দিনাজপুরের স্বপ্নপুরী পার্ক ও মিনি চিড়িয়াখানায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে আটকে রাখা ৭৪টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয়েছে।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট (ডব্লিউসিসিইউ) এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে:
“বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ লঙ্ঘনের অভিযোগে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নির্দেশে এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষকের তত্ত্বাবধানে রোববার (২৬ জানুয়ারি) এ বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে পার্কে অবৈধভাবে আটকে রাখা বিভিন্ন প্রজাতির ৭৪টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযানে উদ্ধার করা প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে : হুলক গিবন, এশিয়াটিক ব্ল্যাক বিয়ার, ক্যাপড ল্যাঙ্গুর, গ্রেটার হর্নবিল, লজ্জাবতী বানর, ভোঁদড়, এবং বেশ কিছু সাপ ও কচ্ছপ। এদের মধ্যে কিছু প্রাণী শারীরিকভাবে আহত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে পার্কের সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে বন্যপ্রাণী প্রদর্শনে চিড়িয়াখানা স্থাপন সংক্রান্ত কোনো বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। অভিযানের পর পার্কের ব্যবস্থাপককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
অভিযান দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্বপ্নপুরী পার্কে দীর্ঘদিন ধরে এসব বন্যপ্রাণী আইনবহির্ভূতভাবে প্রদর্শন করা হচ্ছিল। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের আওতায় এ বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক ছানাউল্ল্যা পাটওয়ারীর সার্বিক দিক নির্দেশনায় বন্যপ্রাণী পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আস সাদিক এবং বন্যপ্রাণী পরিদর্শক অসীম মল্লিকের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বন বিভাগ দিনাজপুরের সহকারী বন সংরক্ষক মিজ নুরুন্নাহার সহ বন অধিদপ্তরের আভিযানিক সদস্যরা।
অভিযানের সময় দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের কর্মকর্তারা জানান,উদ্ধার করা প্রাণীদের পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
বন্যপ্রাণীর টর্চার সেল নামক এধরনের মিনি-চিড়িয়াখানা বন্ধে ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান অভিযানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।”