তীব্র শীতে ভারী বৃষ্টি, অন্যদিকে ইসরায়েলি বোমা, গাজাবাসীর দুর্ভোগ চরমে

মাথায় হুডিটানা মোটা জ্যাকেট গায়ে গাজার শিশুটি সাইকেল প্যাডেলে চেপে দ্রুত কোথাও পৌঁছাতে চাইছে, কারণ তীব্র শীতের মাঝেই ঝরছে বৃষ্টি। কনকনে শীতে শরণার্থী শিবিরগুলোর অস্থায়ী তাবুগুলোতেও ঢুকছে পানি, সামনের মাটির রাস্তা পানি-কাদায় একাকার। এমনকি খান ইউনিসে একটি ফিল্ড হাসপাতালও ভেসে গেছে। এর মধ্যেই আবার ইসরায়েলি বোমা বর্ষণ। সব মিলিয়ে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সম্মুখীন গাজার বাসিন্দারা।

ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর এটি উদ্বাস্তু গাজাবাসীর দ্বিতীয় শীতকাল। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলিদের হামলা থেকে বাঁচতে আশ্রয়শিবিরে থাকা গাজাবাসীর ওপর এবার খাঁড়ার ঘা হয়ে নেমে এসেছে ভারী বৃষ্টি। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে তাঁবুর ভেতরে পানি জমে গেছে। অনেক উদ্বাস্তু পরিবার তাদের ছোট ছোট সন্তান ও ঘরের জিনিসপত্র নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

এদিকে গাজার খান ইউনিসের একটি ফিল্ড হাসপাতাল বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এরই মধ্যে হাইপোথার্মিয়ায় অন্তত ছয়জন শিশু মারা গেছে। এ ছাড়া গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশে ইসরায়েলি বাধার কারণে আরও দুর্ভোগে পড়েছে গাজাবাসী।

গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকার আশপাশে কয়েক ডজন তাঁবু রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অনেকগুলো ইতোমধ্যেই কয়েক মাসের ব্যবহারে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে, প্রবল বাতাস এবং বৃষ্টিতে উড়ে গেছে বা প্লাবিত হয়েছে। পরিবারগুলো ক্ষতি মেরামত করতে পলিথিনের টুকরো ব্যবহার করছে এবং পানি আটকে রাখার জন্য বালি জমানোর জন্য চেষ্টা করছে।

তিন সন্তানের মা সাবরিন আবু শানব বলেন, মেট্রেস ও আমার শিশুদের জামাকাপড়ের ভেতরে পানি ঢুকে গেছে। তিনি বলেন, সন্তানরা ঘুমিয়ে ছিল এবং তাদের অন্তর্বাস ভিজে গিয়েছিল। সবকিছু ভিজে গেছে, কম্বল, বালিশ, সবকিছু।

এদিকে আজ বুধবার খ্রিস্ট্রীয় নববর্ষের দিনেও গাজায় বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েরি হামলায় আজ উত্তর জাবালিয়া এবং কেন্দ্রীয় আল-বুরেইজ শিবিরে কমপক্ষে ১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

চবি’র কলোনি থেকে ৯ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার  

তীব্র শীতে ভারী বৃষ্টি, অন্যদিকে ইসরায়েলি বোমা, গাজাবাসীর দুর্ভোগ চরমে

আপডেট সময় ০৪:০৩:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫

মাথায় হুডিটানা মোটা জ্যাকেট গায়ে গাজার শিশুটি সাইকেল প্যাডেলে চেপে দ্রুত কোথাও পৌঁছাতে চাইছে, কারণ তীব্র শীতের মাঝেই ঝরছে বৃষ্টি। কনকনে শীতে শরণার্থী শিবিরগুলোর অস্থায়ী তাবুগুলোতেও ঢুকছে পানি, সামনের মাটির রাস্তা পানি-কাদায় একাকার। এমনকি খান ইউনিসে একটি ফিল্ড হাসপাতালও ভেসে গেছে। এর মধ্যেই আবার ইসরায়েলি বোমা বর্ষণ। সব মিলিয়ে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সম্মুখীন গাজার বাসিন্দারা।

ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর এটি উদ্বাস্তু গাজাবাসীর দ্বিতীয় শীতকাল। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলিদের হামলা থেকে বাঁচতে আশ্রয়শিবিরে থাকা গাজাবাসীর ওপর এবার খাঁড়ার ঘা হয়ে নেমে এসেছে ভারী বৃষ্টি। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে তাঁবুর ভেতরে পানি জমে গেছে। অনেক উদ্বাস্তু পরিবার তাদের ছোট ছোট সন্তান ও ঘরের জিনিসপত্র নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

এদিকে গাজার খান ইউনিসের একটি ফিল্ড হাসপাতাল বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এরই মধ্যে হাইপোথার্মিয়ায় অন্তত ছয়জন শিশু মারা গেছে। এ ছাড়া গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশে ইসরায়েলি বাধার কারণে আরও দুর্ভোগে পড়েছে গাজাবাসী।

গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকার আশপাশে কয়েক ডজন তাঁবু রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অনেকগুলো ইতোমধ্যেই কয়েক মাসের ব্যবহারে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে, প্রবল বাতাস এবং বৃষ্টিতে উড়ে গেছে বা প্লাবিত হয়েছে। পরিবারগুলো ক্ষতি মেরামত করতে পলিথিনের টুকরো ব্যবহার করছে এবং পানি আটকে রাখার জন্য বালি জমানোর জন্য চেষ্টা করছে।

তিন সন্তানের মা সাবরিন আবু শানব বলেন, মেট্রেস ও আমার শিশুদের জামাকাপড়ের ভেতরে পানি ঢুকে গেছে। তিনি বলেন, সন্তানরা ঘুমিয়ে ছিল এবং তাদের অন্তর্বাস ভিজে গিয়েছিল। সবকিছু ভিজে গেছে, কম্বল, বালিশ, সবকিছু।

এদিকে আজ বুধবার খ্রিস্ট্রীয় নববর্ষের দিনেও গাজায় বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েরি হামলায় আজ উত্তর জাবালিয়া এবং কেন্দ্রীয় আল-বুরেইজ শিবিরে কমপক্ষে ১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।