সংবাদ শিরোনাম ::
Logo প্রকৃতির প্রতিশোধ: সংকটে জীববৈচিত্র্য Logo লঘুচাপ, ঘূর্ণিঝড়ের গুঞ্জন! কেমন যেতে পারে মাসের শেষ দিনগুলো, যা বলছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস Logo প্রশাসনিক সমন্বয় ও সংস্কার ছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ সম্ভব নয় : পরিবেশ উপদেষ্টা Logo বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল Logo প্রকৃতির সঙ্গে সুর মিলিয়ে চলার বার্তা নিয়ে এবছরের আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস Logo জাতীয় নির্বাচন, ‘মানবিক করিডোর’, মব সহিংসতা নিয়ে যা বললেন সেনাপ্রধান Logo রিট খারিজ, মেয়র হিসেবে ইশরাককে শপথ পড়ানোর বাধা নেই Logo প্রাক বর্ষায় রাজধানীসহ নানাস্থানে মাঝারি-ভারী বৃষ্টি Logo শিল্পে বিনামূল্যে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন বন্ধে নীতিমালা চূড়ান্ত হচ্ছে : রিজওয়ানা হাসান Logo শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন শপথবাক্য পাঠ করানোর নির্দেশ
বাংলাদেশের চামড়া শিল্পে পরিবেশ সুরক্ষা, শ্রমিক ও স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক সংলাপ

টেকসই চামড়া খাত বিনির্মাণে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে

টেকসই চামড়া খাত বিনির্মাণে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে

অব্যবস্থাপনা এবং শ্রম আইন উপেক্ষার কারণে দেশের চামড়াশিল্প ক্রমাগত সংকটে পড়ছে। এর পাশাপাশি, ট্যানারি থেকে নির্গত বিষাক্ত বর্জ্যে ভয়াবহ পরিবেশ দূষণের সৃষ্টি হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।

আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সাভার পৌরসভার শিমুলতলার ওয়াইএমসিএ মিলনায়তনে ‘বিল্ডিং এ সাসটেইনেবল লেদার সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক সংলাপে এসব কথা বলেন বক্তারা। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক (স্বাস্থ্য কার্যক্রম ও প্রশিক্ষণ) ডা. রেজাউল হকের সভাপতিত্বে এর মূল প্রতিপাদ্য ছিল, ‘বাংলাদেশের চামড়া শিল্পে পরিবেশ সুরক্ষা, শ্রমিক ও স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা।’

উন্নত কাঁচামাল আর বিপুল সম্ভাবনা থাকলেও অব্যবস্থাপনা ও অপরিনামদর্শী কর্মকাণ্ডে অন্যতম সঙ্কটজনক খাত চামড়া শিল্প। এমন বাস্তবতায়, সংলাপে উঠে আসে চামড়া শিল্পের সামাজিক ও পরিবেশগত নানান সঙ্কট ও উত্তরণের রূপরেখা।

সংলাপে সাভারের বাসিন্দাদের পক্ষে বক্তারা হেমায়েতপুরে চামড়া শিল্পকারখানাগুলোর মাধ্যমে নদী দূষণসহ আশপাশের পরিবেশ দূষণের বাস্তবচিত্র, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জনভোগান্তি তুলে ধরেন।

টেকসই চামড়া খাত বিনির্মাণে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে, prokritibarta, Nature & Life Foundation, বাংলাদেশের চামড়া শিল্পে পরিবেশ সুরক্ষা, শ্রমিক ও স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক সংলাপ

সবুজের অভিযান ফাউন্ডেশনের প্রকল্প সমন্বয়ক মো. কবীর হোসেন বলেন, সাভারের চামড়া শিল্প নগরে ১৪০টি ট্যানারি প্রতিদিন গড়ে ২২ হাজার কিউবিক লিটার বিষাক্ত তরল বর্জ্য নির্গত করছে। এই বর্জ্যে সোডিয়াম ক্লোরাইড, ক্রোমিয়াম, খার, দ্রবীভূত প্রোটিন ও জৈব পদার্থের উপস্থিতি রয়েছে, যা আশপাশের নদী, জলাশয়, মাটি ও বায়ুকে ব্যাপকভাবে দূষিত করছে।

