সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আশা জাগিয়ে শুরু কপ ৩০, মুকিত মজুমদার বাবুর প্রত্যাশা পূর্বের প্রতিশ্রুতিগুলোর বাস্তবায়ন    Logo ট্রাম্পকে ইঙ্গিত করে লুলার প্রত্যয়, “কপ ৩০ হবে সত্যের কপ” Logo এবার নিজেকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন আরিফিন শুভ Logo ১৩ নভেম্বরের কর্মসূচি ঘিরে কোনো শঙ্কা নেই: ডিএমপি কমিশনার Logo ভারত-পাকিস্তানে একরাতের ব্যবধানে বোমা হামলা: দিল্লিতে নিহত ৯, ইসলামাবাদে নিহত ১২ Logo রাতের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে Logo সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ল সাড়ে তিন মাস Logo দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হজ পালনের অনুমতি দিবে না সৌদি সরকার Logo নদী গিলে নিচ্ছে জমি: ভাঙনের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তহীন লড়াই Logo ময়মনসিংহে বাসে আগুন, দগ্ধ হয়ে চালকের মৃত্যু

দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম শুরু

দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম শুরু

দেশজুড়ে প্রথমবারের মতো আজ থেকে শুরু হয়েছে টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম। মাসব্যাপী ক্যাম্পেইনে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত প্রায় ৫ কোটি শিশু-কিশোরকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হচ্ছে।

রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা কেন্দ্রে টিকাদান ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে টাইফয়েডে এখনও শিশুদের মৃত্যু হয়—এটা আমাদের জন্য লজ্জার। ডায়রিয়া, রাতকানা রোগসহ অনেক কিছু আমরা প্রতিরোধ করেছি, এবার টাইফয়েড প্রতিরোধেও সফল হব।’

রোগ প্রতিরোধই এখন সরকারের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যত বেশি মানুষ, বিশেষ করে শিশুদের প্রতিরোধমূলক টিকার আওতায় আনা যাবে, ততই হাসপাতালে ভিড় ও চাপ কমবে।’

এদিকে, রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে আয়োজিত টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ এর উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, আমরা আমাদের রুটিন টিকা কর্মসূচিতে নতুন একটি টিকা যুক্ত করছি, টাইফয়েড টিকা।

তিনি বলেন, আমরা যখন ছোটবেলায় টিকা নিতাম তখন সেগুলো ছিল যন্ত্রণাদায়ক। ফলে ভয়ের মতোই ছিল টিকাগুলো। কিন্তু এখন ব্যাপারটা এমন না। আমরা যে বিশাল কোভিডে আক্রান্ত হলাম তখন আমি যে ইনস্টিটিউটের দায়িত্বে ছিলাম সেটা একটা টিকাকেন্দ্র ছিল। তখন এই টিকা নিয়ে অনেক ভয় ছিল। টিকাগুলো অজানা, কি সমস্যা তৈরি করতে পারে। আমাদের টিকাকেন্দ্রে আমি টিকা কর্মসূচি উদ্বোধন করেছিলাম। আজকে যদি সুযোগ থাকতো যে আমাদেরও টিকা দেওয়া হবে তাহলে আমিই প্রথম টিকাটা নিতাম। সুতরাং আমি আশা করি, তোমাদের টিকা নিতে আর কোনো ভয় থাকবে না।

এক মাসব্যাপী টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রমে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের বিনামূল্যে এক ডোজ ইনজেকটেবল টাইফয়েড টিকা দেয়া হবে।

যেভাবে টাইফয়েডের টিকার নিবন্ধন করবেন

টাইফয়েডের টিকাদানের জন্য ১ অগাস্ট থেকে অনলাইনে নিবন্ধন শুরু হয়েছে। vaxepi.gov.bd/registration/tcv ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজন হবে ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন সনদ। এরপর নারী না পুরুষ সেই ঘরটি পূরণ করতে হবে। একটি ক্যাপচা কোড পূরণের মাধ্যমে আবেদনকারীর সব তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে পরের ধাপে যাওয়া যাবে। এই অংশে গিয়ে আবেদনকারী বা পিতা-মাতার মোবাইল নম্বর, ই-মেইল, পাসপোর্ট নম্বর, বর্তমান ঠিকানার ঘর পূরণ করতে হবে সাবমিট করতে হবে। সাবমিট করার পর মোবাইল ফোনে আসা একটি ওটিপি দেওয়ার মাধ্যমে নিবন্ধনের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শেষ হবে।

দ্বিতীয় ধাপে টাইফয়েড অথবা মেনিনজাইটিস এই দুটির একটি সিলেক্ট করতে হবে। টাইফয়েড অংশে ক্লিক করলে দুটি অপশন আসবে-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত নবম শ্রেণি ও সমমান পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থী অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভুত ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সকল শিশু।

এখান থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অপশনে গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম, পুরো ঠিকানা, কোন শ্রেণিতে অধ্যয়নরত তা পূরণ করতে হবে। এরপর সাবমিট করলে টিকাদান কেন্দ্রের তথ্য আসবে।

আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভুত ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সকল শিশু-এই অপশনে গিয়ে টিকাদান কেন্দ্র বাছাইয়ের পর সাবমিট করতে হবে। এরপর ভ্যাকসিন কার্ড আসবে। সেখানে ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করতে হবে। এই কার্ড নিয়ে নির্ধারিত দিনে টিকাদান কেন্দ্রে যেতে হবে।

