দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল নিশ্চিত করল নিউজিল্যান্ড।
বুধবার (৫ মার্চ) আগে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৬৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১২ রান তুলতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে ৫০ রানের জয় পায় নিউজিল্যান্ড।
মারকুটে ব্যাট করতে ৬৭ বলে মিলার সেঞ্চুরি তুলে নিলেও হার এড়াতে পারেনি প্রোটিয়ারা। নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১২ রান তুলতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে ৫০ রানের জয় পায় নিউজিল্যান্ড।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৪৮ রানের জুটি করেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার উইল ইয়াং ও রাবিন্দ্রা। ২১ রানে ইয়াং আউট হলে রাবিন্দ্রাকে সঙ্গ দেন কেন উইলিয়ামসন।
দ্বিতীয় উইকেটে ১৬৪ রানের জুটি করেন রাবিন্দ্রা ও উইলিয়ামসন। শেষ পর্যন্ত দুজনই হাঁকান সেঞ্চুরি। ১০১ বলে ১০৮ রান (১৩ চার ও ১ ছক্কায়) করেন রাবিন্দ্রা। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার পঞ্চম সেঞ্চুরি। উইলিয়ামসন খেলেন ৯ বলে ১০২ রানের (১০ চার ও ২ছক্কা) ইনিংস। ডানহাতি অভিজ্ঞ ব্যাটারের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৫তম সেঞ্চুরি এটি।
দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে রানে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে আইসিসি ইভেন্টের নকআউট পর্বে হারার অভ্যাস অব্যাহত রেখেছে তারা। ১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৭ বছর হতে চললেও আর কোনো আইসিসি ট্রফি জিততে পারেনি তারা।
এদিকে ২০১৫ ও ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয়নি নিউজিল্যান্ডে। এবার আরও একটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে কিউইরা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত। এর আগে ২০২১ সালে বিশ্বটেস্ট চ্যাম্পিয়ন শিপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছিল নিউজিল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ডঃ
নিউজিল্যান্ডঃ ৩৬২/৬, রচিন রবিন্দ্র – ১০৮,উইলিয়ামসন – ১০২, গ্লেন ফিলিপ্স ৪৯। লুঙ্গি নগিদি ৩/৭২,রাবাদা ২/৭০।
দক্ষিণ আফ্রিকাঃ ৩১২/৯, মিলার ১০০, ভ্যান ডার ডুসেন ৬৯, বাভুমা ৫৬। মিচেল সানটনার ৩/৪৩,গ্লেন ফিলিপ্স ২/২৭, হেনরি ২/৪৩।
*নিউজিল্যান্ড ৫০ রানে জয়ী।