চীনের শাসনে থাকা তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬ এ দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) সকালে ৬ দশমিক ৮ মাত্রায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে, এতে পার্বত্য অঞ্চলজুড়ে অনেক স্থাপনা ধসে পড়েছে, ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উদ্ধারকারীরা জীবিতদের খোঁজে রাতভর তল্লাশি চালিয়েছেন। এদিকে তাপমাত্রা মাইনাস ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই অবস্থায় উদ্ধারকারী এবং ঘরবাড়ি হারানোদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ এখন উষ্ণতা পাওয়া।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম সিজিটিএন জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ডিংরি কাউন্টির শহর এলাকাগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো মেরামত করা শুরু হয়েছে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ফের শুরু হয়েছে।
সামরিক বাহিনীর ও স্থানীয় হাসপাতালগুলোর চিকিৎস দল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উপস্থিত হয়ে তল্লাশি ও উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে। চীনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় উদ্ধারকাজে ১৮৫০ জন উদ্ধারকর্মী ও তিনটি হেলিকপ্টার নিয়োগ করেছে। চীনের বিমান বাহিনীও উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ড্রোন মোতায়েন করেছে।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা পর্যন্ত নিশ্চিত করা মৃতের সংখ্যা ১২৬ জন ছিল আর আহত হয়েছেন আরও ১৮৮ জন। আহতদের মধ্যে ২৮ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। রাত ১০টা পর্যন্ত ৩০৪০০ জনকে ১৪টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো সম্ভব হয়।
ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষে কারণে চীনের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল, নেপাল ও ভারতের উত্তরাঞ্চলে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। তিব্বতের হিমালয় অঞ্চলটি একটি বড় ধরনের ভূতাত্ত্বিক ফল্ট লাইনের উপর অবস্থিত। ফলে ভূমিকম্প এখানে একটি সাধারণ বিষয়, কিন্তু তারপরও মঙ্গলবারেরটি চীনে কয়েক বছরের মধ্যে হওয়া অন্যতম প্রাণঘাতী ভূমিকম্প।