩৯ জন আহত হয়েছে।
ডেস্ক রিপোর্ট 




















