সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আশা জাগিয়ে শুরু কপ ৩০, মুকিত মজুমদার বাবুর প্রত্যাশা পূর্বের প্রতিশ্রুতিগুলোর বাস্তবায়ন    Logo ট্রাম্পকে ইঙ্গিত করে লুলার প্রত্যয়, “কপ ৩০ হবে সত্যের কপ” Logo এবার নিজেকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন আরিফিন শুভ Logo ১৩ নভেম্বরের কর্মসূচি ঘিরে কোনো শঙ্কা নেই: ডিএমপি কমিশনার Logo ভারত-পাকিস্তানে একরাতের ব্যবধানে বোমা হামলা: দিল্লিতে নিহত ৯, ইসলামাবাদে নিহত ১২ Logo রাতের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে Logo সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ল সাড়ে তিন মাস Logo দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হজ পালনের অনুমতি দিবে না সৌদি সরকার Logo নদী গিলে নিচ্ছে জমি: ভাঙনের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তহীন লড়াই Logo ময়মনসিংহে বাসে আগুন, দগ্ধ হয়ে চালকের মৃত্যু

তাপপ্রবাহে ইউরোপে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের প্রাণ গেছে গতবছর

তাপপ্রবাহে ইউরোপে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের প্রাণ গেছে গতবছর

অত্যাধিক তাপমাত্রার কারণে ২০২৩ সালে ইউরোপে ৪৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ১২ অগাস্ট প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্সেলোনা ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথ (আইএসগ্লোবাল)। এতে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণের দেশগুলোতে।

এই প্রতিবেদন এমন সময়ে প্রকাশিত হলো যখন তাপপ্রবাহের কবলে পড়ে পুড়ছে গ্রিস, স্পেন। এবছরও তাপপ্রবাহজনিত কারণে ঘটছে মৃত্যু।

বিশ্বের নথিবদ্ধ ইতিহাসে ২০২৩ সাল ছিল সবচেয়ে উষ্ণ বছর। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে। এর মধ্যে ইউরোপ সবচেয়ে দ্রুত উষ্ণ হয়ে উঠছে; আর তীব্র তাপের কারণে মহাদেশটির বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিও ক্রমাগত বাড়ছে।

তবে ২০২৩ সালে বাড়তি তাপের কারণে ইউরোপে মৃত্যুর সংখ্যা এর আগের বছরের চেয়ে কম। ২০২২ সালে অতিরিক্ত গরমে মহাদেশটিতে ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

রয়টার্স জানিয়েছে, স্পেনের ওই প্রতিষ্ঠানটির গবেষকরা ইউরোপের ৩৫টি দেশের তাপমাত্রার রেকর্ড ও মৃত্যুর রেকর্ড ব্যবহার করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন। তাদের হিসাবে বের হয়ে এসেছে, উচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন কারণে ৪৭ হাজার ৬৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

জনসংখ্যা অনুযায়ী তাপজনিত কারণে গ্রিস, বুলগেরিয়া, ইতালি ও স্পেনে মৃত্যুর হার ছিল সবচেয়ে বেশি।

এ ব্যাপারে বার্কলে আর্থের গবেষক জেকে হাউসফেদার বলেন, ‘উনিশ শতকের মধ্যভাগে তাপমাত্রা রেকর্ড শুরু হয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত সবচেয়ে উষ্ণতম বছর হচ্ছে ২০২৩। চলতি বছরে গরম দেখে মনে হচ্ছে, ২০২৩ কেও ছাড়িয়ে যেতে পারে ২০২৪। এমন আশঙ্কা ৯৫ শতাংশ।’

এমন মনে করছেন লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের গ্রাথাম ইনস্টিটিউটের জলবায়ু বিজ্ঞানী ফ্রেডেরিক ওটোও। তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘গরমে ২০২৪ সালে আগের সব রেকর্ড ভেঙে যাবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর জন্য প্রাকৃতিক কারণ হিসেবে এল নিনোকে দায়ী করা হয়ে থাকে। দায় কিন্তু আমাদেরও রয়েছে। আমরা তেল, গ্যাস ও কয়লা পুড়ানো বন্ধ করতে পারি।’

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

জনপ্রিয় সংবাদ

আশা জাগিয়ে শুরু কপ ৩০, মুকিত মজুমদার বাবুর প্রত্যাশা পূর্বের প্রতিশ্রুতিগুলোর বাস্তবায়ন   

তাপপ্রবাহে ইউরোপে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের প্রাণ গেছে গতবছর

আপডেট সময় ০৫:৪৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

অত্যাধিক তাপমাত্রার কারণে ২০২৩ সালে ইউরোপে ৪৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ১২ অগাস্ট প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্সেলোনা ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথ (আইএসগ্লোবাল)। এতে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণের দেশগুলোতে।

এই প্রতিবেদন এমন সময়ে প্রকাশিত হলো যখন তাপপ্রবাহের কবলে পড়ে পুড়ছে গ্রিস, স্পেন। এবছরও তাপপ্রবাহজনিত কারণে ঘটছে মৃত্যু।

বিশ্বের নথিবদ্ধ ইতিহাসে ২০২৩ সাল ছিল সবচেয়ে উষ্ণ বছর। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে। এর মধ্যে ইউরোপ সবচেয়ে দ্রুত উষ্ণ হয়ে উঠছে; আর তীব্র তাপের কারণে মহাদেশটির বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিও ক্রমাগত বাড়ছে।

তবে ২০২৩ সালে বাড়তি তাপের কারণে ইউরোপে মৃত্যুর সংখ্যা এর আগের বছরের চেয়ে কম। ২০২২ সালে অতিরিক্ত গরমে মহাদেশটিতে ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

রয়টার্স জানিয়েছে, স্পেনের ওই প্রতিষ্ঠানটির গবেষকরা ইউরোপের ৩৫টি দেশের তাপমাত্রার রেকর্ড ও মৃত্যুর রেকর্ড ব্যবহার করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন। তাদের হিসাবে বের হয়ে এসেছে, উচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন কারণে ৪৭ হাজার ৬৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

জনসংখ্যা অনুযায়ী তাপজনিত কারণে গ্রিস, বুলগেরিয়া, ইতালি ও স্পেনে মৃত্যুর হার ছিল সবচেয়ে বেশি।

এ ব্যাপারে বার্কলে আর্থের গবেষক জেকে হাউসফেদার বলেন, ‘উনিশ শতকের মধ্যভাগে তাপমাত্রা রেকর্ড শুরু হয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত সবচেয়ে উষ্ণতম বছর হচ্ছে ২০২৩। চলতি বছরে গরম দেখে মনে হচ্ছে, ২০২৩ কেও ছাড়িয়ে যেতে পারে ২০২৪। এমন আশঙ্কা ৯৫ শতাংশ।’

এমন মনে করছেন লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের গ্রাথাম ইনস্টিটিউটের জলবায়ু বিজ্ঞানী ফ্রেডেরিক ওটোও। তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘গরমে ২০২৪ সালে আগের সব রেকর্ড ভেঙে যাবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর জন্য প্রাকৃতিক কারণ হিসেবে এল নিনোকে দায়ী করা হয়ে থাকে। দায় কিন্তু আমাদেরও রয়েছে। আমরা তেল, গ্যাস ও কয়লা পুড়ানো বন্ধ করতে পারি।’