সাভার নদী ও পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শামসুল হক বলেন, হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সরিয়ে বুড়িগঙ্গাকে রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে সাভারে স্থানান্তরের পর ট্যানারির বর্জ্য ধলেশ্বরী ও বংশী নদীকে ধ্বংস করছে। কিন্তু এই দূষণ রোধে কার্যকর কোনো সরকারি উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

সাভার নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন খান অভিযোগ করেন, চামড়া শিল্প নগরে পরিবেশসম্মত চামড়া প্রক্রিয়াকরণ হয় না। কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে সম্পূর্ণ কার্যকর নয়। কঠিন বর্জ্য নিষ্কাশনেরও কোনো সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেই। ফলে সাভারের পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, আর চামড়া শিল্প ক্রমেই সংকটে পড়ছে।

সাভার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শওকত আলী বলেন, বেশি মুনাফার লোভে ট্যানারি মালিকেরা আইন মেনে চলতে আগ্রহী নন। পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য এই মানসিকতা বদলানো অত্যন্ত জরুরি।

টেকসই চামড়া খাত বিনির্মাণে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে, prokritibarta, Nature & Life Foundation, বাংলাদেশের চামড়া শিল্পে পরিবেশ সুরক্ষা, শ্রমিক ও স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক সংলাপ

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের পরিচালক নাজমা ইয়াসমিন মন্তব্য করেন, শুধু আলোচনা নয়, পরিবেশ রক্ষায় সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরকে আরও কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ এবং তদারকি বাড়াতে হবে।

টেকসই চামড়া খাত বিনির্মাণে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে, prokritibarta, Nature & Life Foundation, বাংলাদেশের চামড়া শিল্পে পরিবেশ সুরক্ষা, শ্রমিক ও স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক সংলাপ

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ডা. রেজাউল হক বলেন, ট্যানারির তরল বর্জ্যে থাকা ক্রোমিয়ামের কারণে সাভারের নদীগুলো মাছশূন্য হয়ে গেছে। কৃষি জমির উৎপাদন কমে গেছে। দূষিত পানি ব্যবহারে অনেক মানুষ চর্মরোগসহ ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

অব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ দূষণের মাঝে বক্তারা শোনালেন আশার বাণী, বাংলাদেশের চামড়াশিল্প একটি সম্ভাবনাময় রপ্তানিখাত হওয়ার সুযোগ থাকলেও বিশ্ববাজারে উল্লেখযোগ্য অবস্থান তৈরি করতে পারেনি। বর্তমানে এ শিল্পে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। আগামী ২০৩০ সালে তা ৩০-৩৫ লাখে উন্নীত করা সম্ভব। বর্তমানে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে বিশ্ববাজারের প্রায় ৩ শতাংশ বাংলাদেশের দখলে আছে।

টেকসই চামড়া খাত বিনির্মাণে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে, prokritibarta, Nature & Life Foundation, বাংলাদেশের চামড়া শিল্পে পরিবেশ সুরক্ষা, শ্রমিক ও স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক সংলাপ

“বাংলাদেশের চামড়া শিল্পে পরিবেশ সুরক্ষা এবং শ্রমিক ও স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা” শীর্ষক সংলাপটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত ‘বিল্ডিং এ সাসটেইনেবল লেদার সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় আয়োজন করা হয়।

টেকসই চামড়া খাত বিনির্মাণে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে, prokritibarta, Nature & Life Foundation, বাংলাদেশের চামড়া শিল্পে পরিবেশ সুরক্ষা, শ্রমিক ও স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক সংলাপ

প্রকল্পটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছে সলিডার সুইস। এটি একটি যৌথ উদ্যোগ, যাতে যুক্ত আছে ওশি ফাউন্ডেশন, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন, সবুজের অভিযান ফাউন্ডেশন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ।

সংলাপে চামড়াশিল্পখাতের পরিবেশ দূষণ এবং স্বাস্থ্যগত প্রভাবের মতো প্রতিকূলতা নিয়ে আলোচনা হয়। যাতে সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের পরিবেশগত আইন মেনে চলার গুরুত্ব এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যগত প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতায় গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়াও, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শক্তিশালী, পরিচ্ছন্ন ও উন্নত চামড়াশিল্প খাত তৈরির আবশ্যকতা উঠে আসে সংলাপে।

