তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবিতে ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’, ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠেছে তিস্তা পদযাত্রা। মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের তিস্তা সড়ক সেতু থেকে গণপদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হয়ে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক উপমন্ত্রী ও তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর নেতৃত্বে পদযাত্রাটি বের হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন কাউনিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির সমন্বয়ক আলহাজ্ব এমদাদুল হক ভরসা, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম সফিসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
কাউনিয়া গালর্স স্কুল মোড় থেকে শুরু হয়ে তিস্তা রেল সেতু অভিমুখেপদযাত্রাটি যাত্রা শুরু করে। এতে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ ধ্বনিতে শোভাযাত্রাটি ও পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে।
এ সময় আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, রংপুর অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী তিস্তা নদী ছিল মায়ের মতো। এখন সে তিস্তা রাক্ষসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। তিস্তা পাড়ের মানুষের এক সময় গোলা ভরা ধান ছিল, গোয়াল ভরা গরু ছিল, মুখে মুখে ভাওয়াইয়া গান ছিলো। মানুষ আনন্দে আনন্দে দিন কাটাইতো। সেই তিস্তা নদী এখন শুকিয়ে সরু খাল ও চর মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। আমরা অবিলম্বে তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা চাই।
বেলা পৌনে ১২টার দিকে তিন কিলোমিটার দূরে কাউনিয়া উপজেলায় গিয়ে পথযাত্রা পৌঁছায়। সেখান থেকে আবার তিস্তা সেতুর দিকে গিয়ে শেষ হয় এই পদযাত্রা।
তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে বিশ্ব জনমত গঠনে শুরু হয় দুদিন ব্যাপী এই কর্মসূচি। কর্মসূচি ঘিরে নীলফামারী থেকে গাইবান্ধা পর্যন্ত ১১টি স্থানে মঞ্চ ও তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ২টায় তিস্তা পাড়ের প্রধান সমাবেশে উপস্থিত হন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় তিনি কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন ঘোষণা করেন।
তাছাড়া দুই দিন ব্যাপী প্রতিটি স্থানে সরাসরি উপস্থিত থাকবেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। তারা সেখানে অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেবেন। মঙ্গলবার সমাপনী অনুষ্ঠান হবে। সেখানে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।