গাজীপুরে টেকসই চামড়া শিল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে পরিবেশগত প্রভাব ও অধিকার নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং করণীয় নির্ধারণে হয়ে গেল সচেতনতামূলক সভা। রোববার (২০ অক্টোবর) গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের সভাকক্ষে ‘অ্যাওয়ারনেস রেইজিং ক্যাম্পেইন অন এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্টস এন্ড রাইটস অ্যাট লেদার সেক্টর’ শিরোনামে এই সভার আয়োজন করা হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সলিডার সুইসের তত্ত্বাবধানে ওশি ফাউন্ডেশনের পরিচালনায়, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে “বিল্ডিং এ সাসটেইনেবল লেদার সেক্টর ইন বাংলাদেশ” প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালিয়াকৈর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দিল আফরোজ।
সভায় চামড়া শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব ও অধিকার, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা, এবং এই শিল্পের টেকসই উন্নয়নের জন্য করণীয় নিয়ে আলোচনা হয় ।
বক্তারা উল্লেখ করেন, টেকসই চামড়া শিল্প গড়ে তোলার জন্য পরিবেশগত ক্ষতির কারণগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করা প্রয়োজন। শ্রমিকদের সুরক্ষা, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার, এবং তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই শিল্পকে আরও টেকসই করা সম্ভব।
ল্যান্ডমার্ক ফুটওয়্যার লিমিটেডের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস অফিসার কামরুল হাসান বলেন, ‘চামড়া খাত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে, এই খাতের টিকে থাকার জন্য আমাদের সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। চামড়া প্রক্রিয়াজাত থেকে শুরু করে পণ্য উৎপাদনের প্রতিটি ধাপে রাসায়নিকের ব্যবহার রয়েছে, যা পরিবেশের জন্য হুমকি তৈরি করে। তাই, আমাদের দায়িত্ব পরিবেশকে রক্ষা করে চামড়া শিল্পকে টেকসইভাবে পরিচালনা করা। সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে পারবো।’
কালিয়াকৈরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) দিল আফরোজ বলেন, ‘চামড়া শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব কমিয়ে আনা এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এই খাতের টেকসই উন্নয়নের জন্য সরকার, শিল্পমালিক, শ্রমিক এবং স্থানীয় জনগণকে একত্রে কাজ করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, সবাই একসঙ্গে কাজ করলে চামড়া শিল্পকে টেকসইভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হবে এবং পরিবেশগত ঝুঁকিও হ্রাস পাবে।
সভায় সরকারি পর্যায়ের প্রতিনিধি, চামড়া শিল্পের মালিক পক্ষের প্রতিনিধি, শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।