ট্যানারি শিল্পের মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি, বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিসহ সুধী সমাজের নেতৃবৃন্দ সংলাপে অংশ নেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ডা. রেজাউল হক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সবুজের অভিযান ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মো. কবির হোসেন। আয়োজনের সঞ্চালনা করেন ওশি ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. আলম হোসেন।

আপলোডকারীর তথ্য

প্রকৃতির প্রতিশোধ: সংকটে জীববৈচিত্র্য

বাংলাদেশের চামড়া শিল্পে পরিবেশ সুরক্ষা, শ্রমিক ও স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক সংলাপ

টেকসই চামড়া খাত বিনির্মাণে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে

আপডেট সময় ১১:৪৩:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
অব্যবস্থাপনা এবং শ্রম আইন উপেক্ষার কারণে দেশের চামড়াশিল্প ক্রমাগত সংকটে পড়ছে। এর পাশাপাশি, ট্যানারি থেকে নির্গত বিষাক্ত বর্জ্যে ভয়াবহ পরিবেশ দূষণের সৃষ্টি হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।

আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সাভার পৌরসভার শিমুলতলার ওয়াইএমসিএ মিলনায়তনে ‘বিল্ডিং এ সাসটেইনেবল লেদার সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক সংলাপে এসব কথা বলেন বক্তারা। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক (স্বাস্থ্য কার্যক্রম ও প্রশিক্ষণ) ডা. রেজাউল হকের সভাপতিত্বে এর মূল প্রতিপাদ্য ছিল, ‘বাংলাদেশের চামড়া শিল্পে পরিবেশ সুরক্ষা, শ্রমিক ও স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা।’

উন্নত কাঁচামাল আর বিপুল সম্ভাবনা থাকলেও অব্যবস্থাপনা ও অপরিনামদর্শী কর্মকাণ্ডে অন্যতম সঙ্কটজনক খাত চামড়া শিল্প। এমন বাস্তবতায়, সংলাপে উঠে আসে চামড়া শিল্পের সামাজিক ও পরিবেশগত নানান সঙ্কট ও উত্তরণের রূপরেখা।

সংলাপে সাভারের বাসিন্দাদের পক্ষে বক্তারা হেমায়েতপুরে চামড়া শিল্পকারখানাগুলোর মাধ্যমে নদী দূষণসহ আশপাশের পরিবেশ দূষণের বাস্তবচিত্র, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জনভোগান্তি তুলে ধরেন।

টেকসই চামড়া খাত বিনির্মাণে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে, prokritibarta, Nature & Life Foundation, বাংলাদেশের চামড়া শিল্পে পরিবেশ সুরক্ষা, শ্রমিক ও স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক সংলাপ

সবুজের অভিযান ফাউন্ডেশনের প্রকল্প সমন্বয়ক মো. কবীর হোসেন বলেন, সাভারের চামড়া শিল্প নগরে ১৪০টি ট্যানারি প্রতিদিন গড়ে ২২ হাজার কিউবিক লিটার বিষাক্ত তরল বর্জ্য নির্গত করছে। এই বর্জ্যে সোডিয়াম ক্লোরাইড, ক্রোমিয়াম, খার, দ্রবীভূত প্রোটিন ও জৈব পদার্থের উপস্থিতি রয়েছে, যা আশপাশের নদী, জলাশয়, মাটি ও বায়ুকে ব্যাপকভাবে দূষিত করছে।

সাভার নদী ও পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শামসুল হক বলেন, হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সরিয়ে বুড়িগঙ্গাকে রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে সাভারে স্থানান্তরের পর ট্যানারির বর্জ্য ধলেশ্বরী ও বংশী নদীকে ধ্বংস করছে। কিন্তু এই দূষণ রোধে কার্যকর কোনো সরকারি উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

