ড্রোন-মিসাইলে জবাব দিচ্ছে ইরান, হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলও

ইসরায়েলের ‘রাইজিং লায়নের’ জবাবে ড্রোন-মিসাইল দিয়ে চলছে ইরানের অভিযান ‘ট্রু প্রমিস ৩’।

ইসরায়েলের দ্বিতীয় দফা আক্রমণের জবাবে এবার দেশটির সামরিক ও বিমান ঘাঁটিগুলোতে একযোগে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।

দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলা থামার লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না। শুক্রবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুটিতে একে অপরের হামলায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে; যাদের বেশির ভাগেই ইরানের। উভয় পক্ষের কর্মকর্তারাই তাদের অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) শুক্রবার রাতে এ হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘ট্রু প্রমিস ৩’ নামের এ অভিযান শুরু হয়েছে।

ইসারায়েলের সামরিক বাহিনীর দাবি, ইরান ১০০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যেগুলোর বেশির ভাগ তারা ঠেকিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দুই কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স বলেছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতের যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে। ভূমিতে স্থাপিত ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থার মাধ্যমেই এগুলো ভূপাতিত করা হয়েছে। এখনও যুদ্ধবিমান কিংবা যুদ্ধ জাহাজের সহায়তা নেওয়া হয়নি।

তেল আবিবের পূর্ব দিকের এলাকা রামাত জানের বিধ্বস্ত ভবনের আশপাশ থেকে আহত ব্যক্তিদের সরিয়ে নেওয়ার ছবি ও ভিডিও দেখা গেছে।

ইসরায়েলের তেল আবিব মহানগর এলাকায় রকেট হামলায় পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় অ্যাম্বুলেন্স সেবা সংস্থা মাগেন ডেভিড অ্যাডম।

আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। মাগেন ডেভিড অ্যাডম-এর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, “এই মুহূর্ত পর্যন্ত তেল আবিব এলাকায় হামলার খবর পাওয়া সাতটি স্থানে আমাদের দল পাঠানো হয়েছে উদ্ধার কাজের জন্য।”

ওদিকে, ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বলেছে, অন্তত দুটি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ইরানের আকাশসীমায় গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে এই দাবি এখনও স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

রয়টার্স জানিয়েছে, জাতিসংঘে ইরানের প্রতিনিধি বলেছে ইসরায়েলের হামলায় জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাসহ ৭৮ জন ব্যক্তি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৩২০ জন, যাদের বেশির ভাগ বেসামরিক ব্যক্তি।

বিবিসি লিখেছে, পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। তেল আবিবের আকাশে ধোঁয়ার কুন্ডলি দেখা গেছে।

সর্বশেষ এক খবরে বলা হয়েছে, সেন্ট্রাল ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে অন্তত দুইজন নিহত এবং দশজন আহত হয়েছেন। বিবিসি জানিয়েছে, শনিবার ভোর হওয়ার ঠিক আগে ইসরায়েলে সাইরেন বেজে ওঠে।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ইরান বাস্তবিকই ইসরায়েলের ক্ষতি করতে পারে। সেটি যে সম্ভব হতে পারে তার প্রথম লক্ষণ এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানে তাদের হামলা কয়েকদিন ধরে চলতে পারে।

ইরানে শুক্রবার ভোররাতে বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় হামলার পরদিন দুপুরে ইসরায়েল দেশটিতে দ্বিতীয়বারের মতো কয়েকদফা হামলা চালায়।

ইরান প্রথমদফা ইসরায়েলি হামলার পরই এর জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। এরপর থেকে ঘণ্টায় ঘণ্টায় দুই দেশের মধ্যে সংঘাত কেবল বাড়ছে।

ইসরায়েলের দ্বিতীয় দফা আক্রমণের জবাবে এবার দেশটির সামরিক ও বিমান ঘাঁটিগুলোতে একযোগে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।

দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলা থামার লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না। শুক্রবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুটিতে একে অপরের হামলায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে; যাদের বেশির ভাগেই ইরানের। উভয় পক্ষের কর্মকর্তারাই তাদের অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) শুক্রবার রাতে এ হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘ট্রু প্রমিস ৩’ নামের এ অভিযান শুরু হয়েছে।

ইসারায়েলের সামরিক বাহিনীর দাবি, ইরান ১০০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যেগুলোর বেশির ভাগ তারা ঠেকিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দুই কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স বলেছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতের যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে। ভূমিতে স্থাপিত ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থার মাধ্যমেই এগুলো ভূপাতিত করা হয়েছে। এখনও যুদ্ধবিমান কিংবা যুদ্ধ জাহাজের সহায়তা নেওয়া হয়নি।

তেল আবিবের পূর্ব দিকের এলাকা রামাত জানের বিধ্বস্ত ভবনের আশপাশ থেকে আহত ব্যক্তিদের সরিয়ে নেওয়ার ছবি ও ভিডিও দেখা গেছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

