ইট-কংক্রিটের নগরী ঢাকায় এখনো যে বন্যপাখিরা টিকে আছে তাদের মধ্যে টিয়া অন্যতম। এখনও ঢাকার যেসব এলাকায় অল্প-স্বল্প গাছপালা আছে সেসব জায়গায় রেইনট্রি, কৃষ্ণচূড়া গাছের খোঁড়লে বাসা বাঁধে টিয়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রমে সংকুচিত হয়ে আসা সবুজ আঙিনাতেও পাওয়া যায় এরকম টিয়ার বাসা। গাছের খোঁড়লে করা সেরকমই একটি বাসা থেকে সম্প্রতি টিয়া পাখির কয়েকটি ছানা দেখা যায়। শিক্ষার্থী-দর্শনার্থীদের মধ্যে বেশ আগ্রহ জাগায় ছানাগুলো। কিন্তু গত দুই-তিন দিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে টিয়া পাখির বাচ্চাগুলো নিয়ে উদ্বেগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বহিরাগত কেউ কেউ বাচ্চাগুলো নেওয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।
তাই টিয়ার ছানাগুলো রক্ষা করতে, নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শিক্ষার্থী। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে দেয়া এক পোস্টে জানানো হয়েছে:
“৫ মে ২০২৫, টিয়ার বাচ্চাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি কাটাতার বেষ্টনী স্থাপন করা হয়। এই বেষ্টনী এমনভাবে করা হয়েছে যাতে পাখিরা সহজে যাতায়াত করতে পারে, কিন্তু গাছ বেয়ে উঠে কেউ বাচ্চা চুরি করতে না পারে।
উল্লেখ্য, গত বছর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল গড়তে বিভিন্ন গাছে মাটির হাড়ি বাঁধা হয়েছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকদিন ধরেই গভীর উদ্বেগ লক্ষ্য করছি। শিক্ষার্থীদেরও দাবি ছিল দ্রুত যাতে পাখিদের সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ছাত্রদল সব সময় শিক্ষার্থী বান্ধব কাজে মনোযোগী ও প্রবল আগ্রহী। দ্রুত আমরা এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করি।’
জানা গেছে, ছাত্রদলের এমন ব্যতিক্রমী পদক্ষেপে ক্যাম্পাসের প্রাণীপ্রেমি অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।