সাভার নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন খান অভিযোগ করেন, চামড়া শিল্প নগরে পরিবেশসম্মত চামড়া প্রক্রিয়াকরণ হয় না। কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে সম্পূর্ণ কার্যকর নয়। কঠিন বর্জ্য নিষ্কাশনেরও কোনো সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেই। ফলে সাভারের পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, আর চামড়া শিল্প ক্রমেই সংকটে পড়ছে।

সাভার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শওকত আলী বলেন, বেশি মুনাফার লোভে ট্যানারি মালিকেরা আইন মেনে চলতে আগ্রহী নন। পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য এই মানসিকতা বদলানো অত্যন্ত জরুরি।

টেকসই চামড়া খাত বিনির্মাণে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে, prokritibarta, Nature & Life Foundation, বাংলাদেশের চামড়া শিল্পে পরিবেশ সুরক্ষা, শ্রমিক ও স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক সংলাপ

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের পরিচালক নাজমা ইয়াসমিন মন্তব্য করেন, শুধু আলোচনা নয়, পরিবেশ রক্ষায় সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরকে আরও কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ এবং তদারকি বাড়াতে হবে।

টেকসই চামড়া খাত বিনির্মাণে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে, prokritibarta, Nature & Life Foundation, বাংলাদেশের চামড়া শিল্পে পরিবেশ সুরক্ষা, শ্রমিক ও স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক সংলাপ

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ডা. রেজাউল হক বলেন, ট্যানারির তরল বর্জ্যে থাকা ক্রোমিয়ামের কারণে সাভারের নদীগুলো মাছশূন্য হয়ে গেছে। কৃষি জমির উৎপাদন কমে গেছে। দূষিত পানি ব্যবহারে অনেক মানুষ চর্মরোগসহ ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

অব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ দূষণের মাঝে বক্তারা শোনালেন আশার বাণী, বাংলাদেশের চামড়াশিল্প একটি সম্ভাবনাময় রপ্তানিখাত হওয়ার সুযোগ থাকলেও বিশ্ববাজারে উল্লেখযোগ্য অবস্থান তৈরি করতে পারেনি। বর্তমানে এ শিল্পে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। আগামী ২০৩০ সালে তা ৩০-৩৫ লাখে উন্নীত করা সম্ভব। বর্তমানে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে বিশ্ববাজারের প্রায় ৩ শতাংশ বাংলাদেশের দখলে আছে।

টেকসই চামড়া খাত বিনির্মাণে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে, prokritibarta, Nature & Life Foundation, বাংলাদেশের চামড়া শিল্পে পরিবেশ সুরক্ষা, শ্রমিক ও স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক সংলাপ

“বাংলাদেশের চামড়া শিল্পে পরিবেশ সুরক্ষা এবং শ্রমিক ও স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা” শীর্ষক সংলাপটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত ‘বিল্ডিং এ সাসটেইনেবল লেদার সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় আয়োজন করা হয়।

টেকসই চামড়া খাত বিনির্মাণে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে, prokritibarta, Nature & Life Foundation, বাংলাদেশের চামড়া শিল্পে পরিবেশ সুরক্ষা, শ্রমিক ও স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক সংলাপ

প্রকল্পটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছে সলিডার সুইস। এটি একটি যৌথ উদ্যোগ, যাতে যুক্ত আছে ওশি ফাউন্ডেশন, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন, সবুজের অভিযান ফাউন্ডেশন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ।

সংলাপে চামড়াশিল্পখাতের পরিবেশ দূষণ এবং স্বাস্থ্যগত প্রভাবের মতো প্রতিকূলতা নিয়ে আলোচনা হয়। যাতে সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের পরিবেশগত আইন মেনে চলার গুরুত্ব এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যগত প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতায় গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়াও, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শক্তিশালী, পরিচ্ছন্ন ও উন্নত চামড়াশিল্প খাত তৈরির আবশ্যকতা উঠে আসে সংলাপে।

ট্যানারি শিল্পের মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি, বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিসহ সুধী সমাজের নেতৃবৃন্দ সংলাপে অংশ নেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ডা. রেজাউল হক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সবুজের অভিযান ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মো. কবির হোসেন। আয়োজনের সঞ্চালনা করেন ওশি ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. আলম হোসেন।