যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় কোটি মানুষ বিশাল এক তুষারঝড় মোকাবেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে যেটি এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভারি তুষারপাত ও শীতলতম তাপমাত্রা বয়ে নিয়ে আসতে পারে।
দেশটির জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা (এনডব্লিউএস) জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে শুরু হওয়া ঝড়টি আগামী দিন দুয়েকের মধ্যে পূর্ব দিকে এগিয়ে যেতে পারে।
মিসিসিপি ও ফ্লোরিডাসহ যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অংশ তীব্র ঠাণ্ডায় অভ্যস্ত না হওয়ায় সেখানে মারাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে; জানিয়েছে বিবিসি।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এই চরম আবহাওয়া তৈরি হচ্ছে মেরু অঞ্চলের ঘূর্ণিবাত্যার কারণে, এটি ঠাণ্ডা বাতাসের একটি বিশাল অংশ যেটি আর্কটিকের চারপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক এন্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলেছে, “কিছু অংশের জন্য এটি এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভারি তুষারপাত হতে পারে।”
অ্যাকুওয়েদারের পূর্বাভাষকারী ড্যান ডেপডউইন বলেন, “এটি ২০১১ এর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে শীতল জানুয়ারি বয়ে আনতে পারে। তাপমাত্রা ঐতিহাসিক গড়ের নীচে নেমে গিয়ে সপ্তাহ ধরে বজায় থাকতে পারে।”
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, শীতকালীন ঝড়কে সামনে রেখে কেন্টাকি ও ভার্জিনিয়ার গভর্নররা অঙ্গরাজ্য দুটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া সংস্থার আবহাওয়াবিদ রিচ বান বলেন, ‘ঝড়টি এখনো আকার নিচ্ছে।’
এ ঝড়ের প্রভাবে প্লেইনস অঞ্চলে ভারী তুষারপাত থেকে শুরু করে আরও দক্ষিণের অঞ্চলের সড়কগুলো বরফে ঢেকে যাওয়ার মতো বিভিন্ন ধরনের বিপর্যয় দেখা দেয়ার আশঙ্কা জানিয়েছেন রিচ বান। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ছয় কোটির বেশি মানুষকে শীতকালীন এই আবহাওয়া–সতর্কতার আওতায় রাখা হয়েছে। তাদের পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
নেব্রাস্কা ও কানসাস থেকে ওহাইও, ইন্ডিয়ানা, দক্ষিণ-পশ্চিম পেনসিলভানিয়া ও উত্তর-পশ্চিম ভার্জিনিয়া হয়ে পূর্ব দিকে বিশাল এলাকাজুড়ে এক ইঞ্চি (২ দশমিক ৫৪ সেমি) থেকে এক ফুট (৩০ সেমি) পর্যন্ত তুষার জমতে পারে। বরফ জমে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনগুলোয় ব্যাঘাত ঘটতে পারে এবং এতে অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ–বিভ্রাট হতে পারে।