উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা তিন দিনের ভারি বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর এখন কিছুটা কমে বিপৎসীমার নিচে নেমেছে।
পানি নামলেও নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে আছেন বহু মানুষ। সোমবার সকাল ৬টায় তা কমে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং সকাল ৯টায় ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড-পাউবো থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং ভারি বৃষ্টির কারণে তিস্তার পানি হু হু করে বাড়ছে। এতে পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, পুকুর। রোপা আমন ক্ষেত ও বাদামসহ অনেক কৃষি জমির ফসলও চলে গেছে পানির নিচে।
বিশেষ করে পাটগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী; কালীগঞ্জের ভোটমারী, শৈইলমারী, কাকিনা, নোহালী; আদিতমারীর মহিষখোচা, গোবর্ধন, কালমাটি, বাহাদুরপাড়া, পলাশী এবং সদর উপজেলার ফলিমারী, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, রাজপুর, বড়বাড়ী ও গোকুণ্ডা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।

কুড়িগ্রাম জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে এ পর্যন্ত জেলায় মোট ১২ শত ২৭ হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে রোপা আমন ৯ শত ৮৭ হেক্টর, বিভিন্ন শাক-সবজি ১ শত ৯১ হেক্টর, মাসকলাই ৪৯ হেক্টর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারত থেকে আসা দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদে ভেসে আসছে হাজার হাজার গাছের গুঁড়ি।রোববার ও সোমবার ভোররাত থেকে ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদীর তীরবর্তী এলাকায় বিভিন্নস্থানে এই গাছের গুঁড়ি ভেসে আসতে দেখা যায়।

নদী তীরবর্তী মানুষজন নৌকা ও দড়ির সাহায্যে এসব গাছ নদী থেকে টেনে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ধলডাঙা ও শালঝোড় এলাকা এবং চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদে এই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।
প্রকৃতিবার্তা ডেস্ক 



















