ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে ভারী বৃষ্টিতে ভূমিধসে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন এলাকার সড়ক ধসে গেছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে সিকিম রাজ্যের সঙ্গে। পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তায় বাড়ছে অতিরিক্ত পানির চাপ।
রোববার এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার রাতে দার্জিলিংয়ে ভারী বৃষ্টি হয়। এতে ভূমিধস দেখা দেয় মিরিক ও সুখিয়ে পোখারী এলাকায়। আজ এসব এলাকায় উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন।
ভূমিধসের কারণে কয়েকটি মূল সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে আছে দার্জিলিং-শিলিগুড়ি ও দার্জিলিং-সিকিম সংযুক্তকারী সড়ক। দুর্গাপূজার ছুটিতে কলকাতা থেকে অনেক পর্যটক দার্জিলিং ভ্রমণে গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে সড়ক ধসে যাওয়ায় তাদের অনেকেই আটকা পড়েছেন। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে গোরখাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন টাইগার হিল ও রক গার্ডেনের মতো পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাতিল করা হয়েছে টয় ট্রেনের সূচি।
দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। দেশটির আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) জানিয়েছে, নিম্নচাপের প্রভাবে সোমবার সকাল পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আইএমডি-এর বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, আলিপুরদুয়ারসহ উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলায় সোমবার সকাল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। দক্ষিণবঙ্গে অধিকাংশ স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে, তবে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও নদিয়ায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বিশেষ করে বাঁকুড়ায় সর্বোচ্চ ৬৫.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দার্জিলিং ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সতর্কতা জারি রয়েছে।
তিস্তায় পানির চাপ
ভারী বৃষ্টির কারণে ভারতীয় অংশে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে তিস্তা, মহানন্দা, তোর্সা, জলঢাকা নদীর পানি। ভেঙে গেছে মিরিকের দুধিয়া সেতু।
পশ্চিমবঙ্গ ও ভূটানে ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশেও। ব্যারেজে অতিরিক্ত পানির চাপ কমাতে শুধু তিস্তার গজলডোবা থেকে ঘণ্টায় ২ লাখ কিউসেক পানি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
প্রকৃতিবার্তা ডেস্ক 




















