হেডিংলিতে টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বেন স্টোকস। কিন্তু তাঁর পরিকল্পনায় জল ঢালে ভারতের দুই ওপেনার। যশস্বী জয়সওয়াল ও কেএল রাহুলের পার্টনারশিপে ওঠে ৯১ রান। রাহুল আউট হন ৪২ রানে। রানের মুখ দেখেননি এদিন অভিষেক হওয়া সাই সুদর্শন। কিন্তু যশস্বীকে রোখে কে? হাতে চোট নিয়েও সেঞ্চুরি করেন তিনি। অবশ্য চা-পানের বিরতির ঠিক পরেই ১০১ রানে আউট হন যশস্বী জেসওয়াল।
আর এরপর ইংল্যান্ড দেখল নতুন অধিনায়কের কামাল। এটা ঠিক যে, প্রথম দিকে সামান্য অস্বস্তিতে পড়ছিলেন গিল। তারপর যেন গা-ঝাড়া দিয়ে উঠলেন। পিচে ভয় ধরানোর মতো কিছু নেই। রান সহজেই উঠছে। তার উপর ক্রিস ওকস ও বেন স্টোকস ছাড়া ইংল্যান্ডের বোলিং বিভাগও সেরকম অভিজ্ঞ নয়। তাতে অবশ্য গিলের কৃতিত্ব ছোট হয় না। মারলেন ১৬টা চার। আবার প্রয়োজন বুঝে একটা সময় ডিফেন্সের রাস্তাও নিলেন। এককথায় গিলকে পরাস্ত করার মতো কোনও অস্ত্র ব্রাইডন কার্সদের হাত থেকে বেরোয়নি। অবশেষে ১৪০ বলে করলেন টেস্ট কেরিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। প্রথম দিনের শেষে তিনি অপরাজিত আছেন ১২৭ রানে।
অন্যদিকে রয়েছেন ঋষভ পন্থ। একটা কথা তো পরিষ্কার। যে যাই পরামর্শ দিক না কেন, পন্থ আছেন পন্থেই। কখনও শুয়ে পড়ে, কখনও এক হাতে চার-ছক্কা হাঁকালেন তিনি। অর্থাৎ নিজের স্বাভাবিক খেলা থেকে সরেননি। টিম ম্যানেজমেন্টও নিশ্চয়ই সেই স্বাধীনতা দিয়েছে। তিনি অপরাজিত আছেন ৬৫ রানে। ৬টি চারের পাশাপাশি আছে ২টি চার। অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের জুটিতে উঠেছে ১৩৮ রান। আর নেতারা যখন সামনে দাঁড়িয়ে এরকম ইনিংস খেলেন, তা তো দলকে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবেই। এবার দেখার ভারতের রান শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।
ভারত: ৩৫৯/৩ (গিল ১২৭*, যশস্বী ১০১, (স্টোকস ৪৩/২)
ইংল্যান্ড:
প্রথম দিনের খেলা শেষ।