টিকা দেওয়ার পর অনলাইনেই পাওয়া যাবে টাইফয়েড ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট।

জন্ম নিবন্ধন সনদ না থাকলেও বাবা-মায়ের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে নিবন্ধন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে লিখিতভাবে টিকার তথ্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি।

জনপ্রিয় সংবাদ

আশা জাগিয়ে শুরু কপ ৩০, মুকিত মজুমদার বাবুর প্রত্যাশা পূর্বের প্রতিশ্রুতিগুলোর বাস্তবায়ন   

দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম শুরু

আপডেট সময় ০২:৫৮:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

দেশজুড়ে প্রথমবারের মতো আজ থেকে শুরু হয়েছে টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম। মাসব্যাপী ক্যাম্পেইনে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত প্রায় ৫ কোটি শিশু-কিশোরকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হচ্ছে।

রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা কেন্দ্রে টিকাদান ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে টাইফয়েডে এখনও শিশুদের মৃত্যু হয়—এটা আমাদের জন্য লজ্জার। ডায়রিয়া, রাতকানা রোগসহ অনেক কিছু আমরা প্রতিরোধ করেছি, এবার টাইফয়েড প্রতিরোধেও সফল হব।’

রোগ প্রতিরোধই এখন সরকারের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যত বেশি মানুষ, বিশেষ করে শিশুদের প্রতিরোধমূলক টিকার আওতায় আনা যাবে, ততই হাসপাতালে ভিড় ও চাপ কমবে।’

এদিকে, রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে আয়োজিত টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ এর উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, আমরা আমাদের রুটিন টিকা কর্মসূচিতে নতুন একটি টিকা যুক্ত করছি, টাইফয়েড টিকা।

তিনি বলেন, আমরা যখন ছোটবেলায় টিকা নিতাম তখন সেগুলো ছিল যন্ত্রণাদায়ক। ফলে ভয়ের মতোই ছিল টিকাগুলো। কিন্তু এখন ব্যাপারটা এমন না। আমরা যে বিশাল কোভিডে আক্রান্ত হলাম তখন আমি যে ইনস্টিটিউটের দায়িত্বে ছিলাম সেটা একটা টিকাকেন্দ্র ছিল। তখন এই টিকা নিয়ে অনেক ভয় ছিল। টিকাগুলো অজানা, কি সমস্যা তৈরি করতে পারে। আমাদের টিকাকেন্দ্রে আমি টিকা কর্মসূচি উদ্বোধন করেছিলাম। আজকে যদি সুযোগ থাকতো যে আমাদেরও টিকা দেওয়া হবে তাহলে আমিই প্রথম টিকাটা নিতাম। সুতরাং আমি আশা করি, তোমাদের টিকা নিতে আর কোনো ভয় থাকবে না।

এক মাসব্যাপী টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রমে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের বিনামূল্যে এক ডোজ ইনজেকটেবল টাইফয়েড টিকা দেয়া হবে।

যেভাবে টাইফয়েডের টিকার নিবন্ধন করবেন

টাইফয়েডের টিকাদানের জন্য ১ অগাস্ট থেকে অনলাইনে নিবন্ধন শুরু হয়েছে। vaxepi.gov.bd/registration/tcv ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজন হবে ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন সনদ। এরপর নারী না পুরুষ সেই ঘরটি পূরণ করতে হবে। একটি ক্যাপচা কোড পূরণের মাধ্যমে আবেদনকারীর সব তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে পরের ধাপে যাওয়া যাবে। এই অংশে গিয়ে আবেদনকারী বা পিতা-মাতার মোবাইল নম্বর, ই-মেইল, পাসপোর্ট নম্বর, বর্তমান ঠিকানার ঘর পূরণ করতে হবে সাবমিট করতে হবে। সাবমিট করার পর মোবাইল ফোনে আসা একটি ওটিপি দেওয়ার মাধ্যমে নিবন্ধনের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শেষ হবে।

দ্বিতীয় ধাপে টাইফয়েড অথবা মেনিনজাইটিস এই দুটির একটি সিলেক্ট করতে হবে। টাইফয়েড অংশে ক্লিক করলে দুটি অপশন আসবে-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত নবম শ্রেণি ও সমমান পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থী অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভুত ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সকল শিশু।

এখান থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অপশনে গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম, পুরো ঠিকানা, কোন শ্রেণিতে অধ্যয়নরত তা পূরণ করতে হবে। এরপর সাবমিট করলে টিকাদান কেন্দ্রের তথ্য আসবে।

আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভুত ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সকল শিশু-এই অপশনে গিয়ে টিকাদান কেন্দ্র বাছাইয়ের পর সাবমিট করতে হবে। এরপর ভ্যাকসিন কার্ড আসবে। সেখানে ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করতে হবে। এই কার্ড নিয়ে নির্ধারিত দিনে টিকাদান কেন্দ্রে যেতে হবে।

টিকা দেওয়ার পর অনলাইনেই পাওয়া যাবে টাইফয়েড ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট।

জন্ম নিবন্ধন সনদ না থাকলেও বাবা-মায়ের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে নিবন্ধন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে লিখিতভাবে টিকার তথ্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি।