টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে মহাবিপন্ন বনরুই উদ্ধার

টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে মহাবিপন্ন বনরুই উদ্ধার

বিশ্বের অন্যতম বিপন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণী বনরুই (Pangolin) সম্প্রতি সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

 

বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের (ডব্লিউসিসিইউ) ফেসবুক পেইজের এক পোস্টে জানানো হয়েছে: ‘গত বুধবার (১১ জুন) তাহিরপুর সীমান্তবর্তী পাহাড়ি ছড়া দিয়ে ঢলে ভেসে আসা বনরুইটি ধরা পড়ে এক জেলের জালে। পরে স্থানীয় বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে আসলে জনতার ভিড়ের মধ্যে খবর পৌঁছে যায় বন বিভাগের কাছে।

তাৎক্ষণিকভাবে ডব্লিউসিসিউ, বন অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আস সাদিক তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাসেম এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর  তাঁর সরেজমিন উপস্থিতিতে প্রাণীটি স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয় এবং বনবিভাগের তত্ত্বাবধানে হস্তান্তরের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।’

 

পরদিন ডব্লিউসিসিইউ, ঢাকার পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আস সাদিকের বিশেষ তত্বাবধানে, সঞ্জয় বন্দ এর মাধ্যমে বনরুইটি ঢাকায় এনে নিবিড় পরিচর্যার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

ডব্লিউসিসিউ এর ফেসবুক পোস্টে আরও বলা হয়, ‘বনরুই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পাচার হওয়া স্তন্যপায়ী প্রাণীগুলোর একটি। একে বাঁচানো মানে শুধু একটি প্রাণী নয়, একটি পুরো প্রজাতিকে রক্ষা করা। জনসচেতনতা, স্থানীয়দের সহায়তা এবং প্রশাসনিক সমন্বয় থাকলে বন্যপ্রাণী রক্ষা সম্ভব।’

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে মহাবিপন্ন বনরুই উদ্ধার

আপডেট সময় ০২:৩৯:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

বিশ্বের অন্যতম বিপন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণী বনরুই (Pangolin) সম্প্রতি সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

 

বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের (ডব্লিউসিসিইউ) ফেসবুক পেইজের এক পোস্টে জানানো হয়েছে: ‘গত বুধবার (১১ জুন) তাহিরপুর সীমান্তবর্তী পাহাড়ি ছড়া দিয়ে ঢলে ভেসে আসা বনরুইটি ধরা পড়ে এক জেলের জালে। পরে স্থানীয় বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে আসলে জনতার ভিড়ের মধ্যে খবর পৌঁছে যায় বন বিভাগের কাছে।

তাৎক্ষণিকভাবে ডব্লিউসিসিউ, বন অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আস সাদিক তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাসেম এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর  তাঁর সরেজমিন উপস্থিতিতে প্রাণীটি স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয় এবং বনবিভাগের তত্ত্বাবধানে হস্তান্তরের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।’

 

পরদিন ডব্লিউসিসিইউ, ঢাকার পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আস সাদিকের বিশেষ তত্বাবধানে, সঞ্জয় বন্দ এর মাধ্যমে বনরুইটি ঢাকায় এনে নিবিড় পরিচর্যার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

ডব্লিউসিসিউ এর ফেসবুক পোস্টে আরও বলা হয়, ‘বনরুই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পাচার হওয়া স্তন্যপায়ী প্রাণীগুলোর একটি। একে বাঁচানো মানে শুধু একটি প্রাণী নয়, একটি পুরো প্রজাতিকে রক্ষা করা। জনসচেতনতা, স্থানীয়দের সহায়তা এবং প্রশাসনিক সমন্বয় থাকলে বন্যপ্রাণী রক্ষা সম্ভব।’