ফিলিস্তিনিকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে ফ্রান্স। আগামী জুন মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের কনফারেন্সে ফিলিস্তিনিকে স্বাধীন দেশ হিসেবে ঘোষণা আসতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্রান্স ফাইভ টেলিভিশনে বুধবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই কথা জানান ম্যাক্রোঁ।
সাক্ষাৎকারে ম্যাক্রোঁ বলেন, “আমাদের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে অগ্রসর হতে হবে। আমি কাউকে খুশি করতে এটা করবো না, স্বীকৃতি দেবো কারণ কোনও এক সময় এটিই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত।”
তিনি বলেছেন, এ উদ্যোগের প্রতিক্রিয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে পারে।
বিশ্বের প্রায় ১৫০টি দেশ ফিলিস্তিনকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও জাপানসহ শক্তিধর পশ্চিমা দেশগুলো এখনও এই স্বীকৃতি দেয়নি।
অন্যদিকে সৌদি আরব, ইরান, ইরাক, সিরিয়া, এবং ইয়েমেনের মতো বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশ এখনও ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি।
ম্যাক্রোঁ বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হল জুন মাসের মধ্যে সৌদি আরবের সঙ্গে যৌথভাবে একটি সম্মেলন আয়োজন করা, যেখানে আমরা বেশ কয়েকটি দেশের পারস্পারিক স্বীকৃতির দিকে অগ্রসর হওয়ার পদক্ষেপ চূড়ান্ত করতে পারি।”
ফ্রান্সের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভার্সেন আঘাবেকিয়ান শাহিন। তিনি বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ফিলিস্তিনকে ফ্রান্সের স্বীকৃতি ‘ফিলিস্তিনের অধিকার রক্ষা এবং দ্বিরাষ্ট্র নীতির দিকে একটি সঠিক পদক্ষেপ হবে।
ফ্রান্স দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন আলাদা দুটি রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে মতামত দিচ্ছে। তবে তারা বিষয়টিতে এতদিন আনুষ্ঠানিকভাবেই সমর্থন জানিয়ে আসছিল। শেষ পর্যন্ত ফ্রান্স যদি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয় তাহলে এটি তাদের পররাষ্ট্র নীতির বড় পরিবর্তন হবে।
বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ফ্রান্স ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি দিলে ক্ষুব্ধ হতে পারে দখলদার ইসরায়েল। কারণ তারা দাবি করছে, এখনই ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত হবে অপরিপক্ব।