যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাশামতো ৩০ দিনের পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হননি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে আপাতত ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা না চালানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
এক মাসের পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি হবে রাশিয়া ও ইউক্রেইনের মধ্যে স্থায়ী শান্তি চুক্তির দিকে এগোনোর প্রথম পদক্ষেপ, এমন আশাই করেছিলেন ট্রাম্প। এদিকে পূর্ণ যুদ্ধবিরতির সমঝোতা না হলেও যতটুকু হয়েছে তাকেই সমর্থন করবে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার বাহিনী অগ্রগামী অবস্থানে থাকায় প্রেসিডেন্ট পুতিন উল্লেখযোগ্য ছাড় দেওয়া এড়ালেন। এটি পুতিনের ‘সময়ক্ষেপণের একটি কৌশল’ হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
মঙ্গলবার ট্রাম্প ও পুতিন এক ফোনকলে দীর্ঘক্ষণ ধরে আলাপ করেন। এরপর হোয়াইট হাউজ জানায়, কৃষ্ণ সাগরের জলপথে যুদ্ধবিরতিসহ আরও পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি এবং একটি স্থায়ী শান্তি চুক্তির বিষয়ে আলোচনা অবিলম্বে শুরু হবে।
ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, আগামী রোববার সৌদি আরবের জেদ্দায় এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। যদিও এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা শুরু হলে তাতে ইউক্রেনকে যুক্ত করা হবে কি না, তা পরিষ্কার হয়নি।
ফক্স নিউজের এক অনুষ্ঠানে উইটকফ বলেছেন, “কিছুদিন আগেও জ্বালানি ও অবকাঠামো যুদ্ধবিরতি এবং কৃষ্ণ সাগরে গোলাগুলি বন্ধ রাখা নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো ঐক্যমত্য ছিল না, আর আজ আমরা সেই জায়গায় পৌঁছে গেছি। এখান থেকে পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে যাওয়া তুলনামূলক কম দূরত্বের বিষয় হবে বলে মনে করি আমি।”
ক্রেমলিন জানিয়েছে, ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার পর পুতিন রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনাগুলোতে হামলা না চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। এই যুদ্ধবিরতি ইউক্রেনকে পুনরায় অস্ত্র সজ্জিত হওয়ার ও যুদ্ধক্ষেত্রে আরও সেনা পাঠানোর সুযোগ করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তারা।
কোনো যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার আগে ইউক্রেনকে দেওয়া সকল সামরিক ও গোয়েন্দা সহায়তার বন্ধ করা দরকার বলে তাদের দাবি আরও জোরালোভাবে জানিয়েছে ক্রেমলিন। যদিও ট্রাম্প ফক্স নিউজকে জানিয়েছেন, পুতিনের সঙ্গে তার আলাপে ইউক্রেনকে দেওয়া সহায়তা নিয়ে কোনো কথা হয়নি।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ৩০ দিনের জন্য জ্বালানি স্থাপনা ও অবকাঠামোতে হামলা বন্ধ রাখার প্রস্তাব সমর্থন করবে তার দেশ।