প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ‘দীর্ঘ ও অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ ফোনালাপ হয়েছে। এই কথোপকথনের প্রেক্ষিতে ট্রাম্প বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আলোচনা অবিলম্বে শুরু হবে।’
গত মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে এটি প্রথম আলোচনা। ফোনালাপটি এমন এক সময়ে হয়েছে যখন ট্রাম্প তার উপদেষ্টাদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ইউক্রেন সংঘাতের দ্রুত অবসান চান।
বুধবার ট্রাম্প জানান, তিনি ফোনে পুতিনের সঙ্গে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কথা বলেছেন। “আমার মনে হয় আমরা শান্তির পথে আছি,” বলেছেন তিনি। রাশিয়ার নেতা যুদ্ধ শেষ করতে চান এবং তারা ‘অদূর ভবিষ্যতে একটি যুদ্ধবিরতি করা’ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

“আমার মনে হয় প্রেসিডেন্ট পুতিন শান্তি চান, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি শান্তি চান এবং আমি শান্তি চাই। আমি শুধু দেখতে চাই মানুষ হত্যা বন্ধ হচ্ছে।”
রয়টার্স লিখেছে, ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন তিনি দ্রুত ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন। তবে কীভাবে তা করবেন সেটি পরিষ্কার করেননি।
এর আগে ক্রেমলিন জানায়, পুতিন ও ট্রাম্প সাক্ষাৎ করার বিষয়ে সহমত হয়েছেন এবং পুতিন ট্রাম্পকে মস্কোতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন, তাদের প্রথম বৈঠক ‘সম্ভবত’ শিগগিরই সৌদি আরবে হবে।
এর আগে ট্রাম্পের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, কিইভকে ন্যাটো সামরিক জোটে যোগ দেওয়ার এবং রাশিয়া তাদের যে অঞ্চলগুলো দখল করে নিয়েছে সেগুলো পুনরুদ্ধারের চেষ্টা বাদ দিতে হবে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই মন্তব্যে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তিন বছর ধরে চলা ওয়াশিংটনের নীতিতে নাটকীয় পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
২০২২ সালে শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধের তিন বছর পূর্তি হবে চলতি ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখে। এই তিন বছরের মধ্যে এই যুদ্ধ অবসানে কোনো শান্তি আলোচনা হয়নি। ট্রাম্পের পূর্বসূরী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পুতিনের সঙ্গে সরাসরি কোনো আলোচনা করেননি বরং কিইভকে শত শত কোটি ডলারের সামরিক ও অন্যান্য সহায়তা পাঠিয়েছেন।