ড্রোন-মিসাইলে জবাব দিচ্ছে ইরান, হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলও

আপডেট সময় ১০:১৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

ইসরায়েলের ‘রাইজিং লায়নের’ জবাবে ড্রোন-মিসাইল দিয়ে চলছে ইরানের অভিযান ‘ট্রু প্রমিস ৩’।

ইসরায়েলের দ্বিতীয় দফা আক্রমণের জবাবে এবার দেশটির সামরিক ও বিমান ঘাঁটিগুলোতে একযোগে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।

দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলা থামার লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না। শুক্রবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুটিতে একে অপরের হামলায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে; যাদের বেশির ভাগেই ইরানের। উভয় পক্ষের কর্মকর্তারাই তাদের অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) শুক্রবার রাতে এ হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘ট্রু প্রমিস ৩’ নামের এ অভিযান শুরু হয়েছে।

ইসারায়েলের সামরিক বাহিনীর দাবি, ইরান ১০০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যেগুলোর বেশির ভাগ তারা ঠেকিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দুই কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স বলেছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতের যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে। ভূমিতে স্থাপিত ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থার মাধ্যমেই এগুলো ভূপাতিত করা হয়েছে। এখনও যুদ্ধবিমান কিংবা যুদ্ধ জাহাজের সহায়তা নেওয়া হয়নি।

তেল আবিবের পূর্ব দিকের এলাকা রামাত জানের বিধ্বস্ত ভবনের আশপাশ থেকে আহত ব্যক্তিদের সরিয়ে নেওয়ার ছবি ও ভিডিও দেখা গেছে।

ইসরায়েলের তেল আবিব মহানগর এলাকায় রকেট হামলায় পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় অ্যাম্বুলেন্স সেবা সংস্থা মাগেন ডেভিড অ্যাডম।

আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। মাগেন ডেভিড অ্যাডম-এর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, “এই মুহূর্ত পর্যন্ত তেল আবিব এলাকায় হামলার খবর পাওয়া সাতটি স্থানে আমাদের দল পাঠানো হয়েছে উদ্ধার কাজের জন্য।”

ওদিকে, ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বলেছে, অন্তত দুটি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ইরানের আকাশসীমায় গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে এই দাবি এখনও স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

রয়টার্স জানিয়েছে, জাতিসংঘে ইরানের প্রতিনিধি বলেছে ইসরায়েলের হামলায় জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাসহ ৭৮ জন ব্যক্তি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৩২০ জন, যাদের বেশির ভাগ বেসামরিক ব্যক্তি।

বিবিসি লিখেছে, পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। তেল আবিবের আকাশে ধোঁয়ার কুন্ডলি দেখা গেছে।

সর্বশেষ এক খবরে বলা হয়েছে, সেন্ট্রাল ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে অন্তত দুইজন নিহত এবং দশজন আহত হয়েছেন। বিবিসি জানিয়েছে, শনিবার ভোর হওয়ার ঠিক আগে ইসরায়েলে সাইরেন বেজে ওঠে।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ইরান বাস্তবিকই ইসরায়েলের ক্ষতি করতে পারে। সেটি যে সম্ভব হতে পারে তার প্রথম লক্ষণ এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানে তাদের হামলা কয়েকদিন ধরে চলতে পারে।

ইরানে শুক্রবার ভোররাতে বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় হামলার পরদিন দুপুরে ইসরায়েল দেশটিতে দ্বিতীয়বারের মতো কয়েকদফা হামলা চালায়।

ইরান প্রথমদফা ইসরায়েলি হামলার পরই এর জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। এরপর থেকে ঘণ্টায় ঘণ্টায় দুই দেশের মধ্যে সংঘাত কেবল বাড়ছে।

ইসরায়েলের দ্বিতীয় দফা আক্রমণের জবাবে এবার দেশটির সামরিক ও বিমান ঘাঁটিগুলোতে একযোগে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।

দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলা থামার লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না। শুক্রবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুটিতে একে অপরের হামলায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে; যাদের বেশির ভাগেই ইরানের। উভয় পক্ষের কর্মকর্তারাই তাদের অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) শুক্রবার রাতে এ হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘ট্রু প্রমিস ৩’ নামের এ অভিযান শুরু হয়েছে।

ইসারায়েলের সামরিক বাহিনীর দাবি, ইরান ১০০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যেগুলোর বেশির ভাগ তারা ঠেকিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দুই কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স বলেছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতের যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে। ভূমিতে স্থাপিত ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থার মাধ্যমেই এগুলো ভূপাতিত করা হয়েছে। এখনও যুদ্ধবিমান কিংবা যুদ্ধ জাহাজের সহায়তা নেওয়া হয়নি।

তেল আবিবের পূর্ব দিকের এলাকা রামাত জানের বিধ্বস্ত ভবনের আশপাশ থেকে আহত ব্যক্তিদের সরিয়ে নেওয়ার ছবি ও ভিডিও দেখা গেছে।